কষ্টের ছায়া থেকে আলোর পথে

শৈশবের আঁধাররাহুলের বয়স তখন মাত্র আট। ছোট্ট গ্রামে, কাঁচা বাড়িতে, দরিদ্রতার ছায়া তার শৈশবকে গ্রাস করেছিল। বাবার কোনো স্থায়ী কাজ ছিল না, কখনো দিনমজুরি, কখনো ছোটখাটো কাজ—কিন্তু কিছুতেই সংসার চলে না। মা সারাদিন তাঁত বুনতেন, তার টুকরো টাকায় কোনো রকমে সংসার চলতো। বাবা কখনো কিছু করার চেষ্টা করেননি, বরং নিজের ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকতেন।২. বন্ধ ঘরের জীবনরাহুল আর তার দিদি—দুজনকেই বাবা-মা সারাদিন ঘরে আটকে রাখতেন। বাইরে কারো সঙ্গে মিশতে দিতেন না, খেলতে দিতেন না। তাদের মনে হতো, বাইরের দুনিয়া তাদের সন্তানদের 'বিপথে' নিয়ে যাবে। সারাদিন শুধু পড়াশোনার জন্য চাপ—"তোমাদের ভালো রেজাল্ট করতে হবে, নইলে আমাদের মতো কষ্ট