শ্বেতার মনে হয়, পৃথিবীর সব থেকে বিষাক্ত বিষের থেকেও তার বসের নামটা বেশি বিষাক্ত। রাজীব। একটা শব্দের মধ্যে এত ঘৃণা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেটা সে আগে জানত না। আজ সকালে নিজের ডেস্কে বসে সে যখন গভীর মনোযোগে একটি ফাইল দেখছিল, তখনই তার কানে আসে সেই পরিচিত ভারী কণ্ঠস্বর। "মিস সেন, আপনার কাজে আমি সন্তুষ্ট নই। এই রিপোর্টটা ঠিকমতো করা হয়নি।" শ্বেতার মাথাটা আপনা-আপনিই উপরে উঠে আসে। সামনে দাঁড়িয়ে আছে রাজীব। তার মুখে বিরক্তি আর চোখে সেই চিরপরিচিত শীতলতা। শ্বেতা রিপোর্টটা হাতে নিয়ে দেখে, কোথাও কোনো ভুল নেই। তবুও সে তর্ক করল না। তার মায়ের চিকিৎসার জন্য এই চাকরিটা ভীষণ জরুরি। তাই সবটা মুখ বুজে সহ্য করে যাওয়া ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই। সে শুধু শান্তভাবে বলল, "আমি এটা ঠিক করে দিচ্ছি, স্যার।"
Forced Marriage - 1
শ্বেতার মনে হয়, পৃথিবীর সব থেকে বিষাক্ত বিষের থেকেও তার বসের নামটা বেশি বিষাক্ত। রাজীব। একটা শব্দের মধ্যে এত লুকিয়ে থাকতে পারে, সেটা সে আগে জানত না। আজ সকালে নিজের ডেস্কে বসে সে যখন গভীর মনোযোগে একটি ফাইল দেখছিল, তখনই তার কানে আসে সেই পরিচিত ভারী কণ্ঠস্বর।"মিস সেন, আপনার কাজে আমি সন্তুষ্ট নই। এই রিপোর্টটা ঠিকমতো করা হয়নি।"শ্বেতার মাথাটা আপনা-আপনিই উপরে উঠে আসে। সামনে দাঁড়িয়ে আছে রাজীব। তার মুখে বিরক্তি আর চোখে সেই চিরপরিচিত শীতলতা। শ্বেতা রিপোর্টটা হাতে নিয়ে দেখে, কোথাও কোনো ভুল নেই। তবুও সে তর্ক করল না। তার মায়ের চিকিৎসার জন্য এই চাকরিটা ভীষণ জরুরি। তাই সবটা ...আরও পড়ুন
Forced Marriage - 2
শ্বেতার পুরো পৃথিবীটা যেন ঘুরতে শুরু করেছিল। ফোনের ওপারে সেই নির্লিপ্ত, শীতল কণ্ঠস্বর। রাজীব! যে মানুষটাকে সে ঘৃণা করে, মানুষটা কারণে-অকারণে তাকে অপমান করে, সেই মানুষটাই এখন তার মায়ের জীবনের শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্বেতার রক্ত গরম হয়ে ওঠে। ঘৃণা, ক্রোধ আর অসহায়তা একসঙ্গে মিলেমিশে এক ভয়ংকর অনুভূতি তৈরি হয়।"আপনি কি বলছেন, স্যার? আপনার মতো একজন মানুষ, যিনি নিজের কর্মীদের সামান্য সম্মানও করেন না, তিনি আমার মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছেন?" শ্বেতার গলা কাঁপছিল, "আর তার বদলে আমি আপনার জন্য... বিয়ে করব? অভিনয় করব? এটা কি কোনো ধরনের রসিকতা?"রাজীবের দিক থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এলো না। কিছুক্ষণ পর সে শান্ত গলায় ...আরও পড়ুন
Forced Marriage - 3
শ্বেতা একটি গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে। এই চুক্তিটা তার কাছে নিজের সত্তা বিকিয়ে দেওয়ার সমান। কিন্তু তার মায়ের মুখের দিকে সব ঘৃণা, রাগ আর অভিমান তুচ্ছ মনে হয়। সে জানে, এই চুক্তি না মেনে নেওয়ার পরিণতি হতে পারে মায়ের জীবনহানি। এই ভাবনাতেই তার বুক কেঁপে ওঠে।পরের দিন শ্বেতা রাজীবের অফিসে গেল। এটা তার কাছে কোনো সাধারণ অফিস নয়, যেন একটা যুদ্ধের ময়দান। সে রাজীবের কেবিনে প্রবেশ করল। রাজীব তার চেয়ারে বসেছিল। শ্বেতাকে দেখে তার মুখে কোনো পরিবর্তন এল না। সেই একই নির্লিপ্ততা, একই শীতলতা।"আপনি এসেছেন, মিস সেন। আমি জানতাম আপনি আসবেন।" রাজীব টেবিলের ওপর একটি খাম রাখল। "এই নিন, আপনার ...আরও পড়ুন