অন্বেষার হাতে জ্বলছে মোমবাতি। পুরনো পুঁথির পাতায় লেখা আছে মুক্তির মন্ত্র—"রক্তে লিখন, প্রাণে বলিদান, চিরন্তন বিদায়"। চোখের কোণে জমে থাকা অশ্রুটা সে মুছে ফেলল। ইশানকে বলতে হবে, সে প্রস্তুত।কক্ষের দরজা খুলতেই হরিপদ দাঁড়িয়ে। তার চোখে রাগ, হাতে তীক্ষ্ণ দা।"তুমি রাজবাড়ির শান্তি নষ্ট করছ, মেয়ে! ওই আত্মাকে জাগিয়ে তোলা মানে গ্রামের উপর অভিশাপ নামানো!"অন্বেষা পিছু হটল। হরিপদর মুখে ফেনা উঠছে, "১৯০২ সালেও এক পাগল মেয়ে এসেছিল মুক্তির কথা বলে... তার মাথা আমি কেটে লেকে ফেলেছিলাম!"হঠাৎ বাতাসের বেগে মোমবাতি নিভে গেল। অন্ধকারে ইশানের হাত অন্বেষার কাঁধে।"ভয় পেয়ো না," তার গলায় কোমলতা।হরিপদ চিৎকার করে উঠতেই ইশানের চোখ জ্বলল রক্তিম আভায়। বৃদ্ধের গলা চেপে