The House of Devil Sprite - 8 books and stories free download online pdf in Bengali

দ্যা হাউস অফ ডেভিল স্পিরিট - 8

দেখতে দেখতে সেই ফাটল গুলো বিরাট আকার ধারণ করল | এবার ঘরের মাঝ বরাবর ফাটাল ধরতে শুরু করলো | অভিরূপ প্রানপনে গেস্ট হাউস এর সদর দরজা খোলার চেষ্টা করছে | এমন সময় অভিরূপ মায়া র একটা প্রচন্ড হাড় হিম করা চিৎকার শুনতে পেলো | অভিরূপ পিছন ফিরে দেখল ঘরের ভেতরের বাতাসের চাপে মায়ার শরীর টা দুমড়ে-মুচড়ে শত খন্ডে বিভক্ত হয়ে গেল বাতাসে মিলিয়ে গেল | অভিরূপ এই সব মন্ত্র মুগ্ধ এর মতো দেখছিল হঠাৎ তার সামনে গেস্ট হাউসের ছাদটা ভেঙে মেঝেতে পড়ল |

অভিরূপ ভয়ে প্রায় আঁতকে উঠল | অভিরূপ আবার প্রাণপণে গেস্ট হাউসের সদর দরজাটা খোলার চেষ্টা করল কিন্তু এবার আর ওকে বেশি কষ্ট করতে হলো না | একটানে দরজাটা খুলে গেল | অভিরূপ দরজা খুলে গেস্ট হাউস এর সামনের রাস্তা দিয়ে ছুটতে লাগলো | অভিরূপ অনেক দূর থেকে দেখল গেস্ট হাউসটা মাঝখান থেকে দু ভাগে বিভক্ত হয়ে একটা প্রচন্ড আর্তনাদ করে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো আর সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গেস্ট হাউসের সেই ভয়ংকর ইতিহাস চিরকালের জন্য সেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পরে গেলো |

পরের দিন সকালে অভিরূপ ওর নিজের বাড়িতে এসে পৌঁছালো | রামু এসে দরজা খুলে দিল | রামু অভিরূপের বাড়িতে কাজ করে | অভিরূপ রামুকে এক কাপ চা করে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিল | রামু যথারীতি ঘাড় নেড়ে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল |

অভিরূপ ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িং রুম এর সোফায় গিয়ে বসলো আর টেবিলে থাকা খবরের কাগজটা পড়তে লাগলো | খানিকক্ষণ পর রামু চা নিয়ে এলো |

অভিরূপ চায়ের কাপে চুমুক দিল |
তারপর রামু অভিরূপ কে একটা সাদা খামে মোড়া চিঠি দিলো আর বলল ,
বাবু আপনার জন্য চিঠি |

অভিরূপ জিজ্ঞাসা করল , আমার জন্য চিঠি ? কে পাঠিয়েছে ?

রামু বলল , কাল সকালে গেটের তলায় এই চিঠিটা পড়েছিল আমি মনে করলাম এটা হয়তো আপনার দরকারি চিঠি তাই রেখে দিয়েছিলাম |
অভিরূপ চিঠি টাকে উল্টেপাল্টে দেখে নিয়ে চিঠির প্রথম ভাঁজ খুলল |

চিঠিটার প্রথম ভাঁজে লেখা আছে একটা সতর্কবাণী “ সাবধান ........ চিঠিটা পড়বেন না” |

অভিরূপ প্রথমে মনে করলো তাকে হয়তো কেউ ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে | তার পর অভিরূপ চিঠিটার দ্বিতীয় ভাঁজ টা খুলে ফেলল এবং তাতে লেখা আছে ছয় লাইনের একটি কবিতা | অভিরূপ সেই কবিতাটি পড়লো |

কবিতাটি পড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই অভিরূপ এর মনের ভিতরে ছ্যাঁত করে উঠলো | তারপর নীতিনের বলা সেই সেই ছয় লাইনের কবিতাটির কথা অভিরূপ এর মনে পড়ে গেল | অভিরূপ হাত-পা থর-থর করে কাঁপতে লাগলো |

অভিরূপ এবার বুঝতে পারল সে নিজের অজান্তেই মৃত্যুর দূতকে আবার জাগিয়ে ফেলেছে এবং অভিরূপ এটাও বুঝতে পারল যে ও সাত দিন পর মারা যাবে |

তারপর এক অজানা রোগে আক্রান্ত হলো অভিরূপ | ধীরে ধীরে অভিরূপ এর শরীর খারাপ হতে শুরু করলো | খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিলো | | চোখের তলায় কালি পড়ে গেল | অভিরূপ অনেক ডাক্তার দেখালো কিন্তু কোনো ডাক্তারই অভিরুপের রোগ ভালো করতে পারলো না | একটা অজানা ভয় অভিরূপের মনের ভেতর ছুটে বেড়াতে লাগলো।

দেখতে দেখতে অভিরূপ শয্যাশায়ী হয়ে পড়ল | অভিরূপ এর শরীর ধীরে ধীরে ফ্যাকাসে হয়ে গেল | অভিরূপের শরীর দেখলে মনে হতো যেন ওর শরীর থেকে সমস্ত রক্ত কেউ টেনে নিংড়ে বার করে নিয়েছে ।

এই ভাবে কয়েক দিন চলার পর এক দিন স্থানীয় সংবাদপত্রে অভিরুপের মারা যাবার খবর প্রকাশিত হলো |
শেয়ারড

NEW REALESED