Featured Books
বিভাগ
শেয়ারড

রহস্য রোমাঞ্চ গোয়েন্দা কাহিনী সিরিজ - 2

হোস্টেলে হত্যা - ২

মন্দিরা প্রথম দিনেই মুম্বাইয়ের অনেকটা পথ একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে ঘুরে নিয়েছে, যাওয়া আসার পথে দেখেছে মুম্বাইয়ের কিছু দ্রষ্টব্য। গিয়েছিলো আন্ধেরি আর জুহু বিচ এও যেখানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির যাবতীয় গ্লামাররা বসবাস করেন বিশাল এক একটা ফ্লাট নিয়ে। রাতে মালাবার হিলস থেকে নেমে চৌপট্টিতে গিয়ে চানা বাটোরা খেয়েছে তারিয়ে তারিয়ে। দ্বিতীয়দিনটা সুমিততে পেপার পড়তে হবে বলে তাদের ভ্রমণসূচি ফাঁকা। সন্ধেয় কি করবে এখনো ভাবেনি। আগামীকাল যাবে এলিফ্যান্ট কেভস দেখতে।

আপাতত সুমিত খুব মনোযোগ দিয়ে তার পেপারটায় চোখ বুলোচ্ছে, এখানে ওখানে কাটাকুটি করছে, ভুরুতে ভাঁজ ফেলে তন্ময় হয়ে আছে নিজের বক্তব্য যথাযথ হলো কি না ভেবে। একটু আগেই সে তার দ্বিতীয়বারের কফি খাওয়া শেষ করেছে, পেপারে মনোনিবেশ করার ফুরসতে তাকাচ্ছে দেওয়াল ঘড়িটার দিকে, এবারে শেভ করে প্রস্তুত হবে তার সেমিনারের জায়গায় যাওয়ার। তার মধ্যেই মান্দিরাকে বললো, তুমি কি সেমিনার শুনতে যাবে ?

মন্দিরার যাওয়ার তেমন ইচ্ছে নেই। বললো, কাল সারাদিন জার্নি করে কিছুতেই শরীরে জুৎ পাচ্ছি না।

----তা হলে ছেড়ে দাও। আমার পেপার তো তোমার তিনবার পড়া। বাকিদের পেপার শুনে সময় নষ্ট নাই বা করলে।

মন্দিরা জানে তার ওপর সুমিত কখনো জোর করে না। বললো না 'চলো চলো'। বরং তার অনিচ্ছা দেখে বললো, তা হলে ডাইনিং এ ফোন করে ব্রেকফাস্টের কথা বলে দাও। সাড়ে নটায় গাড়ি আসবে বলেছে।

মন্দিরা তখন ইন্টারকমের বোতাম টিপে ধরেছে ডাইনিং হলের ম্যানেজারকে, অর্ডার দিচ্ছে সুমিতের ব্রেকফাস্ট, বললো, 'মিনিট দশেকের মধ্যে পাঠিয়ে দিতে পারবেন ?' কেন না সুমিত শেভ করা থেকে শুরু করে স্নান সারতে সময় নেই মাত্র দশ মিনিট। তার পরেই বসে পড়বে ব্রেকফাস্ট নিয়ে।

হোটেলটা দারুন কর্মতৎপর, তার অর্ডার দেওয়ার পর তাদের রুমে ব্রেকফাস্ট আস্তে ঠিক দশ মিনিটি লাগলো। সাদা ঝকঝকে প্লেটে ডাবল ডিমের ঘন হলুদ ওমলেট। তাতে উঁকি মারছে টমেটোর লাল সৌন্দর্য। সুমিত পছন্দ করে এমনটাই রং। বলে, খাবার প্লেটে রং হবে ঘন হলুদ সবুজ, এমন নানা বায়নাক্কা তার।

পেপার বারকয়েক ঝালিয়ে সুমিত তড়াক করে লাফিয়ে ওঠে, এহে, দেরি হয়ে গেলো যে ! বলতে না বলতে ব্রেকফাস্ট !

সুমিত ততক্ষনে সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে আয়নার সামনে, এবার শুরু হবে তার দিনের রেলগাড়ি। সুমিতের পাজামা পাঞ্জাবি পরা শরীরটার দিকে একপলক চাউনি ছুড়ে মন্দিরা লাল হলুদ ওমলেট সবে ঢেলেছে প্লেটটায় সেসময়ই চমৎকার জলতরঙ্গের সুরে মোবাইলটা বাজলো। অন্যদিনকার চেয়ে একটু বেশি জোরেই। মোবাইলটা সুমিতের।

সুমিত ততক্ষনে সাবানের ফেনায় ভরপুর করে ফেলেছে দুই গাল, ভুরুতে ভাঁজ ফেলে বললো, কি জানি এখন আবার কে ফোন করলো ?

------নিশ্চই উদ্যোক্তাদের কেউ কথা বলবেন তোমার সঙ্গে।

সাবান মাখা গালেই মোবাইল চেপে ধরে সুমিত, হ্যালো -----

পরক্ষণে কি যেন শুনে মোবাইলটা কান থেকে তুলে এগিয়ে দেয় মন্দিরার দিকে, কলকাতা থেকে বলছে।

মন্দিরা চমকে উঠে বললো, সোনালিচাঁপা ফোন করেছে নাকি ?

------না, না। ফ্যাক্টরির কেউ মনে হচ্ছে।

হাঁপ ছেড়ে মন্দিরা বললো, নিশ্চই তোমার ফোন। নইলে এতো সকালে আমাকে কে আর ফোন করবে ! ফ্যাক্টরির গুঁড়ো ওড়াচ্ছে অমলেটের ওপর।

কোম্পানির চেয়ারম্যান সুমিত চৌধুরী গালে রেজার চালাতে চালাতে বলে, উঁহু, ফ্যাক্টরির সুপারভাইজার পল্লব দস্তিদার। বললেন ব্যাক্তিগত ব্যাপার। খুব সিরিয়াস। তুমি শুনে নাও তো চট করে। বলো সন্ধের পর রিং ব্যাক করবো।

মোবাইলটা হাতে নিয়ে মন্দিরা দেখলো তাতে সাবানের ফেনা। শাড়ির আঁচল দিয়ে ফেনা মুছে হাসলো এক ঝলক, বললো, চেয়ারম্যানকে চাইছে, তুমি অমনি আমাকে ধরিয়ে দিলে মোবাইল ! পারোও বটে -------

ম্যানেজিং ডিরেক্টর মন্দিরা চৌধুরী বুজলো এই তাড়াহুড়োর মুহূর্তে সুমিত টেলিফোন ধরতে চাইছে না। তবে সাবানরঞ্জিত সুমিতের পক্ষে সত্যিই ফোন ধরা অসুবিধের সে কথা বুঝেই মন্দিরা প্লেটটায় ঢাকা দিয়ে কানে লাগলো মোবাইল, হ্যালো ---------------

ম্যাম, পল্লব দস্তিদার বলছি। খুব বিপদে পড়েই আপনাদের বিরক্ত করছি এখন ----------------- বলতে বলতে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন ফ্যাক্টরির মাঝবয়েসী সুপারভাইজারটি।

এক একদিন সকালটা আসে একদম অদ্ভুত ভাবে, কোনো আগাম নোটিশ না দিয়ে আচমকা হানা দেয় মন্দিরার ভাবনার সুতোগুলো ঘেটেঘুটে দিয়ে। সেরকমই একটা দিন শুরু হলো আজ যখন মন্দিরা প্রবল ব্যাস্ত সুমিতকে প্রস্তুত করে সেমিনারে পাঠানোয়।

রিসিভার কানে লাগিয়ে কিছুক্ষন শোনার পরেই তার মুখের চেহারা বিবর্ণ, কোনো ক্রমে বললো, সে কি ! এতো ভালো ছেলে, তার কি করে এরকম ------------

বেশ কিছুক্ষন শোনার পর রিসিভার রাখলো যথাস্থানে, অতঃপর তাকালো সুম্মিতের দিকে, সুমিত তখন দু গালে ব্লেডের আঁকিবুকি কাটছে তুলির মতো করে, তার ফর্সা গালে ফুটে উঠেছে চমৎকার সবুজ আভা, মন্দিরার কথায় এমন কিছু অস্বাভাবিকতা ছিল যার কারণে তার তুলি থেমে যায় কিছু মুহূর্তের জন্যে, জিজ্ঞাসা করে, কোনো দুর্ঘটনা ?

---সাংঘাতিক। খুবই সেড নিউস।

--তাই নাকি ? কি হয়েছে ?

-------তোমার নিশ্চই মনে আছে প্রোডাকশন উইংয়ের দেবদত্তবাবুকে, তার ছেলে দিব্যসারথি মেডিক্যালে চান্স পেয়েছিলো বলে আমরা খুব কংগ্রাচুলেশন জানিয়েছিলাম। দেবদত্তবাবুর স্ত্রী তো অনেকদিন আগেই মারা গেছে। ছেলেটাকে অনেক টাকা খরচ করে পাঠিয়েছিল পুণে। সেই ছেলেটি পুণে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে মারা গেছে কাল রাতে।

-----বলো কি ! সুমিতের হাতের ব্লেড কেঁপে গেলো, আর একটু হলেই কেটে যাচ্ছিলো চিবুকের কাছটা। বললো, সে তো খুব ব্রিলিয়ান্ট ছেলে। উচ্চ মাধ্যমিকে অনেকগুলো লেটার পেয়েছিলো। কি হয়েছিলো তার ? কোনো অসুক বিসুখ ?

মন্দিরা মুখ শুকনো করে, না। আনন্যাচারাল ডেথ। হোস্টেল থেকে জানানো হয়েছে আত্মহত্যা।

সুমিতের ব্লেড থেমে যায়, আত্মহত্যা? হটাৎ কি এমন হলো !

পল্লববাবু জানালেন তার হাতের শিরা নাকি ব্লেড দিয়ে কাটা।

মাই গড ! সুমিত চোখ বুজলো মৃত্যুর কারণ জেনে। মুখে বললো ভেরি সেড !

-----দেবদত্তবাবু সব শুনে পুলিশকে বলেছেন আমার ছেলে এভাবে আত্মহত্যা করতেই পারে না। ওকে খুন করা হয়েছে।

-----খুন ! সুমিত তার গাল থেকে ব্লেড নামিয়ে নিলো। বহুক্ষণ তার মুখে কথাই সরল না। স্তম্ভিত মুখে মন্দিরার দিকে তাকিয়ে থাকে, তারপর সংবিৎ কাটিয়ে বললো, তাহলে তো খুবই সিরিয়াস ব্যাপার। কি করবে এখন ?

------পল্লববাবু পুণে মেডিক্যাল কলেজটার ঠিকানা দিয়ে দিলেন। বললেন, 'দেবদত্তবাবু এই একটু আগে খবরটা পেয়েই পাগলের মতো কান্নাকাটি করছেন। আমরা প্লেনের খবর নিতে গিয়ে শুনলাম পুণে যাওয়ার একটাই ফ্লাইট সকাল ছটায়। সারাদিনে আর কোনো ফ্লাইট নেই। মুম্বাই যাওয়ার সকালের সব ফ্লাইট ছেড়ে গেছে ছটা সাড়ে ছটার মধ্যে। নেক্সট ফ্লাইট বলতে বেলা একটা পঞ্চাশ। মুম্বাই থেকে পুণে বাই রোডে যেতে গেলেও রাত নটা সাড়ে নটার আগে কোনো সুযোগ নেই পুণে পৌঁছনোর। কাল রাতে আপনাদের খুঁজেছিলেন ফোন। আপনারা মুম্বাই আছেন জেনে বললেন ঘটনাটা আপনাদের জানাতে। যদি কোনোরকম সাহায্য করতে পারেন আপনারা।' কি কষ্টকর বোলো !

-------আমার তো মনে হয় এখনই পুণে যাওয়া দরকার। কিন্তু আমি অন্তত বিকেল চারটের আগে ফ্রি হতে পারবো না।

মন্দিরার যা স্বভাব তাতে ছটফট করে ওঠে। সুমিত এসেছে তার কাজে। মন্দিরার কাছে এটা একটা প্লেজার ট্রিপ। আর কয়েক ঘন্টা পরেই অবশ্য সেমিনারের পালা চুকলে তারা দুজনেই ফ্রি। ভেবে রেখেছে কাল সারাদিন এলিফ্যান্টা দ্বীপে যাওয়া ছাড়াও গোটা মুম্বাইয়ের আরো কিছু এলাকা ঘুরে বেড়াবে ইচ্ছেমতো। তাদের এই ভাবনাসূচির মধ্যে হটাৎ এহেন অঘটন।

এই সামান্য সময়ে বাইরে বেড়াতে এসে এরকম একটি জটিল আবর্তে জড়িয়ে পড়তে হবে তা সে একেবারেই ভাবেনি। পল্লববাবু যেভাবে তার এক কলিগ বন্ধুর দুঃখে কেঁদে ফেললেন, তাতে মন্দিরা খুবই বিচলিত বোধ করছিলো। এখানে থেকে পুণে খুব কাছে তো নয়। ম্যানেজারের কাছে ফোন করে জেনে নিলো একশো তেষট্টি কিলোমিটার। গাড়িতে গেলে ঘন্টা চার পাঁচ লাগবে। পুণে শহরে সে কখনো যায়নি। অতএব চেনেও না শহরটা। সেক্ষেত্রে তার পক্ষে বিভুঁইয়ের একটি শহরে একা যাওয়াটা খুবই অসুবিধের।

বিষয়টা সুমিত বুঝে ফেললো তখুনি, বললো, দেবদত্তবাবুর বিপদের দিনে আমাদের তার পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমি এখানকার সেমিনারের অর্গানাইজারদের বলছি একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে যাতে তুমি এখনই রওনা দিতে পারো পুনেয়। কিন্তু শহরটা তোমার কাছে অচেনা। একজন বিশস্ত লোক যদি ওরা তোমাকে দেন যিনি পুণে শহরটা চেনেন তাহলে তুমি দ্রুত পৌঁছে যেতে পারো সেখানে। তাই না ?

মন্দিরা ঠিক এরকমটাই ভাবছিলো পল্লববাবুর ফোন পাওয়ার পর থেকে। সুমিত প্রায় থট রিডিংয়ের মতো জেনে ফেলেছে তার অভিপ্রায়। সেমিনারে পেপার পড়ার ভাবনার মধ্যেও সে জে মন্দিরার জন্য এতো কথা ভেবেছে এটাই মন্দিরার কাছে বিস্ময়ের। সুমিত তা হলে তার কোম্পানির বাইরের জগৎটাতেও ঘুরছে।

-----নাথিং লাইক ডেট, মন্দিরা তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো সে ব্রেকফাস্ট খেয়েই রওনা দেবে পুণের উদ্দেশে। যাওয়ার পথে কোথাও খেয়ে নেবে দুপুরের খাবার। মুম্বাই থেকে তার পুণে যাওয়ার মধ্যে দেবদত্তবাবু কোলকাতা থেকে এসে পৌঁছতে পারবেন না কিছুতেই। একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে খুবই বিপর্যস্ত। মন্দিরা চাইছে তিনি পৌঁছনোর আগে সেখানে পৌঁছতে। তাকে দেখলে ভয়ংকর দুর্ঘটনার মুখোমুখি লড়াই করার সাহস পাবেন কিছুটা।

-----তুমি গিয়ে তোমার কাজ শুরু করো। তারপর কয়েক ঘন্টার মধ্যে আমিও গিয়ে পৌঁছবো। সুমিত প্রস্তুত হতে হতে বললো।

মন্দিরা মাথা নেড়ে বললো, তোমার কি যাওয়ার দরকার হবে ! সারাদিনে তোমার ওপর দিয়ে যা ধকল যাবে, তারপর ----

পরক্ষণেই মন্দিরা বললো, ঠিক আছে, আমি ওখানে পৌঁছে আগে পরিস্থিতি বুঝি। যদি মনে হয় তোমার প্রয়োজন আছে, তাহলে মোবাইলে তোমাকে জানিয়ে দেব। আর তেমন দরকার না হলে তোমার যেতে হবে না। আই উইল টেক কেয়ার অফ। আমি যাচ্ছি ওদের হোস্টেলে। ওখানে গেলে হয়তো কিছুটা পরিষ্কার হবে ব্যাপারটা। আগে বুঝি সুইসাইড, না মার্ডার। হয়তো সুইসাইড। আজকাল অল্পবয়েসীরা কত সামান্য কারণে কত অসামান্য ঘটনা ঘটিয়ে ফেলছে ! পরীক্ষা একটু খারাপ হলো, অমনি সুইসাইডের ভাবনা মাথায় ঘুরতে শুরু করলো। যেন এইটেই জীবনের শেষ পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটা খারাপ হলো মানে জীবনে আর কিছু হবে না। কিন্তু একটু ধৈর্য্য ধরলেই হয়তো তার জীবন বদলে যেতে পারতো। হয়তো পরের পরীক্ষায় একটা অসাধারণ রেজাল্ট করে ফেললো। তখন মনে হবে জীবন অনেক বড়। জীবনের একটা বছর নষ্ট হওয়া তেমন কিছু নয়।

----এক্সাক্টলি, সুমিতকে একইসঙ্গে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত দেখায়। কব্জিতে চোখ রাখে। তার সময় এখন দৌড়োচ্ছে একশো মিটারের স্প্রিন্টারের মতো।

মান্দিরাও সচেতন হয়। এখন মোটেই বক্তিতা দেওয়ার সময় নয়। সেমিনারের কথাও ভাবতে হচ্ছে সুমিতকে। এদিকে একজন ব্রিলিয়ান্ট তরুণের মৃত্যু সংবাদ, অন্যদিকে তার প্রফেশনাল জীবনের ঝামেলা।

সুমিতের ততক্ষনে ব্রেকফাস্ট খাওয়া শেষ। কাঁটা চামচ ত্রুশ করে রেখে উঠে পড়েছে সোফা থেকে। দেরাজ খুলে পোশাক বার করে পরে ফেললো দ্রুত। রঙ্গিন টাইটা বাঁধা শেষ করে দ্রুত কার সঙ্গে কথা বললো মোবাইলে। মোবাইল অফ করে মন্দিরাকে বললো, আধঘণ্টার মধ্যে গাড়ি ও পথপ্রদর্শক কাম নিরাপত্তারক্ষী এসে যাবে তোমার কাছে।

----ও কে, মন্দিরা উৎকণ্ঠা মিশিয়ে হাসলো। তার মনে তখন উথল দিয়ে উঠছে হাজার ঝড়। লক্ষ প্রশ্ন।

সুমিত বেরিয়ে যাওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই মন্দিরার কাছে এসে পৌঁছলো একটি চমৎকার আধুনিক কেতার গাড়ি। চকলেট রঙের গাড়িটায় ঝাঁকুনি প্রায় নেই বললেই চলে। মেরিন ড্রাইভের নীল সমুদ্রের মায়া ত্যাগ করে তাদের গাড়ি ছুটে চললো পুণের পথে।