The Author Joy Bandyopadhyay অনুসরণ করুন Current Read বউল বাতাস - 2 By Joy Bandyopadhyay বাংলা কবিতা Share Facebook Twitter Whatsapp Featured Books কবিতামঞ্জরী - কবির কবিতাগুচ্ছ শ্রেষ্ঠ প্রাণী অশোক ঘোষ ধরণীর মাঝে যত প্রাণী আছে সবা হতে আ... রোমন্থন - এক ক্লান্তিহীন যাযাবরের জীবনালেখ্য রোমন্থন এক ক্লান্তিহীন যাযাবরের জীবনালেখ্য অবতরণিকা কোনো ব... সূর্য একদিন সূর্য হাসপাতালের জন্য এসে দাঁড়িয়ে গেল। সূর্য হাসপাতালে... অন্তে মিলায়ে যায়(দুটি গল্প) "১৭৪০ এর দশক, মুর্শিদাবাদের মসনদে তখন আলীবর্দী খাঁ। হিন্দু... আঁধার যখন ডাকে তালা খুলতেই একটা আঁশটে গন্ধ এসে ঝাপটা মারলো সুদীপার নাকে।বৃষ... বিভাগ Short Stories আধ্যাত্মিক গল্প Fiction Stories Motivational Stories Classic Stories Children Stories Comedy stories పత్రిక কবিতা ভ্রমণ বিবরণ Women Focused নাটক Love Stories Detective stories Moral Stories Adventure Stories Human Science মনোবিজ্ঞান স্বাস্থ্য জীবনী Cooking Recipe চিঠি Horror Stories Film Reviews Mythological Stories Book Reviews থ্রিলার Science-Fiction ব্যবসায় খেলা প্রাণী জ্যোতিষ বিজ্ঞান কিছু Crime stories Novel Joy Bandyopadhyay দ্বারা বাংলা কবিতা Total Episodes : 6 শেয়ারড বউল বাতাস - 2 1.6k 3k নন্দিনী ভালো আছো!বৃষ্টি হচ্ছে ওখানে?অসীমদা সেই লাল গাড়িটা চালায় আজকাল!সৌরভ গাঙ্গুলী খেলছে এখনো?না কি মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত!কতো বড়ো হলো হিমু?পামেলা দি কি এখনো চাকরি করে!আচ্ছা কফি হাউস এ এখনো২ টাকা বান্ডিল বিড়ি দেয়?সল্টলেকের রোস্টেড বিড়ি!তমালটা কি ঝগড়াটাই না করতোকাউন্টার এ বিশুদা কিন্তু সবার খেয়াল রাখতোচারটের বেশি বিড়ি কাউকে খেতে দিতো না। তমালটার শেষে লিভার ক্যান্সার হোলো, আচ্ছা বিড়ি খেলে কি লিভার ক্যান্সার হয়! কে জানে!তুমি এখনো আউটরাম ঘাটে যাও!তোমার সেই হলুদ শাড়ীটা পরে?সেই সেবার সরস্বতী পুজোতে কিনেছিলেমনে আছে তোমার কি বায়নাটাই না করেছিলেপুরো গড়িয়াহাট ঢুঁ মেরেতোমার ওই হলুদ শাড়ী পাওয়া গেছিলোপ্যাকেট টা হাতে নিয়ে তুমিঅশ্বমেধ বিজেতা ঘোড়ার মতোগ্রীবা উঁচু করে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেচোখে তোমার অহংকার এর হাসিচুইয়ে চুইয়ে পড়ছিলোট্রামগুলো সব কালার করেছে?না পুরোনোই চালাচ্ছে!মনে পড়ে সেই শীতের ভোরেতোমাকে নিয়ে ট্রামে চাপা!চলন্ত ট্রাম থেকে নামা আর ওঠার জন্যকি বকুনিটাই না দিতে তুমিসেইবার একটুর জন্য পা স্লিপ করলোআমার গলা জড়িয়ে ধরে বলেছিলে'ঋ' তোমার কিছু হোলে আমি কোথায় যাবো!যাওয়াটা তো তোমারই হাতে ছিল নন্দিনী!!শোনোনা! রিমা কাকিমা আচার তৈরী করে আর!কাকিমাকে দেখলে বোলোআমি আর আচার খেতে পারি নাডাক্তার মানা করে দিয়েছেকাকিমার আচার কিন্তূ এখনোখুব পছন্দ আমারলেবুতলার চায়ের দোকানটাকি আজও চলে?বাবলু মানস বিতুন সবাই আসে ওখানে!ওদের দেখলে বোলো আমারআর ক্যারম খেলা হয় নাডানহাতটা পুরোটাই বাদ গেছেখেলতে হলে আবার শূন্য থেকেশুরু করতে হবে;বাবলুর সাথে বাজি ধরা ম্যাচটাআর খেলা হলো না-এখানে হালকা বরফ পড়ছে জানো!আমার কিন্তূ আর ঠান্ডা লাগে নাএইখানে শুইয়ে দিয়েছে ওরা আমাকেএখান থেকে সব দেখতে পাইকিন্তূ উঠে আসতে পারি নারবিবার একটা বুড়ো ভিখারিফুল রেখে যায় আমার পাশেআমার অফিসের নীচেরোজ ওকে ১০ টা টাকা দিতাম।গরম কচুরী খেত বুড়োটাএখন বোধকরি ঋণ শোধ করছে!একটু করে কাঁদবে আমার পাশে বসেপাগল যেন লোকটা!আচ্ছা! তুমি তো তুমি খুব ভালোবাসতে না জুঁই ফুল!এখনো মাথায় জুঁই ফুল বাঁধো?ওই গন্ধটাতে তোমাকে দারুন লাগতো জানো!নন্দিনী! মনে আছে আমাদের সেই প্রথম বেড়ানো!মানসী নদীর ঘাটেতুমি টাল খেলে নৌকো থেকেআমার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরেবলেছিলে ঋষভ তোমাকে খুব ভালোবাসি |আমার ভিসা পাওয়াতে খুব রাগ করেছিলে তুমিযেদিন আমাকে ছাড়তে এলে এয়ারপোর্ট এনন্দিনী! তোমার চোখ ভরা জল ছিলকি আশ্চর্য বলতো আমি তো সেদিন বুঝিইনিতুমি লুকিয়ে গ্লিসারিন দিয়েছিলে চোখেআমি কত বোকা না গো!তুমি আমার হাতটা ধরে বললে,তোমাকে কিন্তু চিঠি লিখবোআমি বললাম পৌঁছে ঠিকানাটা পাঠিয়ে দেবদিয়েছিলাম নন্দিনীঠিকানা আমার দিয়েছিলামআজও জানি না সেটাতোমার কাছে পৌঁছোল না কেন!হয়তো বসন্ত দার কোলে বসে তুমি খেয়ালই করনিপাশ দিয়ে কাগজটা উড়ে গেলো কোথাওনন্দিনী আমি কোনোদিন নাটক দেখিনি জানো!তাই হয়তো তোমারএতবড়ো নাটকটা ধরতেই পারলাম না!তা হোক! তোমার মুখে হাসি থাকলেআমি সব ভুলে যাই...আজওতোমার লাল টুকটুকে ঠোঁটেওই হাসিটা আমার প্রাণ ছিলশুনেছি তোমার নাকিফুটফুটে একটা ছেলে হয়েছে?ওর নাম কি সৌরভ রেখেছ!আউটরাম ঘাটে বসেআমার কাঁধে মাথা রেখে বলতে...ঋষু!ওই নামে তুমি আমায় ডাকতে...আমাদের ছেলে হলে নাম রাখবো সৌরভ।কি অদ্ভুত না নন্দিনী!ছেলে তোমার হলোকিন্তূ চোখ দুটো তার একদমবসন্ত দার মতো বসানো।নন্দিনী! একটা অনুরোধ রাখবে?তোমার ছেলের একটাছবি পাঠাবে আমার জন্য!ওর হাসিটা নিশ্চয় তোমারই মতো!খুব ইচ্ছে করে আজও ওই হাসিটা দেখতে।আচ্ছা আমার নতুন ঠিকানাটা দিই?১২ নম্বর চার্চ লেন, ব্রাসিল স্ট্রিট, লন্ডনব্রাকেটে কবরখানা ৫৪ লিখে দিওওটাই আমার ঠিকানা এখনআমি এখন ওখানেই শুয়ে থাকিঠান্ডা পাথরের বাক্সে।ভালো থেকো নন্দিনী...ইতি তোমার ঋষু।।রচনা কাল : জুলাই ২০১৬[কম বয়সের এরকম কতো প্রেম সময়ের অন্তরালে নির্বাক নিশ্চুপ ধুপের মতো পুড়ে পুড়ে শেষ হয়ে যায়। যার সুবাস ছড়িয়ে থাকে বাতাসে তার কায়াহীন অস্তিত্ব নিয়ে। এমন সব নির্মল সম্পর্কের প্রতি উৎসর্গিত আমার এই সামান্য প্রচেষ্টা] ‹ আগের অধ্যায়বউল বাতাস - 1 › পরবর্তী অধ্যায় বউল বাতাস - 3 Download Our App