Piyali(majnu er ma): এনে মনোজ ইলেকট্রিক বিল আজকে কিন্তু মনে করে বিলটা জমা দিবি নইলে কিন্তু এবার কারেন্টটা কেটে দিল বলে
Majnu: আরে হ্যাঁ, আজকে বিলটা দিয়ে দেব আর এরকম মনোজ মনোজ করবে না একদম আমাকে মাজ্নু বলবে..
Piyali: কি নামের ছিড়ি মাজনু শখ করে একটা নাম রেখেছিলাম তার কি দশা করেছে..
ঠিক আছে শিগগির যা নইলে আর জমা দিতে পারবি না বিলটা
Majnu: কে আমি লাইনে ওসব লাইন টাই না আমি যেখানে দাড়াই সেখান থেকে লাইন শুরু হয়..
Piyali: হ্যাঁ হয়েছে হয়েছে এবার যা..
Majnu: হ্যাঁ হ্যাঁ যাচ্ছি
ইলেকট্রিক বিলের লাইনে -
লাইন না দিয়ে একেবারে সামনে ঢুকতে গেলে লাইনে থাকা অন্যান্য লোকেরা তাকে বলে-
Onanno lokh: আরে, আরে, আমরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি দেখতে পাচ্ছেন না হঠাৎ করে সামনে থেকে ঢুকছেন যে মহা ধরিবাজ লোক তো আপনি যান পেছনে কি লাইনে দাঁড়ন..
Majnu: আরে না না আমি লাইনে ঢুকছি কোথায়? আমি তো লাইন টা কত বড় তা দেখতে এসেছিলাম..
Onanno lokh: আমাদের দেখে কি মশাই আপনার বোকা মনে হচ্ছে জানত পেছনে যান আপনার নাম কি হ্যাঁ শুনি?
Majnu: আমার নাম মাজনু সবাই আমাকে বলে মাজনু নাম্বার 1
Onanno lokh: যেমন নাম তেমনি পুরো....
লোকের কথায় শেষে লাইনের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়াতে হয় দাঁড়িয়ে একটু সুন্দরী মেয়েকে দেখে তার সামনে গিয়ে মেয়েটিকে বলে -
Majnu: হাই আমি মাজনু
Mayeti: হ্যালো(occurred feel kore)
Majnu: তোমার যদি কোন bf থাকি তাহলে তার সাথে breakup করে দাও এবং তোমার ফোন নাম্বারটা আমাকে দিন..
Mayeti: মেয়েটা কথাটা শুনে এক চড় মারে..
Majnu: আপনি আমাকে চড় মারলেন!
কথাটা যেই না বলল পাশ থেকে মেয়েটির bf এসে তাকে বিশাল মারে এবং বলে -
" আমার gf সাথে কথা বলা হচ্ছে? আবার নাম্বার চাওয়া হচ্ছে তোকে আজকে মেরেই ফেলবো "
কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে মাজনু তার দাদাকে ফোন করে ডেকে তাকে বাঁচাতে বলে
দাদা: তাকে বাঁচিয়ে তার দাদা বলে এতেও যদি তোর কোন শিক্ষা হয় সারাক্ষণ এই গার্লস স্কুল ওই গার্লস স্কুল এই গার্লস কলেজ ওই গার্লস কলেজ এর চারপাশের ঘুরতে থাকিস এবার এগুলো কিছু বন্ধ কর..
দাদা দাদার মতো কথাগুলো বলে যায় মাজনুর কানে কোন কথাই ঢোকে না..
পরের দিন সকালে-
Majnu: মা আমি বেরোলাম..
Piyali: রোজ কোথায় যাস বলতো এই সাইকেলটা নিয়ে সকাল সকাল
Majnu: আমারও তো বলার সময় নেই আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে আমি আসছি..
রাস্তায় সাইকেল নিয়ে কিছুটা যেতে যেতে একটি বাচ্চা স্কুল যাবে না বলে বায়না করছিল তার বাবা মজনুর সাইকেল থামিয়ে মাজনুকে দেখিয়ে বলে-
" দেখ স্কুল যাবি না বলছিস স্কুল না গেলে পড়াশোনা না করলে এর মতো অকর্মণ্য তৈরি হবি তখন দেখবি সাইকেল কেন bmw নিয়ে ঘুরলেও কোন মেয়ে ঘুরেও তাকাবে না..
Majnu: কাকু এবার আপনি লিমিট ক্রস করছেন আমি অকর্মন্য আমার কত কাজ আছে আপনি জানেন..
Kaku: হ্যাঁ হ্যাঁ জানা আছে তোর কত কাজ ওই তো যাবি সাইকেল নিয়ে গার্লস কলেজের সামনে ঘুরবি সারাক্ষণ একটা মেয়ের সাথে কথা বলো তো দূর একটা নাম্বারও জোটাতে পারবি না..
Majnu: শোনো কাকু নেহাত আমার এখন দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই কিছু বলছি না..
Kaku: হ্যাঁ হ্যাঁ জানা আছে তোর কি কাজ যা যা..
তার কিছুক্ষণ পরে মাজনু গার্লস কলেজের সামনে সাইকেলে হাজির হয়। তখন কলেজ সবে শেষ হয় সব মেয়েরা এক এক করে বেড়াচ্ছে মাজনু তখন সব মেয়েদের বলে-
Majnu: আপনার নাম্বারটা দিন এবং আপনার bf এর সাথে ব্রেকআপ করে নিন..
Mayera: অশভ্য, অভদ্র, বেয়াদোব বলে আরও অনেক লোক জড়ো করে গণধোলাই দেয়-
অত মার খেয়ে ও পরে আবার একটি বিবাহিত মেয়ে কে বলেন-
Majnu: তুমি আমাকে বিয়ে করবে?
Mayeti: আমি বিবাহিত
Majnu: তাতে কি হয়েছে husband কে divorce দিয়ে দেবে..
Mayeti: একটা তো বাইকও জোটাতে পারিস নি আবার আমার husband কে divorce দেওয়ার কথা বলছিস হতচ্ছাড়া বেয়াদব..
তারপর মেয়েটি জুতো নিয়ে তাড়া করতে থাকে মাজনুর পেছনে..
সেদিন রাতে এত মার খেয়ে বাড়ি ফেরার পর-
Piyali(majnu ke dakhe): এমা, আমার বাবুর কি হলো কি করে লাগল দাঁড়া দাঁড়া আমি বরফ নিয়ে আসি..
Majnu's dada: আবার বরফ দিচ্ছো জিজ্ঞেস করো তোমার গুণধর ছেলে আবার কোন কোন মেয়ের হাতে মার খেয়ে এসেছে..
Majnu: দাদা তুই থামবি আ আ আমি আবার মেয়ের কাছে মার খেতে যাব কেন..
Dada: আর বলিস না আমার কাছে কি কোন খবর আসে না ভেবেছিস..
এই বলে দাদা চলে যাওয়ার পর -
Majnu: মা শোনো না আমাকে একটা বাইক কিনে দাও না আমার সব বন্ধুদের কাছে বাইক আছে। এই রোদ ঝড় বৃষ্টিতে আমাকে ওই খাটারা সাইকেল টা নিয়ে যেতে হয়। আমার কষ্ট হয় না বলো? তুমি তো আমার ভালো মা একটা বাইক কিনে দাও না..
Piyali: হ্যাঁ, বাইক এখন এত টাকা কোত্থেকে পাবো জানি তোর কষ্ট হয় কিন্তু এত টাকা পায়ও বা কোত্থেকে বল..
Majnu: কেন বিরাটি তে আমাদের ওই জমিটা আছে না ওখানে তো আমরা কেউ থাকি না। ওই জমিটা বিক্রি করে দিয়ে ওই টাকায় যদি বাইকটা কেনা যায়..
সেই সময় হঠাৎ দাদা সেই কথাটা শুনতে পেয়ে বলে-
ওই তো একখানা জমি আছে, ওটাও তুমি তোমার এই গুণধর ছেলের বাইক কেনার পেছনে দিয়ে দেবে তা তুই এই বাইকটা কিনে কি মহৎ কাজ উদ্ধার করবি শুনি কোন তো কাজ নেই তোর অকাজ ছাড়া না ওইসব বাইক টাইক কিচ্ছু হবে না তোর।
Majnu: না দাদা আমার অনেক কাজে লাগবে তুই বুঝছিস না আমার ব্যাপারটা..
Dada: যা পারো করো তোমরা..
দাদা চলে যাওয়ার পর মাকে আরো বুঝিয়ে জমি বিক্রি করে একটা বাইক কেনা হয়..
বাইক কিনেছে বলে বাড়িতে গুরুদেব আসে ও তারপর বাইক টাকে পুজো করা হয়। কোনভাবে পুজো হতে না হতেই মাজনুর তারা লেগে যায় বাইক নিয়ে বেরোবে বলে
Majnu: হ্যাঁ হয়েছে হয়েছে আর পুজো করতে হবে না
মা আমি বেরোচ্ছি..
Piyali: আরে দাঁড়া কোথায় বের হচ্ছিস গুরুদেব কে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আয় তারপর যেখানে যাওয়ার যাস।
Majnu: আরে মা তুমি বুঝনা আমার খুব দেরি হয়ে গেছে..
Piyali: আমিও সবকিছু জানি না তুই গুরুদেব কে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছো তুই যেখানে ইচ্ছে যা..
মায়ের কথা ফেলতে না পেরে অবশেষে গুরুদেবকে বাইকের পেছনে বসিয়ে নিই তাকে যেতে হয়।
গুরুদেব কে বাইকে বসিয়ে কিছুটা নিয়ে যাওয়ার পর সে দেখতে পায়-
অল্প বয়সী একটি মেয়ে লিফট চাইছে কিন্তু কাউকে পারছে না| একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আবার লিফট চাইছে মাজনু কি এই সুযোগ ছাড়তে পারে সঙ্গে সঙ্গে সে গুরুদেব কে বলল-
Majnu: গুরুদেব আপনি এখানে নেমে যান..
Gurudev: আমি এখন নেমে যাব মানে? আমার বাড়িতে এখান থেকে অনেকটা দূর
Majnu: আমি ওসব জানি না আপনি বাসে বা ট্রেনে কিছুতে একটা করে চলে যান আমি আপনাকে এখনো নিয়ে যেতে পারবো না আপনি নামুন আমার বাইক থেকে..
এই বলে জোরজবরস্তি করে গুরুদেবকে বাইক থেকে নামিয়ে দেয়।
Gurudev: এই নতুন বাইকের জন্য তোমার এত দেমাক আমি অভিশাপ দিচ্ছি তোমাকে যে বাইক থেকে আজ তুমি আমাকে নামিয়ে দিলে তোমার এই বাইকই চুরি হয়ে যাবে..
এসব কথা বলে গুরুদেব চলে গেলেন একটা কথা তখন মাজনু কানে নিল না সে তখন সেই মেয়েটিকে লিফট দিতে যেতে ব্যস্ত।
Mayeti: লিফট লিফট..
Majnu: এইতো হ্যাঁ বলুন কোথায় যাবে..
Mayeti: এইতো সামনে একটু ছেড়ে দেবেন প্লিজ..
Majnu: হ্যাঁ হ্যাঁ তুমি বসুননা
মেয়েটির সাথে যে একজন বয়স্ক ঠাকুমা ছিল সেটা মাজনু খেয়ালই করেনি..
মেয়েটি বয়স্কা সেই ঠাকুমাকে মাজনুর বাইকে তুলে দিল
Majnu: একি ওনাকে তুলছেন কেন আপনি যাবেন না..
Mayeti: না আমি কেন যেতে যাবো তাও আবার আপনার বাইকে যাইহোক ঠাকুমাকে সাবধানে পৌঁছে দেবেন..
ঠিক তার পরের দিন সকালে-
মাজনু ঘুম থেকে উঠে বা ইক নিয়ে বেড়োবে বলে বাইকটা বের করতে গিয়ে দেখে বাইক নেই কেউ গ্যারেজের তালা ভেঙে বাইক চুরি করে নিয়ে গেছে
Majnu: হে ভগবান কে আমার বাইকটা চুরি করে নিয়ে গেল..
Dada: দেখো মা এর জন্য বলেছিলাম এই অপদার্থটাকে বা ইক কিনে দিও না..
Majnu- তুই চুপ করবি দাদা একেই আজকে কীভাবে গালর্স কলেজ যাব কি করে বুঝতে পারছি না..
Dada: শোনো শোনো ওর কথা বাইক চুরি হয়েছে সেটা কিছু না ও গালর্স কলেজ যাবে কি করে সে সব ভাবছে.. ওকে কেউ নোবেল দাও..
Piyali: আরে তোরা থাম বাইক টা কি করে পাবি খুজে সেটা দেখ..
Dada: হ্যাঁ হ্যাঁ আমি যাচ্ছি পুলিশ স্টৈশান যাচ্ছি আর তোমার গুনধর ছেলে কী করবে জানিনা..
তখন হঠাৎ মাজনুর মনে পরল যে গুরুদেব তাকে অভিশাপ দিয়েছিল যে তার বাইক চুরি হয়ে যাবে। ঠিক তাই হয়েছে। তাহলে গুরুদেবই বলতে পারবে কি করে বাইকটা পাবো..
গুরুদেবের বাড়িতে মাজনু যাওয়ার পর-
Gurudev: বমভোলে বমভোলে..
Majnu: গুরুদেব গুরুদেব..
গুরুদেব বলে একেবারে গুরুদেবের পায়ে পড়ে গেল মাজনু..
Gurudev: একি একি পা ছাড় পা ছাড় বলছি এখন কেনআমার কাছে এসেছিস কালকে তো আমাকে বাইক থেকে নামিয়ে দিলি এখন হঠাৎ আমার পা ধরছিস বাইক চুরি গেছে তাই তো..
Majnu: হ্যাঁ গুরুদেব আপনি কি করে জানলেন?
Gurudev: আরে মূর্খ বালক আমি অন্তরজানি আমি জানবো না তোর বাইক চুরি গেছে তো কে জানবে.. তা এখন আমার কাছে এসে কি হবে..
Majnu: না গুরুদেব আমার মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে আর হবেনা আমার বাইকটা খুজে পাওয়ার একটা উপায় বলুন নইলে যে আমি আর গালর্স কলেজ যেতে পারবো না.. কিছু একটা বলুন
Gurudev: আমি কী বলবো আমি তো অভিশাপ ফিরিয়ে নিতে পারি না ছাড়াও দেখছি কী করা যায়..
Majnu: আপনি এরকম চুপ করে গেলে কী করে হবে কিছু তো বলুন..
Gurudev: এক কাজ কর তুমি পিঠে এক বস্তা নারকেল নিয়ে উদয়গিরি মন্দির এর ৩০০ টা সিঁড়ি পেরিয়ে মন্দিরের ঢুকে মন্দিরে নারকোলগুলো পাঠাবে মনে রেখো নারকোলের সংখ্যা যেন একশোটারও কম না হয়। এই কথা মেনে চললেই তোমার বাইক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে..
Majnu: আচ্ছা গুরুদেব..
এই কথা শুনে মাজনু চলে যায় এবং পরদিন সকালে পিঠে ১০০ টা নারকোল সমেদ ভারী বস্তা নিয়ে সিঁড়ি পেরিয়ে মন্দির রে ঢোকার প্রস্তুতি শুরু করে..
অনেক কষ্টে মন্দিরে পৌঁছে মন্দিরের সামনে ১০০টা নারকোল ফাটিয়ে আসে কিন্তু তারপরে দুদিন হয়ে গেল। তবু সে বাইকের কোন খোঁজ পায় না..
পরের দিন সকালে হাজি মাজনু আবার গুরুদেবের বাড়িতে হাজির..
আবার গুরুদেবের পায়ে পড়ে গিয়ে-
Majnu: গুরুদেব আপনি যে বললেন মন্দিরে ১০০ টা নারকেল ফাটালে বাইক ফিরে পাবো কিন্তু তার পরে তো আরো দুদিন হয়ে গেল বাইকের তো কোনো আশায় দেখতে পাচ্ছি না..
Gurudev: বোম ভোলে বোম ভোলে.. হ্যাঁ ভোলেনাথের সাথে তোর এই বাইক নিয়েই আমি কথা বলছিলাম তিনি বললেন তুই অনেক পাপ করেছিস তোকে আরো প্রায়সচিত্র করতে হবে তোকে সন্ন্যাসীর মত জীবন যাপন করতে হবে দশ দিন তাহলেই তুই তোর বাইক ফেরত পাবি..
Majnu: দশ দিন তাও আবার সন্ন্যাসীর মত....
Gurudev: হ্যাঁ আর এই দশ দিন বাড়িতে থাকতে পারবি না তোকে নবদ্বীপে ইসকনের মন্দিরে গিয়ে থাকতে হবে। কথাটা মনে থাকে যেন।
Majnu: আচ্ছা তাই হবে..
এরপর অতি কষ্টে দশ দিন সন্ন্যাসীর মত জীবন কাটিয়ে ফিরে আসে তাও যখন সে বাইক খুঁজে পায় না তখন আবার গুরুদেবের কাছে যায়-
Majnu: একি গুরুদেবের ঘর তালা দেওয়া কেন..
তারপর আশেপাশের লোকদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারে ইনি ছিল নামেই গুরুদেব আসলে মস্ত বড় বাইক চোর
Majnu: তার মানে আমার বাইকটা গুরুদেবই চুরি করেছিল আর আমাকে এরকম ভাবে ঘুরিয়ে নিজেই পালিয়ে গেল বেটা চোর..
যদিও এই পুরো ঘটনাটাতে সবাই মাজনুকেই দায়ী করে সে যদি মেয়েদের পেছনে না ঘুরে বেড়াত তাহলে বাইক চুরিই হতো না। এবং সে তার মা ও দাদার কাছে এই নিয়ে বিশাল মারধোর খায়....।