## **ভারতে ফিরে আসার নিরব পদচিহ্ন** সুভাষচন্দ্র বসু—যাঁকে আমরা নেতাজী নামে চিনি—তাঁর জীবনটাই ছিল এক ত্যাগের মহাকাব্য। ক্ষমতা, পদ বা ব্যক্তিগত সম্মান—এগুলোর প্রতি তাঁর কোনও আকর্ষণ ছিল না। তিনি সবসময়ই বলতেন, **“আমার জীবন-মৃত্যু, সবই মাতৃভূমির জন্য।”** কিন্তু ১৯৪৭-এর স্বাধীনতা তাঁকে শান্তি দেয়নি। কারণ এই স্বাধীনতা ছিল আসলে ব্রিটিশদের এক সাজানো নাটক— ক্ষমতা হস্তান্তরের আড়ালে দেশকে দ্বিখণ্ডিত করা, সিলেট–চট্টগ্রামের মতো হিন্দু–বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চল ছিঁড়ে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া। নেতাজীর হৃদয়ে কেবল একটাই বিশ্বাস কাজ করত— **ভারতের মাটিতেই তাঁর শেষ নিঃশ্বাস হবে।** তিনি বুঝেছিলেন, তাঁর দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি। দেশ রক্তাক্ত, বিভাজিত, শরণার্থীর হাহাকারে ভারী হয়ে রয়েছে এই দেশের আকাশ বাতাস। তাই রাশিয়ার আড়াল থেকে তিনি কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিলেন— **দেশে ফিরতেই হবে। তবে ভিন্ন