Samay Ghurni book and story is written by Srabanti Ghosh in Bengali . This story is getting good reader response on Matrubharti app and web since it is published free to read for all readers online. Samay Ghurni is also popular in Science-Fiction in Bengali and it is receiving from online readers very fast. Signup now to get access to this story.
সময় ঘূর্ণি - উপন্যাস
Srabanti Ghosh
দ্বারা
বাংলা Science-Fiction
কলকাতার কলেজ স্ট্রিট এলাকায় আজও সময় থমকে আছে পুরনো বইয়ের পাতা আর কফির কাপে। কিন্তু এই গল্প সেই শহরের বুকেই এমন এক ছেলেকে নিয়ে, যে সময়ের বাঁকেই ঘূর্ণি তুলল এক বিকেলে।
নাম তার অনিলাভ দত্ত। সায়েন্স কলেজে পদার্থবিদ্যার পিএইচডি করছে। চুপচাপ, একটু ঘরকুনো, অথচ অসম্ভব বুদ্ধিমান। আর একটা জিনিস আছে তার—পুরনো জিনিসের নেশা। বিশেষ করে ঘড়ি।
কলেজ স্ট্রিটের পাশের এক পুরোনো বইয়ের দোকানে সে মাঝে মাঝে যেত, শুধু বই নয়, ভাঙাচোরা ঘড়ি, বাতিল যন্ত্রপাতি ঘাঁটত। সেদিনও তেমনই এক ঘোর দুপুরে, যখন শহরটা অনিলাভর মতোই ঝিমোচ্ছিল, হঠাৎ একটা অদ্ভুত ঘড়ির বাক্স চোখে পড়ল তার।
কাঠের তৈরি, হাতল ঘোরালেই ঘড়ির কাঁটা উলটো দিকে যায়। দাম? মাত্র ১২৫ টাকা।
দোকানদার বলল, "এই ঘড়িটা নাকি এক বিজ্ঞানী বানিয়েছিল... শেষবার বাজবার সময় ছিল 'দুপুর ১টা ৩২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড'।"
অনিলাভ হেসে বলল, “টাইম ট্র্যাভেল করতে বানিয়েছিল বুঝি?”
সময় ঘূর্ণি ⌛️ ১ কলকাতার কলেজ স্ট্রিট এলাকায় আজও সময় থমকে আছে পুরনো বইয়ের পাতা আর কফির কাপে। কিন্তু এই গল্প সেই শহরের বুকেই এমন এক ছেলেকে নিয়ে, যে সময়ের বাঁকেই ঘূর্ণি তুলল এক বিকেলে।নাম ...আরও পড়ুনঅনিলাভ দত্ত। সায়েন্স কলেজে পদার্থবিদ্যার পিএইচডি করছে। চুপচাপ, একটু ঘরকুনো, অথচ অসম্ভব বুদ্ধিমান। আর একটা জিনিস আছে তার—পুরনো জিনিসের নেশা। বিশেষ করে ঘড়ি।কলেজ স্ট্রিটের পাশের এক পুরোনো বইয়ের দোকানে সে মাঝে মাঝে যেত, শুধু বই নয়, ভাঙাচোরা ঘড়ি, বাতিল যন্ত্রপাতি ঘাঁটত। সেদিনও তেমনই এক ঘোর দুপুরে, যখন শহরটা অনিলাভর মতোই ঝিমোচ্ছিল, হঠাৎ একটা অদ্ভুত ঘড়ির বাক্স চোখে পড়ল তার।কাঠের তৈরি, হাতল ঘোরালেই ঘড়ির কাঁটা
সময় ঘূর্ণি ⌛️|| ২||বউবাজারের এক পুরনো শরিকি বাড়িতে, দুজন এখন মুখোমুখি। মেঝেতে ছড়ানো কাগজ, দেয়ালে পেরেক ঠোকার শব্দ, আর ঘরে একটা অদ্ভুত গন্ধ, ছাপার কালি, পাঁজা-কাটা কাগজ আর ধুলোবালির।অর্ণিলা ব্যাগ থেকে বের করে অনিলাভর হাতে তুলে দিল পুরনো নোটবুকটা।পাতা ...আরও পড়ুনভিতরের জীর্ণ পাতায় হাতে লেখা:“𝘛𝘪𝘮𝘦 𝘋𝘪𝘴𝘱𝘭𝘢𝘤𝘦𝘮𝘦𝘯𝘵 𝘔𝘰𝘥𝘦𝘭: 𝘋𝘦𝘭𝘢𝘺 1.45 𝘴𝘦𝘤.”“𝘚𝘶𝘣𝘫𝘦𝘤𝘵 12A – 𝘈𝘯𝘪𝘭𝘢𝘷 𝘋𝘢𝘵𝘵𝘢”অনিলাভ থমকে যায়। তার নাম? এইখানে? কিন্তু এই তো প্রথমবার সে এই মেয়েকে দেখছে !--“এইসব কী? আমার নাম এখানে কীভাবে?”--"এটা দাদুর প্রজেক্ট। এর কথা পুরনো সায়েন্স জার্নালে আছে… আমার দাদুর নামে। আর দাদু তোমাকে নির্বাচন করে গেছেন।”অনিলাভ থমকে গেল, "মানে? কী বলছ তুমি?”--“তুমি হয়তো জানো না, তোমার
সময় ঘূর্ণি ⌛️|| ৩ ||রাত বাড়ে। অনিলাভ আর অর্ণিলা ওদের বউবাজারের বাড়ির ছাদে বসে। এক পাশে খোলা ঘড়ির বাক্স, আর তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা হলুদ হয়ে যাওয়া চিঠি।চিঠিতে লেখা —--“সময় কোনো একরৈখিক ধারা নয়। এটা আবেগে বাঁক খায়, ...আরও পড়ুনপথ বদলায়। যদি তুমি এই চিঠি পড়ছো, বুঝে নিও তুমি একজন টাইম ট্র্যাভেলারের হৃদয় নিয়ে জন্মেছো। এবং তোমার প্রেম একদিন সময়ের বাঁক ঘুরিয়ে দেবে।”চিঠিটা পড়ে দুজনেই কিছুক্ষণ চুপচাপ। রাতের আকাশে তারা ভেঙে পড়ছে না, তবু বাতাসে যেন এক অদ্ভুত রহস্যের ঘ্রাণ।অনিলাভ তাকিয়ে থাকে অর্ণিলার দিকে।— “তুমি সবটা এত বিশ্বাস করে কিভাবে?”অর্ণিলা নিচু গলায় বলে, “কারণ আমি জানি, কিছু কিছু সম্পর্ক