আসছে খুব শ্রীঘ্রই...🖤🥀
(নতুন আরেকটি উপন্যাস লেখার চিন্তা করেছি। সেই সাথে আগেরটাও চলবে। এই উপন্যাস টি আগেরটার থেকে অনেক বেশি আলাদা । সম্পূর্ণ অন্য থিওরি আনতে চলেছিএটি মূলত প্রেম+সামাজিক+ সাসপেন্স ও থ্রিলার ধরণের। বাস্তবতার সাথে মিলে রেখে গল্পটি রচনা করা হবে যেখানে তৎকালীন সমাজের বর্ণপ্রথা থাকবে। নারীদের দুর্বল মানসিকতা ও সমাজে গেঁড়ে বসা বিভিন্ন কুসংস্কার। বয়স ও আবেগের বশবর্তী হয়ে ভুল পথে পরিচালিত হয়ে শিক্ষালাভ এবং তিনজন ভিন্ন শ্রেণীপেশার রমণীর বন্ধুত্বের দিকটি তুলে ধরা হবে। গল্পটি অবশ্যই স্যাড এন্ডিং হবে তবে অসমাপ্ত হয়েও কখনো কখনো পরিণতি সমাপ্তির চেয়েও সুখজনক হয়। গল্পে দুজন জুটি দেখা যাবে এবং তাদের প্রেমকাহিনী বাস্তবতার নিরিখে তুলে ধরা হবে।
আশা করি এই উপন্যাসটি আপনারা উপভোগ করবেন এবং বেশি বেশি সাপোর্ট করবেন। এর ধারাবাহিক লেখা কবে শুরু করবো বলতে পারছি না তবে খুব শীঘ্রই আসছে। আগের গল্পের পাশাপাশি এটা লিখবো। তাহলে নতুন আরেকটি পথ পাড়ি দিতে চলেছি। সবাই ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইলো আর অবশ্যই পড়তে থাকুন, "THE TALE OF LOVE-❤️🥀🌹")
—
"পদ্ম, পদ্মলতা তুমি কি শুনছো? মায়াকন্যা একবার আমার দিকে ফিরে তাকাও লক্ষ্মীটি। বিশ্বাস করো তোমার সাথে এই বিরহের যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত দগ্ধ করছে"
পদ্মজ্বলিনীর কোমল ওষ্ঠাধর চন্দ্রবীরের এই মায়াবাণীতে তীর তীর করে কাঁপছে তবে এই কম্পন নিছকই দুঃখের নয় বরং এক আকাশ পরিমাণ অভিমানের তুল্য। সে চন্দ্রবীরের দিকে ঘুরে তাকালো সহসাই অভিমানী তেজস্বী কন্ঠে সুধায়, " এই বুঝি আপনার আসার সময়? রাত্রির দ্বীপ্রহরে আমার কি ভয় করে না"
"চাতক প্রায় অহর্নিশি...
চেয়ে আছি কালো শশী..
আমি হব বলে চরণ-দাসী,....
হব বলে চরণ-দাসী,....
ও তা হয় না কপাল-গুণে...
আমার মনের মানুষের সনে.."
চন্দ্রবীর স্মিত হাসি দেয়, " ওহে কন্যা তোমাকে কি করে বোঝাই আমার হৃদয়ে লুকায়িত প্রেমের সেই অমোঘ বাণী। চন্দ্রবীর এই পদ্মজ্বলিনীকে ছাড়া কিছুই নহে কন্যা। আমি চিরকাল তোমার প্রেমঅগ্নিতে ভষ্মীভূত হতে চাই পদ্মলতা"
"যখন ও-রূপ স্মরণ হয়,
থাকে না লোক-লজ্জার ভয়-
লালন ফকির ভেবে বলে সদাই
ঐ প্রেম যে করে সে জানে..
আমার মনের মানুষের সনে...
মিলন হবে কত দিনে..."
—
আবিরের রং এ যখন পুরো গ্ৰাম রঙিন তখন দুটি কাজলকালো দৃষ্টিতে অভিমান পরিলক্ষিত হয় ,"আপনি কি আজকের দিনে আসবেন না রুদ্র? আমি যে শুধু আপনার ভালোবাসার রঙে রঙিন হতে চাই?" অভিমানী মনে এক দৃষ্টিতে আকাশের পানে চেয়ে আছে স্রোতিকা।
হঠাৎ এক দমকা হাওয়ায় তার ঘন কেশরাশি খুলে যায়। সে যেন কালো রঙে নিজেকে আড়াল করে ফেলে। একজোড়া শক্তপোক্ত পুরুষালী হাতের নরম ছোঁয়া তার গালে লাগে। পুরো দেহে এক অন্যরকম শিহরন জেগে ওঠে তার। পেছন ফিরে তাকাতেই দেখে শ্বেতপদ্মের ন্যায় এক সুদর্শন পুরুষ তাকে আবিরের রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে।
তাকে নিশ্চুপ থাকতে দেখে রুদ্রাংশ প্রশ্ন করে, " অভিমান হয়েছে কৃষ্ণকায়া? কিন্তু কি করবো বলো আজকে চন্দ্রবীরের ঘোড়াশালের একটা শ্বেত ঘোড়া অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল তাই বিলম্ব হয়েছে আসতে?"
এবার আর নিজেকে সামলাতে না পেরে স্রোত বলে উঠলো, "আমি ভেবেছিলাম আপনি আসবেন না?"
"তোমার রঙে নিজেকে না রাঙালে আমি কিভাবে রঙিন হতাম কৃষ্ণকায়া?"
"আপনি আমাকে কৃষ্ণকায়া কেন বলেন রূদ্র? আমি কালো বলে?" ঠোঁটের কোনায় কিঞ্চিত তাচ্ছিল্য ফুটে ওঠে
"কৃষ্ণ কায়া বলি কারণ তুমি আমার কাছে কৃষ্ণের মতো সুন্দর বুঝলে স্রোত? রাধিকা যেমন শ্বেতবর্ণের হয়ে কৃষ্ণের ছায়া হয়ে থাকে আমি ও তেমন তোমার ছায়া হতে চাই কৃষ্ণকায়া। বুঝলে মায়াবতী তোমার ঐ দীঘল কালো চোখে আমি আমার সর্বনাশ দেখেছি?" বলেই স্রোতের কপালে এক প্রেমময় চুম্বন দেয়।
প্রেমিক পুরুষের এইরুপ কার্যকলাপে স্রোতের মুখ লাল আভায় প্রজ্জ্বলিত হয়।
"ভ্রমর কইও গিয়া
শ্রীকৃষ্ণ বিচ্ছেদের অনলে..
অঙ্গ যায় জলিয়ারে ভ্রমর কইও গিয়া
ভ্রমর রে...
কইও কইও কইওরে ভ্রমর কৃষ্ণ রে বুঝাইয়া
মুই রাধা মইরা যাইমু .কৃষ্ণ হারা হইয়া রে"-🖤🥀