Featured Books
বিভাগ
শেয়ারড

বাবার পছন্দ vs মেয়ের পছন্দ

পরিচয় ⟩

জুঁই সমাদ্দার, ছোটবেলায় মা হারা, বাবার অবাধ্য মেয়ে। প্রতিদিন ঝগড়া-ঝাটি করে বাবার সাথে। বাবার পছন্দ তার পছন্দ হয় না, আবার তার পছন্দ বাবার পছন্দ হয় না। Graduation complete করার পর তার বাবা চেয়েছে তাকে বিয়ে দিয়ে বিদায় করতে। জুঁই তা মানবে কেন? জুঁই আরো পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। তবে জুঁই একটু বোকাও বটে। ওদিকে জুঁই-এর বাবা হার্টের পেশেন্ট। তার পক্ষে অধিক টেনশন নেওয়া সম্ভব নয়। ডাক্তার কড়াভাবে ঝগড়া-ঝাটি করতে বারণ করে দিয়েছেন। আর এই ডাক্তার ব্যাটাই জুঁই-এর বাবার কান ভরেছে জুঁই-এর বিয়ের ব্যবস্থা করার জন্য। ডাক্তার একবার জুঁই-এর বাবাকে অপ্রয়োজনীয় কাড়ি কাড়ি ওষুধপাতি কিনতে বাধ্য করালে জুঁই ডাক্তারের টাকার ব্যাগে বাজি পটকা ফাটিয়ে দিয়েছিল। সেই থেকে জুঁই ডাক্তারের চক্ষুশূল।

~•~

জুঁই-এর জন্য পাত্র তার বাবা নিজে খুঁজবে আর জুঁইকে তার সাথেই বিয়ে করতে হবে–বাবার হুকুম।

কিন্তু জুঁই তা একেবারেই মানবে না। বাবার পছন্দ তার কোনোদিনও পছন্দ হয়নি। ওর মতে, বাবা জুঁই-এর পড়াশোনা ছাড়াবেন বলে তাল করছেন। এদিকে জুঁই-এর কোনো বয়ফ্রেন্ডও নেই যাকে নিয়ে এসে দাঁড় করাবে।

~•~

জুঁই-এর বাবা আত্মীয় মারফত ঠিক করেন একটি পাত্র, নাম সুদর্শন রায়চৌধুরী। দুমাসের মধ্যেই বিয়ের ডেট ঠিক করার প্ল্যান করছেন উনি। শোনামাত্র জুঁই-এর চক্ষু চড়কগাছ। তাকে যেকরেই হোক বয়ফ্রেন্ড খুঁজতে হবে। Matrimonials-এ খুঁজতে খুঁজতে পাওয়া গেলো একটা ছেলে। বেশ কয়েকদিন কথাবার্তা হলো তাদের। ছেলেটার নাম শান। দারুন জমে উঠলো এদের। জুঁই-এর তো নামটাও সেরা লেগেছে। সুদর্শনের মত গেঁয়ো নামের থেকে শান নামটা বেশ মডার্ন। জুঁই-এর দারুন পছন্দ হলো ছেলেটাকে, ছেলেটাও জুঁইকে ব্যাপক পছন্দ করে ফেললো। জুঁই তার আসন্ন বিয়ের case-টা ছেলেটাকে জানিয়ে পালানোর প্ল্যান বানাতে লাগলো। ছেলেটাও হ্যাঁ-এ হ্যাঁ মেলালো। তাদের এবার দেখা করা উচিৎ। King's Restaurant-এ তাদের First Meeting.

~•~

Now the conversation starts ⟩

[শান চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছে জুঁই-এর জন্য, চোখে black sunglasses, বাম হাতে নিজের নামের tatoo! পরনে grey coat, হাতে একটা ফুলের তোরা। Business করে ছেলে। Good-looking, fair personality… আহা, এরকম ছেলেই তো জুঁই চেয়েছিল। যাই হোক জুঁই-এর আগমন।]

জুঁই: (এসেই টেবিলে হাত দিয়ে বাড়ি মেরে) পালাবে চলো, এখন, এক্ষুনি।
শান: আরে, আরে শান্ত হও। কী খাবে বলো? পিৎজা?
জুঁই: খাবো না, টাইম নেই। বাবা বিয়ে দিয়ে দেবে গোবরমার্কা ছেলের সঙ্গে।
শান: এই তোমার বিয়ে কি আজকে? নিশ্চই না!
জুঁই: হ্যাঁ তা ঠিক। হুম। তাহলে বসি। পিৎজা খাওয়া যেতেই পারে।
শান: That's like a good girl. Hey waiter, two Mexican Pizza please. হ্যাঁ এবার বলো কী হয়েছে?
জুঁই: আরে… আমার বাবা। বাবা একটা গোবরমার্কা ছেলে কি যেন নাম সুকর্ষণ মনে হয়, ওর সাথে বিয়ে দিয়ে দেবে।
শান: যাহ বাবা, নিজের হবু স্বামীর নাম মনে নেই? আর কীকরে জানলে ও গোবরমার্কা?
জুঁই: তাতে তোমার কি হ্যাঁ? ও আমার হবু না আরো কিছু! তুমি আমাকে বিয়ে করবে না? পালাবে না আমায় নিয়ে?
শান: হ্যাঁ বিয়ে তো করবই।
জুঁই: তাহলে ওই ছাগলটা আমার হবু হয় কীকরে? আর ও গোবরমার্কা ছাড়া কী? নামই তো ঐরকম। হবে হয়তো ঘরকুনো, চাকুরীওয়ালা, ভদ্র, গোবেচারা ছেলে। আমার ওসব পছন্দ না। বুঝলে?
শান: হুঁ তা ঠিক। ও তোমার হবু হতে যাবে কেন? তোমার হবু তো আমি হিহি! (ফুলের তোড়াটা এগিয়ে দিয়ে) এই নাও এটা তোমার জন্য। তা ওই ছেলেটাকে কি খুবই বাজে দেখতে?
জুঁই: আমি কীকরে বলবো? আমি দেখেছি নাকি?
শান: কিই? কেমন দেখতে তাও জানো না? কেন ছবিতে দেখোনি? বাবা দেয়নি?
জুঁই: হ্যাঁ, দেবে না কেন? দিয়েছিল তো, আমিই না দেখে খামসুদ্ধ ছিঁড়ে ফেলেছি।
শান: এত রাগ! মানুষটাকে না জেনেই তার সম্পর্কে এগুলো বলা ঠিক না। এই ধরো, তুমি আমাকে যেমন দেখছো, জানছো। তুমি আমার ব্যাপারে যা ইচ্ছা বলতেই পারো। তুমি ওর সাথে কথা বলেছো?
জুঁই: এই তোমার ওকে নিজে এত মাথাব্যথা কীসের? তুমি আমাকে urgently নিয়ে পালাবে কিনা তাই বলো।
শান: আরে, আমার বুঝি ভয় করে না? এরকম একটা রাগী বউকে বিয়ে করতে যাচ্ছি প্রাণের ভয় করবো না? দেখা গেলো একদিন ঝগড়া করতে গিয়ে আমাকে ঝাঁটাপেটা করলে। তখন আমি কি করবো?
[জুঁই-এর এই ঝাঁটাপেটার ব্যাপারটা বেশ হাসির লাগে। সে এবার ফিক ফিক করে হেসে ফেলে। শানের সাথে কথা বলে একটু হালকা feel করে সে। এই ছেলেটা সিরিয়াস মুহূর্তেও জুঁইকে হাসাতে জানে।]
জুঁই: (হেসে) আরে তোমাকে মারবো কেন? তোমাকে তো বিয়ে করবো।
শান: বাব্বাহ, তুমি হাসতেও পারো? সত্যি বলতে হোয়াটসঅ্যাপের হাসির emoji দেখে দেখে bore হয়ে গেছিলাম। নাহ্ এই জন্যই তো বিয়ে করা।এইতো pizza এসে গেছে। তা একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
জুঁই: হমম হমম বলো।
শান: ইয়ে মানে, তুমি আমাকে পছন্দ করো তো? মানে তোমার ঐ সুদর্শনের থেকে বাঁচার জন্যই কেবল বিয়ে করতে চাইছ না তো?
জুঁই: (খানিকটা লজ্জা পেয়ে) না। সেরকম ব্যাপার নয়। তোমাকে আমার ভালোই লেগেছে।
[জুঁই-এর লাল মুখটা দেখে শান খুশি হয়ে যায়।]
শান: তাহলে এবার নিশ্চিন্ত! তো এবারের প্ল্যান কী?
জুঁই: ওমা, প্ল্যান কী আবার? পালাবো।
শান: বলছি কি? না পালিয়ে একসাথে তোমার বাবার সামনে গেলে হতো না? উনি মেনে নিলেই হয়ে গেলো।
জুঁই: না ওটি হচ্ছে নি। আমি আমার বাবাকে খুব চিনি। ওনার পছন্দের বিপরীতে গিয়ে অন্য কাউকে পছন্দ করে আনলে জীবনেও মেনে নেবে না। শুনেছি নাকি গানবাজনা করে। পুরনো রবীন্দ্রসংগীতই হবে, তোমার মত modern song গাওয়ার ক্ষমতা নেই। আর সেই ছেলেটার সাথে উনি আমাকে বাঁধতে চাইছেন।
শান: Very bad! তা তুমি কি নিয়ে পড়ছো? সামনে কী প্ল্যান?
জুঁই: ও হ্যাঁ, আগে থেকে বলে রাখি। আমি কিন্তু পড়াশোনা ছাড়বো না।
শান: একদম না।
জুঁই: আমি রান্না জানি না। মানিয়ে নিতে হবে।
শান: No problem, আমারও খুব শখ। আমার বউ আমার মায়ের কাছে রান্না শিখবে, মায়ের আদর খাবে। তোমার মায়ের অভাব আমার মা ঠিক পূরণ করে দেবে I promise.
জুঁই: (Emotional হয়ে) Thanks! জানো তো মায়ের মুখ আমার মনেও পড়ে না। কোন ছোটবেলায় ছেড়ে চলে গেছেন।
শান: আমি আছি তো সোনা।
[জুঁই-এর মনে হঠাৎ বিদ্যুতের ঝলক খেলে যায়। ধাঁ করে একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়।]
জুঁই: এই তুমি কীকরে জানলে আমার মা নেই? আমিতো বলিনি তোমাকে। হ্যাঁ, আমি এটাও বলিনি তোমাকে যে ওই ছেলেটা নিজের ছবি আমার বাবার কাছে দিয়েছিল। তুমি কীকরে জানলে? সত্যি বলবে কিন্তু।
শান: (সামাল দিয়ে) না না, তেমন কিছু না, আসলে তুমি বললে যে বাবা ছেলে ঠিক করেছে, রান্না জানো না তাই guess করলাম। আর তুমি তো মায়ের কথা বলোও না।
জুঁই: (ঘার প্রচন্ডভাবে নাড়িয়ে) নাহ্। তুমি মিথ্যে বলছো। তুমি ওই সুদর্শনকে চেনো। রীতিমত ভালোকরে চেনো। দাঁড়াও ওকে call করছি আমি।
শান: এইই না। কল করবে? শোনো শোনো দাঁড়াও…
জুঁই: একদম চুপ। (সুদর্শনের নম্বর ডায়াল করে।)
[ওদিকে শানের ফোনও বেজে ওঠে। জুঁই রেগে গিয়ে বলে,]
ওহ্ বাবা! তোমার বন্ধু বুঝতে পেরে তোমাকে call করছে। বাহ্, তোলো তোলো।
শান: না থাক। এখন তো তোমার আর আমার সময়, no mobile, শোনো না আরে…
জুঁই: একটাও কথা না। (শানের ফোনটা তুলে) দেখি কে call করেছে? সোনা? আবার তিনটে heart? এটা কে? তোমার গার্লফ্রেন্ড আছে শান? তুমি আমাকে এইভাবে ধোঁকা দিলে?
শান: একদম না, কিসের গার্লফ্রেন্ড? আরে let me clear…
জুঁই: ফোন তোলো। (তেড়ে গিয়ে) যা বলছি করো। তুলে কথা বলো।
[শান ভয়ের চোটে ফোন তুলে ছোট্ট করে “হ্যালো” বলে।]
শান: বলেছি।
জুঁই: গলার জোর ফুরিয়ে গেল? কই দাও, আমাকে দাও। এই যে ম্যাডাম hello? আপনার প্রেমিক আপনাকে cheat করছে। এই কী হলো? Echo হচ্ছে কেন?(জুঁই নিজের ফোনে তাকিয়ে দেখে সুদর্শন ফোন তুলেছে। সে সুদর্শনের উদ্দেশ্যে বলে,)
হ্যালো সুদর্শন? (শানের ফোন থেকে কথাটা আবার echo হলো।) এই case-টা কী হলো? সুদর্শনের কাছে ফোন করলাম তোমার কাছে ফোন গেলো? কী হচ্ছেটা কি? সব গন্ডগোল হয়ে যাচ্ছে। এই এক মিনিট। তুমিই কি সুদর্শন চৌধুরী?
[শান এতক্ষন case জন্ডিস দেখে চুপচাপ চোখ বুঝে মুখে হাত দিয়ে ভয়ে সাটিয়ে ছিল। এবার ধীরে ধীরে ডান চোখ খুলে তারপর আস্তে আস্তে ভয়ে ভয়ে বাম চোখ থেকে হাত সরিয়ে জবাব দেয়।]
শান: (হালকা হেসে) ইয়ে মানে আমারও তো তাই মনে হচ্ছে।
জুঁই: (মারাত্মক রেগে গিয়ে) আগে বলোনি কেন? Oh My God! কেন বলোনি বলো? কেন বলোনি?
[Severely রেগে গিয়ে নিজের হাতের রুমালটা ছুঁড়ে মারে শানের দিকে। শান সন্তর্পনে catch করে। জুঁই হাতের কাছে থাকা পেপসির ক্যানটা ছুঁড়ে মারতে যাচ্ছিল, শান ওর হাতটা ধরে ফেলে শান্ত করে বসায়।]
শান: Ohk, ok, বসো, জল খাও। আমায় একটা সুযোগ দাও বলার। প্লীজ? বলি কেমন? শান হলো আমার ডাকনাম। তো তোমাকে matrimonial site-এ প্রথমদিন দেখেই ইচ্ছা হয়েছিল বলে দিই যে আমিই সুদর্শন, যার সাথে আসলে তোমার বিয়ে ঠিক হচ্ছে। কিন্তু তোমাকে যদি তখনই সবটা বলে দিতাম তাহলে তোমার মত একটা সরল মেয়েকে হারিয়ে ফেলতাম। তোমার সাথে প্রথমদিন কথা বলেই বুঝতে পেরেছিলাম আমাকে না মানে সুদর্শন রায়চৌধুরীকে তুমি একেবারেই like করো না। সেইজন্য ওকে না জেনেই তুমি matrimonials-এ প্রোফাইল বানিয়ে পাত্র খুঁজবে। কিন্তু আমি এমনটা হতে দিই কীকরে?
জুঁই: কেন কেন? বাবা বলেছিল তোমায় এসব? কত বড় চক্রান্ত!!
শান: আরে বাবা না। আমাকে কেউ কিছু বলেনি।
জুঁই: তাহলে আমাকে পাত্র খুঁজতে দেবে না কেন?
শান: (লাজুকভাবে) এমনি এমনি তোমাকে খামোকা হাতছাড়া করবো নাকি? নিজের ভালোবাসার জন্য রোমিও নিজের জীবন ত্যাগ দিয়েছিল, আর আমি তোমার জন্য এইটুকু করতে পারব না? আর ছোট্ট একটা সত্যি লোকানো আর কিই বা বড়ো ব্যাপার। এমনিতেও আজ তোমাকে আমি সবটা বলার জন্যই ডেকেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম তুমি আমার ফোটোটা already দেখেছো। তা কথা শুনে বুঝলাম নাহ, দেখোনি। ভাবলাম তোমার বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়াব, একটা দারুন সারপ্রাইজ হয়ে যাবে। তা জিনিসটা এভাবে সামনে আসবে বুঝতে পারিনি।
জুঁই: কিন্তু আমাকে কেন এভাবে অন্ধকারে রাখলে?
শান: আমাদের ভালোর জন্য।
জুঁই: What?
শান: হম। ঠিক শুনছো। তোমাকে যতদূর আমি চিনেছি, তোমার বাবা সুদর্শনকে পছন্দ করেছে বলে আমি দুনিয়ার সবচেয়ে un-interesting মানুষ হয়ে গেছি তোমার কাছে। আর যার আমার ব্যাপারে interset নেই তাকে জবরদস্তি বিয়ে করলে সেও সুখী হবে না, আমিও হবো না। সেইজন্যই আমি তোমাকে matrimonials-এ সিলেক্ট করেছিলাম, যাতে সুদর্শনকে তুমি নিজে থেকে জানতে পারো। কিন্তু সুদর্শনের প্রতি তোমার এত রাগ দেখে কেবল শান হিসেবেই তোমার বন্ধু হতে চেয়েছিলাম। তারপর শান নামের আসল সুদর্শনের প্রতি তোমার আসল অনুভূতিগুলো উদঘাটন করি। তুমি আজকেই বলেছো যে আমাকে তোমার ভালোই লাগে, আর আমিই সুদর্শন। আমরা made for each other, সেটা তুমিও ভালোভাবেই জানো।
জুঁই: তাহলে আজকে আসার সাথে সাথেই কেন বললে না?
শান: (মিষ্টি হেসে) আসলে সুদর্শনের উপর এত রাগ আর শানের উপর এত ভালোবাসা দেখে একটু মজা করার লোভটা সামলাতে পারলাম না।
জুঁই: কী সাংঘাতিক! এখন আমি কী করি?
শান: সেটা তুমি জানো। কী আর করবে ভালো তো বেসে ফেলেছো। আমি arrange marriage-এও রাজি, আবার পালিয়েও রাজি। তোমার যা ইচ্ছা। (আদুরে গলায়) তবে কাউকে না জেনেই তাকে স্রেফ গোবরমার্কা ছাগল বলাটা কিন্তু ঠিক না। বোকা মেয়ে একটা!
জুঁই: এই আমি বোকা? যাও আমি চললাম।
শান: এইই না না। তুমি বোকা? না না এত বড় সাহস আমার আছে নাকি তোমাকে বোকা বলবো? তোমার চেয়ে বুদ্ধিমতী কাউকে দেখেছো আজ অবধি বলোতো? রাগ করে না। তোমার জন্য একটা ring এনেছিলাম প্রপোজ করবো বলে… কিন্তু আগে বলো পালাবে নাকি arrange marriage করবে?
জুঁই: দুর! আর পালিয়ে কী করবো? সেই তো হেরে গেলাম।
শান: কই আমাকে যে পেলে সেই বেলা? মাঝে মাঝে হারা ভালো। কিছু না হারালে ভালো কিছু পাবে কীকরে?
(এবার হাঁটু গেঁড়ে ডায়মন্ডের আংটি নিয়ে শান জুঁইকে বলে,)
জুঁই, Will you accept this servant in your world of Love?
জুঁই: (হাত বাড়িয়ে দিয়ে) কী আর করা যাবে? কিন্তু হ্যাঁ, তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না কিন্তু, আমি যতই রাগ করি না কেন!
শান: (আংটিটা পরিয়ে দিয়ে) কি মনে হয় আমি এত পাগল নাকি যে এত মিষ্টি বউকে ছেড়ে চলে যাবো? আমার মাথায়ও একটা মানুষের ঘিলু আছে।
জুঁই: গোবর আছে গোবর। গোবর চেনো?
শান: (হেসে) তা হ্যাঁ গো? আমি কি সত্যিই গোবরমার্কা গো?
জুঁই: (চিৎকার করে) হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ। ছাগল কোথাকার!

~😂💘সমাপ্ত💘😂~