ভারতীয় পুরাণে বিশ্বকর্মা হলেন দেবশিল্পী। তিনি সৃষ্টিশিল্পের আদিগুরু। দেবশিল্লী বিশ্বকর্মা দেবতাদের নগরী, অস্ত্র-শস্ত্র, রথ, অলঙ্কার থেকে শুরু করে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রূপকার হিসেবে পরিচিত। শিল্পকলা, স্থাপত্যবিদ্যা, কারুশিল্প— সবকিছুর উৎস তিনি। পুরাণ বলে— ত্রিপুরাসুরের দুর্গ, ইন্দ্রের অমরাবতী, বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিবের ত্রিশূল— সবই বিশ্বকর্মার নকশা আর সৃজনশক্তির ফল। রামায়ণে বর্ণিত রাবণের লঙ্কা বা মহাভারতে বর্ণিত শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা নগরীও এই বিশ্বকর্মার নিপুণ হাতেই নির্মিত হয়েছিল বলে কথিত আছে।কিন্তু এই পৌরাণিক কাহিনীর অন্তরালে আমরা যদি গভীরভাবে ভাবি, তবে দেখব যে বিশ্বকর্মা কেবল পুরাণের এক দেবতা নন; তিনি মানুষের শ্রম, দক্ষতা, কল্পনা আর প্রযুক্তির এক বিশ্ব প্রতীক।স্থপতি থেকে স্থপতিবিদ্যা : বিশ্বকর্মা যেমন দেবলোকের প্রাসাদ নির্মাণ