গ্রামের সকাল, ভোটের গন্ধপশ্চিমবঙ্গের এক প্রত্যন্ত গ্রাম—গোপালপুর। এই ছোট্ট গ্রামের, চারদিকে সবুজ ধানক্ষেত, গাঁয়ের ভেতর দিয়ে আঁকাবাঁকা কাঁচা রাস্তা চলে গেছে। একদিকে নদীর বাঁধ, অন্যদিকে বনজঙ্গল। ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথে গ্রাম জেগে ওঠে।পাখির ডাক, গরুর ঘণ্টার টুংটাং শব্দ, আর কাকের ডাক মিলেমিশে এক অদ্ভুত সকাল তৈরি করে। কিন্তু এই সকালের মাঝেও একটা চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে—কারণ আর কয়েকদিন বাদেই বিধানসভা নির্বাচন।চায়ের দোকানে ভিড়গ্রামের চায়ের দোকান যেন নির্বাচনী আলাপের মঞ্চ। ভোরে মাঠে যারা কাজ করতে যায়, কিংবা যারা মাছ ধরতে নদীর ধারে নামে, তারা সবার আগে চায়ের দোকানেই বসে।চা-দোকানদার হরিদা, মোটা গলায় ডাক দেন—“এই নাও, চা হয়ে গেল! এবার ভোটের
ভোটের রঙ - 1
গ্রামের সকাল, ভোটের গন্ধপশ্চিমবঙ্গের এক প্রত্যন্ত গ্রাম—গোপালপুর। এই ছোট্ট গ্রামের, চারদিকে সবুজ ধানক্ষেত, গাঁয়ের ভেতর দিয়ে আঁকাবাঁকা কাঁচা রাস্তা গেছে। একদিকে নদীর বাঁধ, অন্যদিকে বনজঙ্গল। ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথে গ্রাম জেগে ওঠে।পাখির ডাক, গরুর ঘণ্টার টুংটাং শব্দ, আর কাকের ডাক মিলেমিশে এক অদ্ভুত সকাল তৈরি করে। কিন্তু এই সকালের মাঝেও একটা চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে—কারণ আর কয়েকদিন বাদেই বিধানসভা নির্বাচন।চায়ের দোকানে ভিড়গ্রামের চায়ের দোকান যেন নির্বাচনী আলাপের মঞ্চ। ভোরে মাঠে যারা কাজ করতে যায়, কিংবা যারা মাছ ধরতে নদীর ধারে নামে, তারা সবার আগে চায়ের দোকানেই বসে।চা-দোকানদার হরিদা, মোটা গলায় ডাক দেন—“এই নাও, চা হয়ে গেল! এবার ভোটের ...আরও পড়ুন
ভোটের রঙ - 2
অধ্যায় ২: শহরের পোস্টারভোরের আলো ফুটতেই কলকাতার শহর যেন নতুন এক সাজে সেজে উঠতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার আবরণ গেলে চোখে পড়ে বাড়ির দেওয়াল জুড়ে নতুন রং-এর আঁচড়। লাল, সবুজ, নীল, গেরুয়া – যত রঙের খেলা সম্ভব, সব যেন মিশে আছে সেই দেওয়ালে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে—কে বেশি পোস্টার লাগাতে পারে, কার ব্যানার বেশি উঁচুতে উড়তে পারে, কার পতাকার রং বেশি ঝলমল করতে পারে।শহরের মূল সড়ক থেকে সরু গলিপথ—কোথাও ফাঁকা নেই। বিদ্যুতের খুঁটি থেকে শুরু করে মোড়ের দোকানের টিনের ছাউনি পর্যন্ত ভরে গেছে কাগজে ছাপানো মুখ, হাসিমুখে হাত নেড়ে চলেছে প্রার্থী, সাথে বড় বড় অক্ষরে স্লোগান— “পরিবর্তনের ...আরও পড়ুন
ভোটের রঙ - 3
অধ্যায় ৩ : রাজনৈতিক সভার ঢেউমঞ্চের প্রস্তুতিসূর্যটা অনেমি, অর্ধেক লুকিয়ে, অর্ধেক ক্লান্ত। শহরের বড় মাঠ—যে মাঠে সাধারণত নববর্ষে মেলা, পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হত—আজ রূপরেখা বদলে নিয়েছে। কাঁটা বাঁশ আর প্রায় ভাঙা ব্যানারের ভাঁজে বাজি-বিস্ফোরণের বদলে এখন বাজছে বিশাল স্পিকার, জেনারেটরের কাবার, আর মানুষের কদমচাপ—যা একযোগে একটা ভিন্নরকম উত্তেজনা তৈরি করছে।রাতভর লোকেরা কাজ করেছে; এখন ভোরে কাজ চলছে শেষ মুঠোয়। ধুলোর মধ্যে জড়িয়ে আছে কফির কাহালি, তরুণ কর্মীদের উচ্চস্বরে নির্দেশ, এবং দূরে কোথাও দোকানির চিমটি ধরে চা-চক্র। এই চা-চক্রই আজকের রাজনীতির এক অদৃশ্য প্যারা—চায়ের কাপের ধোঁয়ায় ভাসমান আলোচনা, সূচনা-কথা, ও আশাব্যঞ্জক শোরগোল।মঞ্চ বানানো হচ্ছে—বাঁশে বাঁধা ফ্রেম, প্ল্যাস্টিকের কাপড় টেনে ...আরও পড়ুন