Read What Will I Write To You by Utopian Mirror in Bengali Love Stories | মাতরুবার্তি

Featured Books
বিভাগ
শেয়ারড

কি লিখি তোমায়

কি লিখি তোমায়

শুরুতে কোন সম্মোধন করলাম না| তোর আর আমার সম্পর্কে মনে হয় কোন সম্মোধন দরকার ছিল না কোনোদিন| ভাবিওনি কোনোদিন তোকে কোনো চিঠি লিখবো| কি লিখি বলতো? ফেইসবুক এ তোর বিয়ের ছবিগুলো দেখলাম| বেশ মানিয়েছে দুজনকে কিন্তু সত্যি বলছি মনটা একটু খুশি খুশি হয়ে গেলো| না আমার চেয়ে একদমই ভালো দেখতে না তোর বৌ|

আচ্ছা সত্যি করে বলতো তোর কি কোনোদিন মনে পড়েনি আমায়? আমি তো আজো ভুলতে পারলাম না| সেই রাস্তা গুলো যেখানে ৭ পাক না সতেরো লক্ষবার ঘুরেছি দুজনে| সেই বিকেলগুলো যেগুলোর মিষ্টি আলো ভাগ করে নিতাম দুজনে | তোর ছাদের ফুলগুলোর গন্ধতো শুধু আমার প্রাপ্য ছিল। ১৮ বছর বয়েসে বুঝিনি আমার ভালোবাসায় কোথায় কম ছিল।

তুই আমায় বলতিস ভালোবাসিস কিন্তু কেউ জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যেতিস। প্রমান রাখার ভয়? অগাধ বিশ্বাস ছিল তোর ওপর। বন্ধুরা যখন বলতো ছেলেটা ভালোনা। তোর পেছনে অন্য মেয়েদের সাথে ঘরে। ভাবতাম তাতে কি বন্ধু হবে হয়তো আর রোজ এসে তো আমায় সবই বলে।

প্রথম ধাক্কা খেলাম যেদিন বললি, তুই নাকি আমায় বিয়ে করলেও অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক ছাড়তে পারবি না। এ কেমন ভালোবাসা। আমি তো এককথায় সব ছাড়তে রাজি। দ্বিতীয় ধাক্কা, কফিনের শেষ পেরেক মারলি এই বলে যে আমি নাকি খুব ভালো মেয়ে তুই আমার যোগ্য না। এই সম্পর্ক হতে পারেনা। কারণ বিয়ে তুই আমাকেই করবি কিন্তু সব কিছু ছেড়ে আমায় নিয়ে থাকতে পারবিনা।

আসলে কি জানিস আমি বুঝে গেছিলাম তোর ভালোবাসা আমার মনের থেকে শরীরটা চায় বেশি। সেটাই দিতে পারিনি তাই আমায় ছুড়ে ফেললি। ৪ বছর পর বিয়ে করলাম তখন বলেছিলি এই নাকি আমার ভালোবাসা তুই নাকি কোনোদিন বিয়েই করবিনা। আজ তোর বৌ শুনলে কি বলবে ভেবে হাসি পাচ্ছে।

অনেক কেঁদেছিলাম ছোটো ছিলাম তো ১৯ বছরের প্রথম প্রেম আবেগ কলেজ জীবনের একটা মোহো সব মিলিয়ে আরকি। তারপর কিরম জেদ চেপে গেলো জানিস। আমিও করে দেখাবো। সব ছেড়ে ক্যারিয়ারএ মন দিলাম। তুই আমায় ছাড়ার পরের বছর আমার বর্তমান বরের সাথে আলাপ কিছুটা আকস্মিক ভাবেই। ঐযে বলে না জন্ম মৃত্যু আর বিবাহ ওপরওয়ালার থেকে ঠিক হয় আসে।

কিন্তু আজ তোকে এই চিঠি কোনো অভিযোগ করার জন্য না বরং ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য। তুই আমায় আঘাতটা না দিলে জীবনে সফলতা পেতাম না। তুই আমায় ছুড়ে না ফেললে কঠিন বাস্তবটা চিনতে পারতাম না। তুই আমায় ইমোশনাললি শক্তিশালী করেছিস। সবাই প্রাক্তন কে নিয়ে দুঃখ করে বা অভিশাপ দেই। কিন্তু আমি গর্ব করি।

তুই আমার থেকে দূরে না গেলে সেই মানুষটাকে পেতাম না যার প্রথম শব্দটাই ছিলো আমার সাথে সারাজীবনটা ভাগ করে নেবে? তোমার কষ্টের বোঝা হয়তো ভাগ করতে পারবোনা কিন্তু যখন খুব কান্না পাবে তখন একটা নরম বুক আর শক্ত কাঁধ দিতে পারবো যেটা সারা জীবন শুধু তোমারি থাকবে।

I love ইউ তোমায় কি সুন্দর দেখতে তোমার ফিগারটা দারুন তোমার জন্য রাত এ ঘুম হয়না। না এসব কিছুই বলেনি শুধু এই একটা কথাই বলেছে প্রথম দেখা করার দিন। ১৪ বছর কাটিয়ে দিলাম কোনো তফাৎ পাইনি। সেদিন যে সন্মান আমি পেয়েছিলাম আজও সেই একি জায়গায় রেখেছে। তোর জীবন তো এই শুরু।

যাক বেশি কিছু আর লেখার নেই তোকে। তোদের আগামী জীবন সুন্দর হোক। আমার মধ্যে কি কম ছিল? যাই থাক সেই কমতি জানো কোনোদিন বৌয়ের মধ্যে না দেখিস এটাই প্রার্থনা। ভালো থাকিস।

আর হ্যা চিঠিটা পোস্টবক্স এ পোস্ট করবো ঠিকানা না লিখেই। আমাদের কথা অজানাই থাক। তুই কোনোদিন জানতে চাসনি আমি কেমন আছি তোকে ছাড়া। আমার কষ্ট আমার একাকিত্ব অসহ্য যন্ত্রনা, সবই আমার একার ছিল হয়তো তোর প্রতি ভালোবাসাটাও। তাই তোকে বলা কৃতজ্ঞতার ভাষাটাও আর জানালাম না। ওটাও শুধু আমারই থাক।

প্রার্থনাও করবোনা পরের জন্মে জানো তোকে পাই। কারণ পলাতকরা কাউকে ভালো রাখতে জানেনা। হাজারের ভিড়ে আমি একজনকে হারাতে চাইনা। একজনের জন্য হাজার হাজার ভিড় ছেড়ে দিতে পারি। তুই বুজবি না কারণ তুই নিজেও জানিস না তুই কি হারালি।

যদি জীবনে আর কোনোদিন কোনোভাবে কোথাও তোর সাথে দেখা হয় একটাই প্রশ্ন করবো। ভালো আছিস তো?

শেষ করলাম.......

ইতি,
তোর প্রাক্তন