তখন ছিল শীতের সন্ধ্যে। কলকাতায় সেবার বেশ ভালো ঠান্ডা পরেছে বাইরে অদ্ভুত একটা মেরুদন্ড কাপানো হাওয়া চলছিল সকাল থেকে। রোদ ওঠেনি। একটা ম্যাদামারা ওয়েদার। দরজা জানলা বন্ধ ঘরে সিগারেটের পর সিগারেট উড়িয়ে গা গরম করছিল তুহিন। শীত পড়লে একটু বেশি-ই স্মোক করা হয়ে যায়। সন্ধে ৭ টা। তুহিনের রুম-এর দরজায় টোকা পড়েছিল। - কে? - দাদা, আমি শুভঙ্কর। শীতকালিন আলস্য কাটিয়ে উঠতে হয়েছিল তুহিনকে। লম্বা, রোগা-পাতলা চেহারার তুহিন। এমনিতে শান্ত স্বভাবের। ভাবুক ও বলা চলে। মাঝেমাঝেই অন্যমনস্ক হয়ে যায় কথা বলতে বলতে। তাই বোঝা যায় শান্ত হলেও, মনটা খুব চঞ্চল। তবে সেই চঞ্চলতা বাইরে থেকে অতটা বোঝা যায়না। যারা তুহিনকে দীর্ঘদিন ধরে চেনে তারা বুঝতে পারে।