Read THE TALE OF LOVE - 15 by Sujit Sarker in Bengali থ্রিলার | মাতরুবার্তি

Featured Books
  • THE TALE OF LOVE - 15

    Catagory-(Romantic+Thriller️+Psycho+Toxic+Crime‍️+Foreign pl...

  • অচেনা আলো - 5

    “ঝড়ের আভাস”---নীরব অস্থিরতাদিনগুলো বদলাচ্ছিল।মিশা আর ইশানি...

  • মার্কস বাই সিন - 5

    মার্কস বাই সিন-৫পানশালার দরজা ঠেলে বৃষ্টিভেজা অন্ধকার রাস্তা...

  • জঙ্গলের প্রহরী - 34

    জঙ্গলের প্রহরী পর্ব - ৩৪স্থানীয় সাংবাদিকরাও হাজির রায়চৌধুর...

  • ঝরাপাতা - 34

    #ঝরাপাতাপর্ব - ৩৪সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে দেখা হয় পিউদের সঙ্গ...

বিভাগ
শেয়ারড

THE TALE OF LOVE - 15

Catagory-(Romantic🙈+Thriller😈☠️+Psycho🔪+Toxic🥵+Crime🦹‍♀️+Foreign plot🥀+Sad ending😭💔)

Episode-16

সময় প্রবহমান ঠিক নদীর মতো কখনো কারো জন্য অপেক্ষা করে না। নদী যেমন আপন গতিতে নিজস্ব ধারায় প্রবাহিত হয় ঠিক তেমনি সময়ও তার নিজস্ব গতিতে বয়ে চলে। দেখতে দেখতে প্রায় এক বছর কেটে গেছে এডউইন আর বেলার মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। কখনো কখনো অনেক ছোট ছোট ঘটনাও অনেক বড় ঘটনা তে পরিণত হয়। ঠিক যেমন আজকে থেকে প্রায় এক বছর আগে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে এডিসনের বেলাকে প্রপোজ করার ঘটনাটি আজও রিক আর বেলার সম্পর্কের তিক্ততার প্রতীক।

ইন্টারভিউ রুম থেকে একজন সুন্দরী সেক্রেটারি বেরিয়ে এসে বেলার নাম ধরে ডাকতে শুরু করে, "মিস এলিজাবেথ বেলা এখন আপনার টার্ন । বস আপনার জন্য ভিতরে অপেক্ষা করছে যান গিয়ে ইন্টারভিউ দিয়ে আসুন। অল দ্যা বেস্ট।"

বেলার কেন জানি এই রমণীটিকে থেকে বেশ ভালো লাগে। কারন সে দেখেছে প্রত্যেকটা ক্যানডিডেট ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে কি সুন্দর করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। বেলা বেশি দেরি না করে ইন্টারভিউ রুমে প্রবেশ করে কিন্তু প্রবেশ করতেই চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়। কারণ ইন্টারভিউ রুমে বসের চেয়ারে বসে আছে স্বয়ং এডউইন রিকার্ডো। সে কখনো কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি যে এতগুলো দিন পর এই লোকটাকে আবার দেখতে পাবে। লোকটা যেন আগের মতই সুন্দর হয়েছে। না না বরং আরো বেশি সুদর্শন হয়ে গেছে হয়তো কাঁধ থেকে একটা বোঝা নেমে গেছে বলে। হঠাৎ কারো ডাকে বেলার ধ্যান ভাঙ্গে।

"মিস বেলা, মিস এলিজাবেথ বেলা আপনি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন?"‌রিকার্ডোর পাশে বসে থাকা এক লোক জিজ্ঞেস করে।

"হ্যাঁ ,সরি স্যার আম এক্সট্রেমলি সরি ।  আমি আসলে এই ইন্টারভিউ টা আর দিতে চাইনা। আমি আবার বলছি আমি দুঃখিত আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য।"

"কিন্তু কেন আপনি ইন্টারভিউটা দিতে চান না? আপনার কি চাকরিটা দরকার নেই?"রিকের পাশে বসে থাকা লোকটি আবার জিজ্ঞেস করে

"চাকরিটা আমার খুব প্রয়োজন স্যার কিন্তু আমার মনে হয় এই জায়গাটা উপযুক্ত নয়। আমি আসি।" বলেই রিকের দিকে চোখ মুখ শক্ত করে তাকিয়ে চলে যায়।
বেলা চলে যেতেই রিক কিছু একটা ভেবে বাঁকা হাসে 😏 

"মেয়েটা কি অদ্ভুত তাই না বস? শুধু শুধু আমাদের সময় নষ্ট করলো।"
রিক আড় চোখে তাকিয়ে তার সেক্রেটারিকে ডাকলো এবং বলল," মিস ক্লারা আপনি বাইরে বসে থাকা ক্যান্ডিডেটদের বলে দিন যে আমার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট নির্বাচন করা হয়ে গেছে।  তাই তারা যেন সবাই চলে যায় আর এতক্ষণ অপেক্ষা করানোর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।"

"ওকে বস"। মিস ক্লারা চলে যেতেই রিক তার পাশে বসা লোকটির দিকে ঘুরে বললো, "মিঃ জন আমি আশা করব আমার সিদ্ধান্তের উপর আপনার কোন দ্বিমত থাকবে না। এইমাত্র কিছুক্ষণ আগে যে মেয়েটি চলে গেল সেই হবে আমার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আপনার কি এ ব্যাপারে কিছু বলার আছে?"

"নো বস একদমই না কিন্তু মেয়েটি তো বলল তার চাকরিটা লাগবে না"

"সেটা আপনি আমার উপর ছেড়ে দিন মিস্টার জন। আপনি আপনার কাজ করুন আর আজকের মিটিং এখানেই ওভার। যাওয়ার আগে আমার কেবিনে জয়েনিং লেটার পাঠিয়ে দেবেন।"

"নিশ্চয়ই বস" এ কথা বলে মিস্টার জনসহ বাকি কর্মীরাও চলে গেল। 
সবাই চলে যেতেই এডউইন তার চেয়ারে বসে বলল, "অনেক ছাড় দিয়েছি তোমাকে বার্বি ডল আর না এবার তোমাকে আমার খাঁচায় বন্দি হতেই হবে। দীর্ঘ একটা বছর প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে তুমি আমাকে যে নরকসম যন্ত্রণা দিয়েছো তার সবকিছু তোমাকে সুদ সমেত ফেরত দেবো। উপস সরি এক বছর তো নয় তোমার আমার পরিচয় তো তার চেয়েও দীর্ঘ বলেই "একটু রহস্যজনক ভাবে হাসলো।
বেলা বাড়িতে এসেই সোজা তার রুমের দিকে চলে যেতে শুরু করে। কিন্তু তার বাবা এসে তাকে চলে যেতে দেখে জিজ্ঞেস করে, "মা বেলা এতো তাড়াতাড়ি চলে আসলে যে তোমার না আজকে ইন্টারভিউ ছিল?"

"হ্যাঁ ছিল কিন্তু আমি ইন্টারভিউটা দেইনি"

"কিন্তু কেন? কোন সমস্যা হয়েছিল?"

বেলা তার বাবার কথা শুনে হালকা মুচকি হাসি দিয়ে বলল, "আরে বাহ কবে থেকে আপনি আবার আমার চিন্তা করা শুরু করলেন? আই এম ইমপ্রেসড"বলেই হনহন করে নিজের রুমের দিকে চলে গেল।

মিস্টার চার্লি মেয়ের যাওয়ার পানে শক্ত চোখে তাকিয়ে থাকে। নেহাৎ সে বাধ্য বলে সবকিছু চুপচাপ সহ্য করছে নয়তো এই মেয়ের ঐদ্ধত্ত্ব আচরণ সে শিক্ষা দিয়ে ছাড়তো। একেই তো মান সম্মান ডুবিয়ে এসেছে তার উপর আবার এত বড় বড় কথা।

রুমে এসে তার ব্যাগ আর সমস্ত কাগজপত্র বিছানায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আজকের ইন্টারভিউতে রিককে দেখার পর। কেন বারবার তার অতীত তার সামনে ফিরে আসছে। সে আর কিছু ভাবতে পারেনা চুপচাপ বাথরুমে চলে যায়। বাথরুমে ঝর্ণার নিচে দাঁড়িয়ে সে অতীতে ডুব দেয় যেদিন সে তার জীবনের এক কালো অধ্যায় অতিক্রম করেছে।
প্রায় এক বছর আগের কথা...

সেদিন সন্ধ্যায় বেলা আবার রিকের দরজায় টোকা দেয় কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ পায় না। যেই না আবার টোকা দিতে যাবে তখনই দরজা একটু খুলে যায় তাই সে সাহস করে রুমে ঢুকে পড়ে। দেখে চারিদিকে অন্ধকার আর এলোমেলো হয়ে আছে বোঝাই যাচ্ছে যে রিক একটা বড়সড় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বেলা এডউইনকে খুঁজতে থাকে দেখে এক কোনায় রিক বসে আছে মাথা নিচু করে কোনো সাড়াশব্দ নেই। বেলা সাহস করে এগিয়ে দিয়ে রিকের কাঁধে হাত রেখে তাকে ডাকে। রিক ধীরে ধীরে তার চোখের দিকে তাকায়। রিকের তাকানোয় বেলার অন্তরাত্মা শুকিয়ে যায় কারণ রিকের চোখদুটো অসম্ভব লাল হয়ে আছে। আর মুখ দিয়ে ও বাজে গন্ধ বের হচ্ছে বোধ হয় ড্রিংক করেছে খুব বেশি। 

রিক বেলার দিকে তাকিয়ে বলে," এখানে কেন এসেছো বার্বি ডল? চলে যাও আমি ভালো নেই। আর কিছুক্ষণ তুমি যদি এখানে থাকো আই সোয়ার খুব খারাপ কিছু করে ফেলবো।"

রিকের ঠাণ্ডা গলায় বলা প্রতিটি শব্দ যেন পূর্ববর্তী কোনো ঝড়ের ইঙ্গিত যা কিনা মুহুর্তের মধ্যেই তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে সক্ষম।

"আ...প..নি খাবেন না রিক? আর আপনার কি হয়েছে আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?"

"কি হয়েছে লাইক সিরিয়াসলি বার্বি ডল তুমি আমাকে এটা জিজ্ঞাসা করছো? কি হয়নি বলো আজকে এডিসন তোমাকে কেন প্রপোজ করেছিল?" গর্জন করে রিক বলে

"বিশ্বাস করুন আমি এসবের কিছুই জানতাম না। একটা ছেলে এসে আমাকে বলল কেউ একজন আমাকে ডাকছে আর তারপর.. "

বেলাকে থামিয়ে দিয়ে রিক বলল," যদি ব্যাপারটা এমনি হয় তো তুমি কেন ওকে রিজেক্ট করলে না? ওওও ভালো লাগছিল তাই না উপভোগ করছিলে তুমি" বলেই সেন্টার টেবিলে থাকা গ্লাসগুলো এক বারিতে ভেঙে ফেলো।

"ভদ্রভাবে কথা বলুন এডউইন রাগের বশবর্তী হয়ে এমন কিছু বলবেন না যার মাধ্যমে আমাকে অপমান করা হয়। আর কি বললেন আমি উপভোগ করছিলাম আপনার মন মানসিকতা এতটা নিচু ভাবতেও পারেনি"... চলবে 🥀🥀