মেঘ - এই ছেলে তোকে শাটলেস অবস্থায় বেশ হট লাগছে জানিস
অভিক - অসভ্য মেয়ে ! এটা কোন ধরনের বেয়াদবি ?
এমন রাম ধমক খেয়েও থামল না মেঘনা।এগিয়ে এসে অভিকের মুখোমুখি দাড়ায় ,কপাল কুঁচকে অভিক তার দিকে তাকিয়ে আছে ,মনে মনে বলে
অভিক- মেয়েটা করবে কি ?
মেঘনা অভিক কে চমকে দিয়ে একটু উঁচু হয়ে দাড়ায় ।অভিক কপাল কুঁচকে এখনো ঠাঁয় চেয়ে রয়েছে ,মেঘনা তার চোখে চোখ রাখল ।একটু হেসে আচমকাই তার গালে নিজের নরম ঠোঁট স্পর্শ করল ।চোখ বড় বড় হয়ে যায় অভিকের।ঠিক এমন করেই বাম গালেও টস করে চুমু এঁকে দিলো মেঘনা ।কানের কাছে মুখ এনে বলে -
আজ অব্দি সিনিয়র ভাইয়াদের জ্বালা সহ্য করেছি , কিন্তু আজ থেকে সিনিয়র আপুর দুষ্টু প্যারা সামলাতে হবে ডিয়ার!
কথা টা বলেই সেখান থেকে পা পিছিয়ে চলে গেলো মেঘনা ।গালে এক হাত দিয়ে ঠাঁয় নিজ স্থান দাঁড়িয়ে রইল অভিক , হতবাক বিস্ফোরণের দৃষ্টিতে মেঘনার যাওয়ার দিকে সে চেয়ে থাকল।অবাকের শেষ পর্যন্তই এসে দাঁড়িয়েছে সে,জীবনের প্রথম বার কোনো মেয়ে তাকে কিস করল! তাও কিনা এমন একটা মেয়ের থেকে? লাইক সিরিয়াসলি!
অভিক হতভম্ব হয়ে সেই স্থানে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক দিন পর চিরো চেনা সেই শহর টায় পা রেখেছিলো সে।তবে যেই বাড়িতে যাওয়ার কথা ,সেখান টা খুঁজে বের করতে পারছিলো না অভিক।আকাশে আজ উঠেছে রাগী তেজি সূর্য মামা ।যার তীক্ষ্ণ রোদের ঝলকানিতে ,আর ওনার উত্তাপতো গরমে ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে উঠেছে অভিক।শরীরের জড়িয়ে ছিলো সাদা রঙের শার্ট। একদম পাতলা রঙ্গের হওয়াতে আর অতিরিক্ত ঘামের কারনে তার শরীরের ভাঁজ স্পষ্ট হচ্ছিল।তবে সে কোথায় মেয়ে মানুষ? তার যদি শরীর ঘামে এমন দেখা যায় তবে এতে কি তার লজ্জা পাওয়ার কথা ? নাহ সে পুরুষ মানুষ একটুও লজ্জা করবে না তার ।তবে মাঝ রাস্তায় হঠাৎ করে একজন মেয়ে এসে তাকে এমন বাক্য বলবে সেই টা তার কল্পনাতেও ছিলো না ,সব টা বাদ দিলেও অভিক নিজের গালের উপর হওয়া সে স্পর্শ কে কি ভুলতে পারবে ? হয়তো না !
মেঘনা সরে এসে নিজের বন্ধু মহলের দিকে যায়।প্রতিটা মানুষ তার দিকে হা করে চেয়ে আছে।মেঘনা সোজা নিজের বন্ধু মালিহার সামনে যায় ,হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে
মেঘনা -:ডেয়ার ডান ,এবার আমাকে টাকা দে । শর্ত মোতাবেক আমি ওই ছেলেকে কিস করেছি তার সাথে ওকে হট বলে লজ্জায় ও ফেলেছি ! এবার দে আমার টাকা !
মালিহা গোল গোল চোখে মেঘনা কে দেখছে।নিজের মাথায় এক হাত দিয়ে সে পাশ ফিরে চাইলো সাবরিনার দিকে ।সাবরিনা যে এতো সময় ধরে নিজের হাসি চেপে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করছিলো, এখন মালিহার তাকানোতে সে ফিক করে হেসে ফেলে ।হাসতে হাসতে মালিহা কে বলে
সাবরিনা -: আমি আগেই বলছি তোকে ।যে সবার সাথে পাঙ্গা নিলেও মেঘের সাথে নিস না । তুই জানিস না যে মেঘ একটি ডেয়ার গাল! তবুও ওকে এমন ডেয়ার দিয়ে নিজের পাঁচ হাজার টাকা হারিয়ে ফেললি ! এবার বুঝ জ্বালা
সাবরিনা হাসতে লাগলো ,মালিহা অসহায় দৃষ্টি করে মেঘনার দিকে তাকায় ।মুখ টা কাঁদু ৺কাদু বানিয়ে এবার সে বলে
মালিহা - দোস্ত আমার ভুল হয়ে গিয়েছে তোকে ডেয়ার টা দেওয়া ।তবে এখন আমার কাছে টাকা নেই কাল দিবো কেমন ?
মেঘনা এটা শুনেই তেতে উঠল
মেঘনা - কি বললি তুই? এই যখন ডেয়ার দিয়েছিলি তখন আমি বলছিলাম পরে কমপ্লিট করি ।সেই সময় আপনি বলেছিলেন যে নাহ নাহ এক্ষুনি করতে হবে ।নাহলে ভাববো তুই ভীতু তাই না ।
তখনি সাবরিনা তার সাথে তাল মিলিয়ে বলে
সাবরিনা - দোস্ত তুই কি সব ভুলে গেছিস নাকি !আরে মনে কর ও তোরে এটাও তো বলছিলো ।তাও কিনা কড়া ভাবে ,যে এই রাস্তা দিয়ে প্রথম যেই ছেলে টা আসবে তাকেই কিস করতে হবে।
মেঘনা সাবরিনার কথায় মালিহার দিকে তাকায় ।মেঘনা সিদ্দিকী অতিরিক্ত দুষ্টু স্বভাব সে , মেঘনার সব দুষ্টুমির একটা সীমা থাকলেও আজকের ঘটনা তা ছিলো না ।মেঘনা কে নাকি স্কুলে ডেয়ার গার্ল বলা হতো ।আর সে তেমনি ,কঠিন কঠিন ডেয়ার সে কমপ্লিট করে ফেলে ।আর শর্ত মোতাবেক টাকা ও নিয়ে নেয় ।এই তো আজকের ঘটনা ,মেঘনা মালিহা আর সাবরিনা ছাদে বসে কথা বলছিলো ।এটা হলো সাবরিনাদের বাড়ি,প্রায় সময়ই এখান টায় তিনজন বান্ধবী বসে বসে আড্ডা দেয় আজ ও তার ব্যতিক্রম হচ্ছিল না । আড্ডা দেওয়ার মধ্যেই হঠাৎ করে মালিহা মেঘনা কে বলে
মালিহা - মেঘ তোকে স্কুলে এবং কলেজে ডেয়ার গার্ল কেনো বলা হয় রে?
মেঘনার জবার সাবরিনা দিলো ।
সাবরিনা দিলো - কেনো বলা হয় তুই জানিস না ! আরে মেঘ আজ অব্দি একটাও কঠিন ডেয়ার হেরে যায় নি ।সব ডেয়ার ডান করেছে , জানিস স্কুলে আমাদের একটা গনিত টিচার ছিলো ,বেটা অনেক বজ্জাত ছিলো ।ক্লাসে ঢুকেই সব সময়ই রাগা রাগী করতো ,জীবনেও ওর মুখে হাসি ছিলো না ।এক বার ওই বেটাকে প্রপোজ করার ডেয়ার দেওয়া হল মেঘ কে ।আর জানি ও সেটা করেও দিলো আর তার সাথে একটা তথ্য ও পেলো !
মালিহা কৌতুহলী হয়ে বলে -কি তথ্য দোস্ত?
সাবরিনা মেঘনা কে এক পলক দেখে নিলো ,মুখ টিপে হেসে সে বলে
সাবরিনা - আমাদের স্কুলের সব থেকে রাগী গনিত স্যার কে যখন মেঘ প্রপোজ করল তখন জানতে পেলাম যে মনে মনে বেটা নাকি আমাদের মেঘ কে পছন্দ করে ।তাই তো আর কিছুই বলে নাই !
মালিহা আর সাবরিনা হাসতে আরম্ভ করল।মেঘনা তার দেখে দিলো এক ঝাড়ি তবে কাজ হলো না এতে ,দুই বান্দর হেসেই চলেছে এক নাগাড়ে। হঠাৎ হাসি থামিয়ে মালিহা বলে
মালিহা - ওকে ওকে তোর যদি এতোই নাম কাম থাকে এই ডেয়ার কমপ্লিট করা নিয়ে তবে আমার একটা ডেয়ার ডান করে দেখা তো দেখি !
মেঘনা এক ভ্রু নাচিয়ে সন্দিহান গলায় জিজ্ঞেস করে
মেঘনা - কেমন ডেয়ার !আর তার আগে বল এটা করলে তুই আমাকে কি দিবি ।
মালিহা - যা চাইবি তাই দিবো !
মেঘনা - ভেবে দেখিস কিন্তু
মালিহা - দোস্ত আগে তুই শুনি তো ডেয়ার টা কি ?
মেঘনা বলে - বলিস পরে আগে দেনাপাওনার হিসেব তো শেষ করি !
মালিহা এবার বলে - দেখ মেঘ ,আগে শুনে নে ডেয়ার টা কি ।এমন যেনো না হয় যে তুই টাকা পয়সা সব ঠিক করলি আর পরে আমার ডেয়ার শুনে পা পিছিয়ে নিলি!
মালিহা হেসেই কথা টা বলেছিলো ।তবে মেঘনা তীক্ষ্ণ গলায় বলে
মেঘনা - আজ অব্দি আমার কখনো কোনো ডেয়ার হারি নি ।আর যতো কঠিন হোক না কেনো আমার সেটা কমপ্লিট করেই ছাড়বো ! এবার বল কি করতে হবে !
মালিহা নড়েচড়ে বসল ।এদিক সেদিক তাকিয়ে কিছু একটা ভাবল সে ।মাথায় একটা জিনিস আসতেই উৎফুল্ল হয়ে বলে
মালিহা - ওই যে রাস্তা টা দেখছিস ?
মেঘনা সাবরিনা দেখলো ,বাড়ির সামনেই দু'টো রাস্তা ।একটি ডান দিকে তো অপর টি বাম দিকে ।একি রাস্তার দুটি ভাগ মুলত,মেঘনা রাস্তা দিকে তাকিয়ে কপাল কুঁচকে বলে
মেঘনা - তো! রাস্তা থেকে কি বালি তুলে এনে তোকে খাওয়াতে হবে নাকি ?
মেঘনার এমন কথা শুনে মালিহা হতবাক।সাবরিনা হাসতে লাগলো ,সাবরিনা কিছু টা এমনি ছিলো ,সব সময়ই হেসে থাকত ।বলা যায় হাসি ওর প্রধান কাজ ।কারনে অকারণে সে হাসবেই হাসবে ।সাবরিনা কে ধমক লাগিয়ে দিলো মালিহা।
মালিহা-চুপ কর তো সাবু !
মেঘনার দিকে তাকিয়ে এবার বলে
মালিহা - না রে দোস্ত আমি বাড়ি থেকে পেট ভরে খাবার খেয়ে এসেছি এখন এই বালি খেয়ে নিজের পেট ফাটাতে চাইছি না ।তো তুই এবার আমার কথা শুন !
মেঘনা মনোযোগী হলো তার কথায় ।মালিহা এবার বলে -
মালিহা- দেখ এই রাস্তা দিয়ে প্রথম যে আসবে,সেটা ছেলে হোক কিংবা মেয়ে ! বুড়ো হোক কিংবা যুবক যাই হোক না কেনো তাকে গিয়ে তোকে লজ্জায় ফেলতে হবে।
মেঘনা - আরে আমি কি ওর জামাই লাগি নাকি ,যে তাকে কিছু একটা বলে লজ্জায় ফেলবো ?
মালিহার কথা শেষ হওয়ার আগেই মেঘনা খানিকটা চেঁচিয়ে বলে উঠে ।যা শুনে মালিহা বলে
মালিহা - তুই আমার পুরো কথা টা শুনবি তো আগে নাকি ?
মেঘনা সোজা হয়ে বসল ,মালিহা এবার বলে
মালিহা - তুই এমন কিছু একটা তাকে বলে লজ্জা দিবি ।আর লজ্জা কেটে উঠার আগেই সেই লোক টা কে তুই
সাবরিনা আর মেঘনা এক সাথে বলে - কি ?
মালিহা একটু থেমে যায় ,এবার সে সাহস জুগিয়ে বলে
মালিহা - তুই তাকে কিস করবি
মেঘনা + সাবরিনা - : হোয়াট ?
মালিহার এমন ডেয়ারের কথা শুনে মেঘনা তার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে ।মালিহা বোধহয় জানতো যে মেঘনা কাউকে কিস করতে রাজি হবে না তাই তো এমন ডেয়ার ইচ্ছে করে দিয়েছে ।সাবরিনা এবার মৃদু রেগে গিয়ে বলে
সাবরিনা -: দেখ মালিহা তুই এমন ডেয়ার কেনো দিলি ? এটা একটা গেইম আর তুই ওকে অচেনা একটা মানুষ কে কিস করতে লাইক সিরিয়াসলি! আর তুই তো ওকে অন্য কিছু ও দিতে পারতি ,এটা কোন ধরনের ডেয়ার গেইম !
মালিহা এবার বলে - দেখ সাবু এখানে সিরিয়াস নেওয়ার কিছুই নেই ।এটা শুধু একটা গেইম আর আমি তো ওকে ডেয়ার ডান করার জন্য টাকা ও দিবো তাই না ।এখন বল মেঘ তুই কি আসলেই ডেয়ার গার্ল বলার যোগ্য!
মেঘনার দিকে তাকিয়ে কথা টা বলে মালিহা।এখন মেঘনা কে কিছু একটা বলতেই হবে কারন এবার ব্যপারটা তার সম্মানে এসে লেগেছে।তাই সে অন্য কিছু না বলেই সোজা ছাদ থেকে নেমে যায় ।মালিহা আর সাবরিনা ছাদ থেকে দেখছে মেঘনা কি করে ? মেঘনা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে পড়ল ।তার মাথায় কিছুই আসছে না সে কি বলবে বা কি করবে ।মেঘনা দুরু দুরু বুক নিয়ে একটু পর পর শুকনো ঢোক গিলছে।মনে মনে বিরবির করলো ভয়ার্ত মেঘনা
মেঘনা -: না জানি কে আসবে ।যদি কোনো বুড়ো ভুরি যুক্ত লোক আসে ,তাহলে কি ওই বেটা রে কিস করতে হবে ? না মানি আমার জীবনের প্রথম কিস তাও কিনা একটা বুড়ো খাটাশ লোক কে করবো ? ছিঃ! নাহ নাহ মেঘ তোকে করতেই হবে ।কারন এবার তোর ডেয়ার গার্ল উপাধি নিয়ে টানাটানি পড়ছি ,করতেই হবে তোকে ।
মেঘনা থেমে থেমে গভীর শ্বাস নিচ্ছিলো,তখনি নজর পড়ল রাস্তার দিকে ।সাদা শার্ট পড়ে একটা যুবক এগিয়ে আসছে! মুখ চোখে বিরক্তির ছাপ । আশ পাশ দেখে কিছু একটার খোজ চালিয়ে যাচ্ছে সে ।মেঘনা কপাল কুঁচকে যুবক কে দেখছে। শরীরের শার্ট টা অতিরিক্ত ঘামের কারনে ভি৺জে লেপ্টে আছে দেহের সাথে ।যার ধারন শরীরর ভাঁজ স্পষ্ট হলো মেঘনার নিকট । দুষ্টু মেঘনার মাথায় আসলো কুটো বুদ্ধি, দুষ্টু হেসে সে এগিয়ে এলো ।লোক টা নিজের হাত ঘড়িতে সময় টা দেখে নিলো তখনি মেঘনা তার সামনে সে তা বললো ।ছেলেটা যাতে তাকে অন্য কিছু বলতে না পারে তাই সে নিজেকে তার সিনিয়র আপূ বলে দাবি করল ।অথচ মেঘনা জানেও না ছেলেটার আসলে কত বয়স !
বর্তমান —---
মালিহা পর পর মেঘনা কে অনুরোধ করছে আর বলছে
মালিহা - মেঘ প্লিজ আমাকে যেতে দে । কথা দিচ্ছি আমি কাল তোর ডেয়ারের টাকা নিয়েই আসবো ! প্লিজ দোস্ত!
মেঘনা আর সাবরিনা তার দিকে তাকিয়ে আছে ।সাবরিনা বলে -
না মেঘ ওর কথা শুনবি না ।ও কি করছে মনে নেই ? ওরে এখন ধরে ইচ্ছে মতো কেলানি দে দেখবি এমনি এমনি টাকা বের হবে !
মালিহা অসহায় গলায় বলে
মালিহা - দোস্ত প্লিজ ! অনন্ত তুই তো আমার সাপোর্টে থাক !
এতো কিছুর মাঝে কোনো ধ্যান নেই মেঘনার । কিছু একটা ভাবতে সে মগ্ন,মালিহা যে তার কানের কাছে সেই কখন থেকে প্যান প্যান করেই যাচ্ছে এতে একটুও পাত্তা দিলো না সে । বরং শান্ত গলায় বলে -
মেঘনা -: কাল টাকা নিয়ে আসিস !
ছোট করে বলেই সে ছাদ থেকে নেমে যেতে নেয় তখনি সাবরিনা বলে
To be continue?
ছোট গল্প এটি।ঞ্জঞ্জ
সাবরিনা- : কোথায় যাচ্ছিস ?
মেঘনা -: বাড়িতে , আম্মু আজ তাড়াতাড়ি ফিরতে বলেছে !
সাবরিনা - ; কেনো ? কোনো মেহমান আসবে বুঝি ?
মেঘনা একটু হেসে বলে -: হ্যা ,আপু কে দেখতে আমার ফুপুর ছেলে আসবে আজ !
তখনি মালিহা বলে -: দেখিস আবার আপু কে দেখতে এসে তোকে নাকি পছন্দ করে বিয়ে করে নেয় তোর কাজিন !