Read Devils Passionate Love - 1 by Queen Of Hell Sania in Bengali Love Stories | মাতরুবার্তি

Featured Books
বিভাগ
শেয়ারড

Devil's Passionate Love - 1

খুব জোরে বৃষ্টিপাত হচ্ছিল আর উপর বজ্রপাত জুড়ালো আওয়াজ আর কালো ঘন অন্ধকার কোথাও কোন আলোর একটুও নাম নেই।।

এইসবের কোন চিন্তা না করে ও এগিয়ে যাচ্ছে জানো ওর কোন যায় আসে না ও ওর এক হাত ওর পেটের মধ্যে ছিল আর ওর চোখের জল এই বৃষ্টিতে যেন মিশে যাচ্ছে ও এইসবের মন না দিয়ে ও ওর রাস্তায় এগিয়ে যাচ্ছে।

ভাবে এগোতে এগোতে ও একটা ছোট্ট গ্রামের মধ্যে পৌঁছে গেল ওই গ্রামে পৌঁছাতেই ও দেখল একটা ছোট ঝুপড়ি ।
ওই ছবিটার লাল টেনের আলো জ্বলছে আর নিচে যেন এই ঝড়ের সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করছে ওই লাল টেন নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে কিন্তু লাল টেন তা নিজেকে রক্ষা করতে অসফল।

ওই ছবিটা কাছে গেল আর দরজা ধাক্কাতে শুরু করল।

এই ঝড় জলের সময় মোহনা নিজের এই ছোট্ট ঝুড়িতে আরাম করে ঘুমিয়ে আছে ওর যেন কোন যায় আসে না এই ঝড় জলে ও আরাম সে ঘুমিয়ে আছে এই ঝড় জল ওর ঘুমের কোন ক্ষতি করতে পারছে না।

হঠাৎ মোহনার কানের দরজা ধাক্কানোর আওয়াজ আসে তাতে মোহনার ঘুম ভেঙে যায়। অহনা অতিরিক্ত বিরক্তি নিয়ে উঠলো ও ভাবছে এত রাত্রে আবার কে ঝড় জলের সময়।

ও গিয়ে দরজাটা খুললো খোলার পরে অপুর অবাক হয়ে গেল !!!

মোহনা এবার বলল," আরোহ মেয়ে তুই, এত রাত্রে তুই এখানে?

মোহনা আরোহী কে মাথা থেকে পা অব্দি দেখল তারপরে ওতো পুরো অবাক হয়ে গেল ওর চোখে বিশ্বাস করতে পারেনা দু মাস আগেই তো আরো হয়েছে দেখেছিল ঠিকঠাকই ছিল আরোহী। আর এখনো গর্ভবতী আর ওর গর্ভ থেকে মনে হচ্ছে ৫ মাসের গর্ভ !!!

মোহনা আরোহী কে বলল,"তুই গর্ভবতী কি করে হলো এটা ? ২ মাস আগেই তো দেখা হল তোর জন্মদিনে। তখন তো তুই ঠিকঠাকই ছিলিস?

আরোহী এবারে আর না থাকতে পেরে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলো।

আরোহী যেই কান্নাকাটি করা শুরু করেছে আরো জোরে বিদ্যুৎ আর বৃষ্টিপাত হতে শুরু হয়ে গেল।

আরোহী তারপরে যা বলল সেটা শুনে তো মোহনার খুব রেগে গেল আর দুঃখ পেল।

একটা বাপ হয়ে কেউ কি করে নিজের মেয়ের এত বড় ক্ষতি করতে পারল ?

আরোহী বলতে শুরু করলো ," মাসি আমার জন্মদিনের দিন বার্থডে পার্টি শেষ হতে আমি ওই বড় হোটেলের মধ্যে আমি আমার রুমে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে কারো সঙ্গে ধাক্কা খেলাম আর আমি পড়ে যেতে যাবো ও আমাকে ধরে নিল।
আরোহী দেখল যে এটা আর কেউ না এটা সাগর সেন ওর বাবার নিউ বিজনেস পার্টনার বিজনেস টাইফুন সাগর সেন।

সাগর ওর দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, আরোহী এতে অনেক অনকম্ফোর্টেবল ফিল করছিল ও তাড়াতাড়ি করে সাগরের থেকে নিজেকে আলাদা করল। আর দৌড়ে ওখান থেকে চলে গেল।

আর ওর সৎ বোন এসব দূর থেকে দেখছিল প্রায় একমাস আগে আরোহীর মায়ের একটা কার এক্সিডেন্টে মৃত্যু হয়ে যায়। তার এক সপ্তাহ পরে ওর বাবা ওর অন্য স্ত্রী মাহি আর তার মেয়ে হিনা,
নিয়ে চলে আসে এখানে। মাহি আর হিনা আরোহীকে একদমই সহ্য করতে পারে না। আরোহী খুব চেষ্টা করে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকার কিন্তু মাহি আর হিনা ওকে একদমই পছন্দ করে না।

ওর বার্থডে পার্টির এক সপ্তাহ পর-

আরোহী ও একটা অন্ধকার ঘরের মধ্যে বন্ধ ছিল আর ও মিট করতে পারছে না, ওর শরীর নড়াতে পারছে না।

আর ওর যেন মনে হল ও একলাই রুমের মধ্যে না কেউ একজন আছে ?

আরোহী চিৎকার করে বলে উঠলো,"কে এখানে কে প্লিজ আমাকে বলো আর কেন আমাকে এখানে এনেছো প্লিজ আমাকে যেতে দাও আমি কি ক্ষতি করেছি আপনার?

হঠাৎ এ খুবই ভয়ংকর আর ভারী গলার আওয়াজ শোনা গেল,"তোকে তোর ভাগ্য এখানে এনেছে।

শুধু এটুকুই শোনা গেল ভয়েতে কলা শুকিয়ে আসছে আরোহী ।
আরোহী বলল প্লিজ যেতে দিন আমাকে, আপনার কোন ক্ষতি করিনি ?
ও এটুকুই বলেছিল হঠাৎ করে ওর মনে হলো কেউ ওকে জড়িয়ে ধরল ! যে ওকে ধরেছিল খুবই শক্তভাবে জড়িয়ে ধরেছিল আরোহী যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে।

যে ওকে জড়িয়ে ধরেছিল সেবার ওর ঘাড়ের কাছে এসে ওর ঘাড়ে কিস করতে লাগলো। কিস করতে করতে হঠাৎ ইয়োর ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দিল ।

আরোহী চিৎকার করে উঠলো,"আআআআআ,,,

আরোহী এবার কাঁদতে কাঁদতে বলল," আমি কি ক্ষতি করেছি আপনার প্লিজ আমাকে যেতে দিন আমার সর্বনাশ করোনা আমি কার কাছে আমার মুখ দেখাবো!!!

কিন্তু কে শুনে কার কথা? এবার যে ওকে শক্ত করে ধরেছিল আরোহী কে বিছানায় জোরে ধাক্কা দিল।

আর নিজে আরোহীর ওপর চলে এলো,আরোহীর কিছু একটা মনে হচ্ছে আরোহী বুঝতে পারছে ওর সঙ্গে কি হতে চলেছে?

কিছুক্ষণের মধ্যে ওর ব্যথায় চিৎকারের আওয়াজ পুরো অন্ধকার রুমটা ভরে উঠল।
ও অনেক জোরে চিৎকার করছে কিন্তু ওই লোকটার কানে কোন কথায় যাচ্ছে না যেন লোকটার মধ্যে কোন মন নামের কোন জিনিসই নেই। ওই লোকটা যেন একটা শয়তান কোন মায়া দয়া করছে না আরোহীর ওপ।

শয়তানের মতন আরোহী শরীরকে ভোগ করছে। আরোহির ব্যথায় আজমরা অবস্থা ওর মনে হচ্ছে ও আর বাঁচবে না। ওর খুব কষ্ট হচ্ছে আরো খুব আরোহী জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।

আর হঠাৎ শয়তানটা ওর শরীর থেকে সরে যাচ্ছে ও এবার স্বাস্থ্যের নিঃশ্বাস ছাড়লো। ওর মনে হলো এবারও বাঁচলো ওর উপর থেকে একটা অনেক বড় ঝড় গেল যেটা ওকে তোলপাড় করে দিল। ওর শরীরটাকে বরবাদ করে দিল এখনো খুবই ব্যথা হচ্ছে।

প্রায় আধঘন্টা পর ওর ব্যথা অনেকটা কমেছে ওর এবার মনে হচ্ছে এই শয়তানটা চলে গেছে !

ও ফের নড়াচড়া করার চেষ্টা করল এখনো ওর শরীরটা নড়াতে পারছে না। ও আরো নড়াতে পারছে না ওর শরীরটা। ও চারিদিকে দেখতে তো পাচ্ছে, কিন্তু ও কিছু করতে পারছে না। শুধু অন্ধকার ছিল পুরো ফোনটা কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না!

আরোহীর মনে হল এবার যেন সবকিছু ঠিক হয়ে গেল কিন্তু তখনই হঠাৎ!!!!
শয়তানটা ওর উপর উঠে গেল আর ফের ওকে ধর্ষণ করতে লাগলো ।

এবারে আরোহী দমটা বন্ধ হয়ে আসছে আরোহী ওই আর পারছি না সহ্য করতে।
ওর আস্তে আস্তে চোখ ধোঁয়া হতে থাকলো তখনই হঠাৎ ওর ঘুম ভেঙে গেল।

আরোহী জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে চারিদিকে দেখতে লাগলো।

ও দেখলে ও ওর বেডরুমেই আছে আশপাশে সব জিনিস ঠিকঠাকই আছে। ওর শরীর ঘামে ভিজে গেছে, ও পাশে থাকা ঘড়িটাই দেখতে লাগলো এখন প্রায় রাত সাড়ে আটটা বাজে।

ওর এখনো কিছু একটা মনে হলো ওর জামাটা খুলে দেখতে লাগল নিজের শরীরের কিছু দাগ আছে কিনা কিন্তু কিছুই দাগ নেই ওর শরীর পুরো ঠিক আছে কিন্তু ওর পেটের নিচের অঙ্গটা কিছু মনে হল। ওর ওখানে খুব ব্যথা হচ্ছে। ও দেখল যে পুরো বিষয়গুলো রক্ত ভর্তি ওটা ওরই রক্ত ছিল।

কিন্তু এটা কি করে সম্ভব !!! ও তো স্বপ্ন দেখছিলো আর এটা যদি সত্যি হতো তাহলে তোর গায়েও দাগ থাকা উচিত ছিল কিন্তু একটা ছোট্ট আঁচড়েরও দাগ নেই ওর গায়ে !!!

ভয়েতে ওর গলা শুকিয়ে আসছে। ও তাড়াতাড়ি করে ওয়াশ রুমে গেল আর নিজেকে পরিষ্কার করুন ওর খুবই জল পেজটা লাগলো। ও পাশে থাকা জলের জবটা নিল। কিন্তু ওতে জল ছিল না।

ওর হাঁটতে খুবই কষ্ট হচ্ছে তবুও আস্তে আস্তে কিচেনের দিকে এগুলো কিচেন থেকে জল নিল আর নিচে রুমে আসছিল হঠাৎ করে ওর কানে কিছু একটা আওয়াজ গেল !!!

(কি শুনলো আরোহী? আর ওর স্বপ্নে যেটা ওর সঙ্গে হয়েছে সেটা কি সত্যি? এরপরে কি হতে চলেছে? আরোহী কি পারবে সবকিছু ঠিক করতে?)