Boul Batas book and story is written by Joy Bandyopadhyay in Bengali . This story is getting good reader response on Matrubharti app and web since it is published free to read for all readers online. Boul Batas is also popular in কবিতা in Bengali and it is receiving from online readers very fast. Signup now to get access to this story.
বউল বাতাস - উপন্যাস
Joy Bandyopadhyay
দ্বারা
বাংলা কবিতা
বিন্দু থেকে প্রলম্বিত বৃত্তাকার পরিক্রমণ
এক বুক জলে দাঁড়িয়ে আমার পিতৃতর্পন
ছোটো ছোটো বৃত্তাকার ঘটনাবহুল সংযোজন
জীবনস্রোতে চক্রাকারে বৃত্তের ব্যাপ্তিসাধন।
টুকরো টুকরো ইমন ভেঙে ছড়িয়ে যায়
এদিক ওদিক সবুজ ধানের আলে
সেতারের ঝংকার কল্পিত হয় তবু
অদৃশ্য জলস্তরের প্রতিবিম্ব ছুঁয়ে।
ডানাভাঙা পাখি পড়ে আছে বটের কোটরে
মাথার কাছে ছেঁড়া পালক,পায়ে ছিন্ন শিকল
ঘূর্ণিঝড় থেমে গেছে অসীম নিস্তব্ধতা বুকের পাঁজরে
অনাকাঙ্খিত রাহুগ্রাসে ধমনীতে জমাট তরল।
সুশীতল পাথরে শুয়ে শবদেহের উষ্ণ আলিঙ্গন
সুউচ্চ প্রাচীর উঠে গেছে অজানা ভবিষ্যতের খোঁজে
সুনীল বাতায়ন জুড়ে বিশ্বাসঘাতক বর্তমান,
সুনিবিড় স্বপ্নগুলো গলিত মাংসের গন্ধে ভরা।
বিন্দু থেকে প্রলম্বিত বৃত্তাকার পরিক্রমণএক বুক জলে দাঁড়িয়ে আমার পিতৃতর্পনছোটো ছোটো বৃত্তাকার ঘটনাবহুল সংযোজনজীবনস্রোতে চক্রাকারে বৃত্তের ব্যাপ্তিসাধন।টুকরো টুকরো ইমন ভেঙে ছড়িয়ে যায়এদিক ওদিক সবুজ ধানের আলেসেতারের ঝংকার কল্পিত হয় তবুঅদৃশ্য জলস্তরের প্রতিবিম্ব ছুঁয়ে।ডানাভাঙা পাখি পড়ে আছে বটের কোটরেমাথার কাছে ...আরও পড়ুনপালক,পায়ে ছিন্ন শিকলঘূর্ণিঝড় থেমে গেছে অসীম নিস্তব্ধতা বুকের পাঁজরেঅনাকাঙ্খিত রাহুগ্রাসে ধমনীতে জমাট তরল।সুশীতল পাথরে শুয়ে শবদেহের উষ্ণ আলিঙ্গনসুউচ্চ প্রাচীর উঠে গেছে অজানা ভবিষ্যতের খোঁজেসুনীল বাতায়ন জুড়ে বিশ্বাসঘাতক বর্তমান,সুনিবিড় স্বপ্নগুলো গলিত মাংসের গন্ধে ভরা।সন্তুষ্টির মৃত্যুতে প্রশান্তি আনে দুচোখে ঢাকা তুলসীপাতাভঙ্গুর প্রতিশ্রুতিগুলো জমাট বাঁধে কালো শুকনো ঠোঁটেঅবিনশ্বর নাভিতে ঘন হয়ে আছে হৃৎপিণ্ডের শেষ রক্তফোঁটাআচম্বিত মৃত্যুশোকে সমস্ত রূপকথার অবসান।দৃষ্টিপথ জুড়ে ছিলো অস্তমিত সূর্য্য
নন্দিনী ভালো আছো!বৃষ্টি হচ্ছে ওখানে?অসীমদা সেই লাল গাড়িটা চালায় আজকাল!সৌরভ গাঙ্গুলী খেলছে এখনো?না কি মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত!কতো বড়ো হলো হিমু?পামেলা দি কি এখনো চাকরি করে!আচ্ছা কফি হাউস এ এখনো২ টাকা বান্ডিল বিড়ি দেয়?সল্টলেকের রোস্টেড বিড়ি!তমালটা কি ঝগড়াটাই না করতোকাউন্টার ...আরও পড়ুনবিশুদা কিন্তু সবার খেয়াল রাখতোচারটের বেশি বিড়ি কাউকে খেতে দিতো না। তমালটার শেষে লিভার ক্যান্সার হোলো, আচ্ছা বিড়ি খেলে কি লিভার ক্যান্সার হয়! কে জানে!তুমি এখনো আউটরাম ঘাটে যাও!তোমার সেই হলুদ শাড়ীটা পরে?সেই সেবার সরস্বতী পুজোতে কিনেছিলেমনে আছে তোমার কি বায়নাটাই না করেছিলেপুরো গড়িয়াহাট ঢুঁ মেরেতোমার ওই হলুদ শাড়ী পাওয়া গেছিলোপ্যাকেট টা হাতে নিয়ে তুমিঅশ্বমেধ বিজেতা ঘোড়ার মতোগ্রীবা উঁচু করে
কাঠএকদিন ছিলাম নামগোত্রহীন তোমার মনেসবুজের আভা ছিল, ছিল ঈষৎ বল্কল, একটুকরোজীবনের অনুভূতি। পূর্বরাগের বোধহয় পূর্বাভাসপ্রাণের প্রতিশ্রুতি অবছন্ন ছিল অনন্কুরিতবীজের গর্ভে। আর দিকে ছিল রক্ত জমাট,বিষাক্ত আস্বাদন, প্রেমের প্রথম বহিঃপ্রকাশ।শিরা থেকে ধমনীতে চোরাস্রোতে বহমানআদিম রিপু। অনাথ শিশুর শিরঃচ্ছেদেরআয়োজনে প্রেমিকার স্তনে ...আরও পড়ুনমধ্যরাতে শুকতারার পাশে কোনোঅজানা নক্ষত্রপাত। বলিষ্ঠ এক নটিনিররুদ্ধশ্বাস কুশলতায় হাজার হাতের করতালিশুনে পল্লবিত তরুশাখায় তরতাজা উন্মাদনা-শুধু চোরাবালিতে নিমজ্জিত হবার আগে,ভ্রষ্ট সমাজের জ্বলন্ত চিতায় আমারনামে রেখো একটুকরো কাঠ।।চিতার কাঠআমার জন্য দুটুকরো কাঠ রেখো শমীনিজেকে শুদ্ধ করি কাঁচা আগুনে জ্বলেনিষ্কলুষ বীর্য যেটুকু সুপ্ত শরীরের গোপন রক্তেতার সবটুকু যেন অঙ্কুরিত হয় নিষ্কর্ষিত জমিতেকঠিন শীতের ছোঁয়া আর উষ্ণ বাতাস পেয়েছি সারা জীবনপায়ের নীচে পাই
তোমার জন্য লিখবো লেখার জন্য বাঁচতে হলেআরো কিছুদিন লিখবোবাঁচার জন্য লিখতে হলেআরো কিছুদিন বাঁচবো। হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশআরো কিছুদিন আর একটু জোশভালোমানুষের সুচতুর মনআরো কিছুদিন আর একটু রোষজোড়া দিয়ে দিয়ে ভাঙা দিনগুলোঅজনা দু ক্রোশ আরো হাঁটা হলোক্লান্ত সকাল ...আরও পড়ুনভিজে চোখেভালোলাগা গুলো যেন অগোছালোনিভু নিভু দিন হলো অবসান হিসাব রাখিনি প্রেম পরিমাণ যদি বেঁচে যাই আরো একদিনতোমার জন্য লিখবো। জলছবি একমুঠো গাঢ় নীল আকাশগড়িয়ে নেমেছে তোমার গলার পাশ থেকেনেমে এসেছে আরো গভীরেযেখানে সঙ্গোপনে বড়ো হচ্ছেএকজোড়া প্রতিশ্রুতি একফালি আঁচল দিয়ে ঢেকে একমুঠো স্বপ্ন সুঠাম সুনিবিড়ঘুম ভেঙে চুঁইয়ে পড়ে মনের চোরা গলিতেঅবচেতন থেকে অচেতনচেতনার আরো অতলেভেদনশীল সম্পর্কের বেড়াজালেদারুণ অসময় ফিরে
পান পাতার গানতোমার ঘরে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার আমার ঘরে শ্মশানের চিতা দাউ দাউ কাদা পায়ে হাটু জলে এক আঁজলা গঙ্গাজল ছাই ঘেঁটে খুঁজে বেড়াই অচেনা নাভি টুকরো টুকরো পুরোনো স্মৃতি হাতড়াই প্রতিশ্রুতির আংটি বা জুড়ি হারানো কানের দুল চাপ ...আরও পড়ুনঅন্ধকার বটপাতার কোলে বাঁধ ভাঙা হাসি আর খোলা চুলে লুটিয়ে পরে রাত বৈশাখী ঝড়ে শান্তি আনে শ্রাবনের এক ঝলক বৃষ্টি ঝাপসা আকাশে কাতর ডাকে -সাথীকে খুঁজে ফেরে রাতচরা কোনো পাখি অধরা থেকে যায় স্বপ্ন অনেকতবু একদিন, সব কিছুর অবসান নিশ্চিত।কাঠচাঁপার ডালে মানুষের শরীরের পচা গন্ধ চিৎকার করে খিস্তি দিতে ইচ্ছে করে মৃত্যুকে আরও একটু বাঁচার জন্য কত আয়োজন গোপনে রাত্রিতে