Read THE TALE OF LOVE - 14 by Sujit Sarker in Bengali থ্রিলার | মাতরুবার্তি

Featured Books
  • LOVE UNLOCKED - 7

    Love Unlocked :7Pritha :আবির গাড়িটা এনে দাঁড় করালো সিংহ রা...

  • হরিচাঁদের আশীর্বাদ

    নদীর পাড় ঘেঁষে ছোট্ট গ্রাম—ঠাকুরনগর। সকালের কাক ডাকছে, মাঠে...

  • Mission Indiana - 2

    মিশন ইন্ডিয়ানা**************পর্ব - 2************Truth About...

  • ঝরাপাতা - 14

    ঝরাপাতাপর্ব - ১৪- "ইয়েস, শ্রেয়ান সরকার। মিঃ শ্রেয়ান, যদি...

  • জঙ্গলের প্রহরী - 14

    জঙ্গলের প্রহরীপর্ব - ১৪সিদ্ধার্থ আর ঋষির কাছে এসে দাঁড়ায় শ...

বিভাগ
শেয়ারড

THE TALE OF LOVE - 14

Catagory-(Romantic🙈+Thriller😈☠️+Psycho🔪+Toxic🥵+Crime🦹‍♀️+Foreign plot🥀+Sad ending😭💔)


Episode-15

সমগ্ৰ ভার্সিটির ভরা ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে এডিসন বেলাকে প্রোপোজ করে। সেদিনের ঘটনার এত বাজে প্রভাব যে পড়বে বেলার ধারণার বাইরে ছিল। বেলার মনে হচ্ছে সেদিনের প্রতিশোধ নিতে লোকটা ইচ্ছে করে সবার সামনে থাকে তাকে হিউমিলিয়েট করছে। তার সামনে এখনো একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আছে।

"আমি জানি যে তোমার পক্ষে হঠাৎ করেই এগুলো মেনে নেওয়া কঠিন কিন্তু আমি নিরুপায়। আমি সরাসরি কথা বলতে চাই। আমি তোমাকে সেদিনের পর প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলেছি। এই পর্যন্ত আমি প্রায় প্রচুর মেয়ের প্রোপোজ পেয়েছি কিন্তু প্রতিবারই তাদের অপমান করেছি। কারণ পড়াশোনার বাইরে আমি কোনদিনও এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করতাম না। কিন্তু কখনো ভাবতেই পারিনি যে আমার জীবনেও এরকম একটা মুহূর্ত আসবে। আমিও কাউকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসবো। হ্যাঁ আমি অকপটে স্বীকার করছি যে আমি হেরে গেছি আমার হৃদয়ের কাছে। ভালোবেসে ফেলেছি তোমায় তাই"... 

একটা রিং বেলার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল," Will you marry me Elizabeth Bela? I need you very much in every moment of my life. Again I love you ❤️😘"

বেলা চোখদুটো বড় বড় করে তাকিয়ে আছে কেননা সে কোনদিন স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে তাকে এমন একটা পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হবে। এডউইন আর তার ফ্রেন্ডসরা করিডোর দিয়ে প্রিন্সিপালের রূমের দিকে যাচ্ছিল এ বছরের পিকনিকের ব্যাপারে ডিসকাস করতে। আর তখনই মাঠে স্টুডেন্টেসডদের ভীড় দেখতে পেয়ে থেমে যায়।

রিক ঐশ্বর্যের দিকে ভ্রূ কুঁচকে জিজ্ঞেস করে, "কি ব্যাপার ঐশ্বর্য এখানে এতো জটলা কেন?"

"ব্রো সেটা তো আমিও বুঝতে পারছি না। একটা কাউকে জিজ্ঞেস করা যাক" তখনই একদল ছেলে- মেয়েদেরকে তাদের দিকে আসতে দেখা যায়। 

রিক তাদের থামিয়ে জিজ্ঞেস করে, "ঐখানে কি হচ্ছে তোমরা জানো?" সিনিয়রদের দেখে ওরা একটু ইতস্তত করে ব্যাপারটা বুঝতে পেরে রিক বলে, "Be comfortable guys, just tell me what is happening there?"

তারা বলল, "A first -year boy proposed to a girl"

রিকের আরো জিজ্ঞাসা করল, "Do you know anything about the girl?"

"No,we don't know anything about the girl " বলেই তারা চলে গেল।

ওরা চলে যেতেই রিকের মুখ হঠাৎ করে গম্ভীর হয়ে গেল। ঐশ্বর্য রিকের পিঠে হালকা চাপড় দিয়ে বলে, "ব্রো হোয়াটস হ্যাপেন? প্রিন্সিপালের রুমে যাবি না?"

"না তোরা আগে যা আমি পরে আসছি", বলেই হনহন করে চলে যায় রিক। আর এই দিকে আবুলের মত চেয়ে আছে ঐশ্বর্য 🙄

"ব্যাপারটা কি হল বলতো শ্রেয়া?"ইরা বলে

"আমি তো নিজেও বুঝতে পারছি না । কিন্তু রিকের যে কিছু একটা হয়েছে এতোটুকু আমি নিশ্চিত। ওই ছেলে-মেয়েগুলো যা বলল তা শোনার পর হঠাৎ করে রিক বদলে গেল । মনে হলো যেন কোন কিছু নিয়ে সে ডিস্টার্বড আছে। আমার মনে হয় আমাদের ওর কাছে যাওয়া উচিত"

"ঠিক বলেছিস শ্রেয়া চল ব্রোয়ের পিছনে যাওয়া যাক"বলেই ঐশ্বর্য, ইরা আর শ্রেয়া রিকের পেছনে পেছনে যেতে লাগলো।

ভিড় ঠেলে রিক এগিয়ে যায় সামনের দিকে।সামনে গিয়ে দেখতে পায় এডিসন একহাতে গোলাপের তোড়া আরেক হাতে একটা রিং নিয়ে বেলার দিকে ধরে আছে তার কাঙ্খিত উত্তরের আশায়। এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে রিকের গলা শুকিয়ে আসে মনে হয় তার হৃদয়ে কে যেন ছুরিকাঘাত করছে। কিন্তু পাগল এডউইন বুঝতে পারেনা তার হৃদয়ের অনুভূতি তাইতো তা মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংসে পরিণত হয়।

রিককে দেখতে পেয়ে ইসাবেলা কুনুই দিয়ে বেলাকে ধাক্কা দেয়। বেলা ইসাবেলার দিকে তাকাতেই চোখের ইশারায় রিকের দিকে দেখায়। বেলা চোখ ঘোরাতে দেখতে পায় এক জোড়া রক্ত চক্ষু তার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে সিংহ যেন তার শিকার কে দেখছে। গতবারে ঐশ্বর্যকে জড়িয়ে ধরার ব্যাপারটা মনে পড়তেই বেলা ভয়ে ঢোক গিলে। রিক আর সেখানে দাঁড়াতে পারে না চলে যায় সেখান থেকে। এদিকে রিকের বন্ধুরা সবাই এসে বেলা আর এডিসন কে দেখতে পায়। ওরা বিস্মিত হয় ভাবতেও পারেনি যে বেলা এমন একটা কাজ করবে। কিন্তু তাদের সবাইকে আরো অবাক করে বেলা এডিসন কে থাপ্পড় মারে।

বেলা তীব্র গর্জন নিয়ে এডিসন কে বলে, "How dare you  do such irritating things with me? Have you gone mad? Or is it your petty way of taking revenge for that silly incident?"😡😡😡 বলেই রিকের বন্ধুদের দিকে একবার তাকিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তার সাথে ইসাবেলা আর রিকের বাকি বন্ধুরাও চলে যায়।

এদিকে বেচারা এডিসন গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর ভাবছে যে তার ভুলটা কোথায়। দূর থেকে ক্লেভ আর জুকাই সবই দেখছিল বেলা চলে যাওয়ার পর তারা এডিসনের কাছে আসে।

চরম বিরক্তি নিয়ে ক্লেভ বলে,"দেখলি তো মেয়েটার সাহস কত দূর। তোকে রিজেক্ট করলো আর তারপর থাপ্পড়ও মারলো। তোর সাথে কথা বলার জন্য হাজারো মেয়ে মুখিয়ে আছে আর সেখানে এই মেয়েটা কন্টিনিউয়াসলি প্রথম দিন থেকেই তোর পেছনে পড়ে আসে। তোকে অপমান না করলে বোধহয় ওর ঘুম আসে না।"😡

"আর এজন্যই তো ওকে আমার এতো ভালো লাগে। অন্যান্য মেয়েরা সুযোগ পেলেই গা ঘেঁষে নষ্টামি করতে চায় কিন্তু ও অন্যদের থেকে একদম আলাদা। সি ইজ জাস্ট ফায়ার ক্লেভ🔥" বলেই এডিসন বাঁকা হাসে 😏

"কিন্তু তাই বলে সবার সামনে তোকে ঐভাবে চড় মারবে এটা কিন্তু ঠিক না ব্রো। সবাই কি ভাববে বলতো " মন খারাপ করে ক্লেভ বলে

"আরে নাহ্ ভুলটা আমারই ছিল আমার এতো তাড়াহুড়ো করা উচিত হয়নি। ওকে একটু সময় দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। আমি তাই পেয়েছি যা আমার প্রাপ্য ছিল । ও তো তাও শুধু চড় মেরেছে ওর জায়গায় অন্য মেয়ে হলে জুতোর বাড়ি মারতো কি ঠিক বলেছি তো জু?"

"একদম ঠিক এডি", বলেই জুকাই এডিসনকে হাইফাই দিল।

বেলা ইসাবেলার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ভার্সিটির বাইরে বেরিয়ে আসে । দেখে রিকের মার্সিডিজ গাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে তার মনে একটু আশার জন্ম হয় । হয়তো রিক গাড়ির ভেতরে আছে , তার জন্য অপেক্ষা করছে ঠিক সেই সাথে ভয়েরও অনুভূতি হয় কারন বেলা রিকের রাগ সম্পর্কে অবগত। সে দ্রুত গাড়িতে উঠে পড়ে কিন্তু এডউইনকে দেখতে পায় না আর তাই চুপচাপ বসে থাকে।

ড্রয়িংরুমে এসে বেলা সোজা উপরে রিকের রুমের সামনে চলে যায় কিন্তু দেখে দরজায় বড় করে লেখা আছে, Don't disturb। বেলা চিন্তায় পড়ে যায় নক করবে নাকি করবেনা এই ভেবে। যখনই নক করতে যাবে তখনই রিকের এক মেড এসে বেলাকে বলে, ম্যাম খাবার খেয়ে নিন আর স্যার বলেছে তাকে বিরক্ত না করতে। কেউ যেন তার ঘরে না আসে। বেলা চুপচাপ চলে যায়।

ক্যাম্পাস এরিয়ায় রিকের বন্ধুদল বসে আছে । কারো মুখেই কোনো হাসি নেই। 

"এসব কি হচ্ছে বলতো শ্রেয়ু হঠাৎ করে রিক চলে গেল কেন? " মন খারাপ করে ইরা বলে

"সেটা আমিও জানি না তবে যতদূর বুঝতে পারছি যে এডিসন বেলাকে প্রোপোজ করায় রিক রেগে গিয়েছে আর তাই হয়তো চলে গেল", শ্রেয়া বলে 

"যবে থেকে এই মেয়েটা রিকের লাইফে এসেছে তখন থেকে কিছু না কিছু লেগেই আছে। এই মেয়েটা একটা কুফা ছাড়া আর কিছুই না। জানি না কোথা থেকে উদয় হয়েছে। ও আসার পর রিক আর আমাদের তেমন সময়ই দেয় না।"

ঐশ্বর্য বলে, "আমি বুঝতে পারছি ইরা তুই ব্রো কে নিয়ে চিন্তিত কিন্তু তাই বলে তুই বেলাকে নিয়ে যা নয় তাই বলতে পারিস না। ও বেচারী জানতো নাকি যে এডিসন তাকে প্রোপোজ করবে?"

"কেন আমি ভুল কি বলেছি? বেলাকে বলেছি বলে কি তোর খুব গায়ে লাগছে নাকি? এই কি পেয়েছিস তোরা ওর মধ্যে", বলে ঐশ্বর্যের কলার টেনে ধরে ইরা 😡

"এটলিস্ট তোর মতো ও এতো ম্যানার্সলেস নয় যে নিজের বন্ধুর কলার চেপে ধরবে। আর তাছাড়া ভুলে গেছিস গতবার শুধু আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল বলে রিক কতটা হাইপার হয়ে গেছিলো? আর এইবার তো সত্যিই কেউ বেলাকে প্রোপোজ করলো জানি না মেয়েটার কপালে যে কি দুঃখ আছে? গড নোউজ" বলেই কলার থেকে ইরার হাত ছাড়িয়ে নেয়।

"কি বললি আমি ম্যানার্সলেস ?😡 আর তাছাড়া বেলাকে কে কি করলো তাতে রিকের কিছুই যায় আসে না। 😒 আমি চিনি রিককে"

"লাইক সিরিয়াসলি ইরা তুই কি এখনো বুঝতে পারছিস না যে রিক বেলাকে নিয়ে কতটা পজেসিভ? আই থিংক রিক বেলাকে ভালোবেসে ফেলেছে"

"রিক বেলাকে ভালোবেসে ফেলেছে' ঐশ্বর্যের এই একটা কথায় কি ছিল ইরা জানে না কিন্তু কেন জানি মনে হচ্ছে তার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে । তার চোখে জল চলে আসে সে দৌড়ে সেখান থেকে চলে যায় । ঐশ্বর্য পেছন থেকে কয়েকবার ডাক দিলেও থামে না সে।

শ্রেয়া বলল, " কি হলো ব্যাপারটা ইরু এভাবে চলে গেল কেন? মনে হলো তোর কথাটা পছন্দ হয় নি কিন্তু রিক তো ইরার বেস্টফ্রেন্ড সো ওর তো খুশি হওয়ার কথা। আবার এমনটা নয় তো যে ইরা সত্যি সত্যিই রিককে ভালোবাসে?"

ঐশ্বর্য শ্রেয়ার মুখ চেপে ধরে বলে, "এমন অশুভ কথা মুখেও আনিস না। ইরা যদি সত্যি সত্যিই রিককে ভালবাসে তবে সে জেনে শুনে বিষ পান করতে চাইছে। কারণ একথা তুইও বুঝতে পেরেছিস নিশ্চয়ই যে এই কয়দিনে রিক বেলার প্রতি কতটা আসক্ত হয়ে পড়েছে। ইরা যদি রিককে ভালোওবাসে তাদের সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। উল্টো দুজনের সম্পর্কে বাজে প্রভাব পড়বে। আর তাই আমাদের উচিত ইরাকে বন্ধু হিসেবে বোঝানো ও আগুন নিয়ে খেলতে চাইছে"


"সবকিছু যেন ঠিক হয়ে যায়", দীর্ঘশ্বাস ফেলে শ্রেয়া বলে... চলবে🥀🥀