Read Foot Step by Utopian Mirror in Bengali Classic Stories | মাতরুবার্তি

Featured Books
বিভাগ
শেয়ারড

পদক্ষেপ

আজ সকালে উঠেই প্রতিজ্ঞা করেছি একটা গল্প লিখবোই লিখবো। রোজ ভাবি কিন্তু কিছুতেই লেখা হয়ে ওঠে না। স্কুল লাইফে টুকটাক কিছু গল্প কবিতা লেখার শখ ছিল। ওই যেমন হয় আর কি উরু উরু মন। তারপর তো পড়ার চাপে
আর বিয়ের পর সংসার নামক সবই সার বস্তুটির চাপে সবই লাটে উঠেছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় ম্যারাথন দৌড়। স্কুল অফিস টিফিন রান্না তারপর কাজের লোকেদের পেছনে ছোটো। কিগো আজও ঘরটা সাবান দিয়ে মুছলে না মাসি? বাসন টা একটু ঠিক করে ধুতে পারো না কাল টুবলুর থালায় সাবান ছিল। ব্যাস শুরু হয় যায় গৃহ যুদ্ধ। কিন্তু আর না অনেক হয়েছে এবার শুরু পর্ব ১।

কিরে টুবলু কবার ডাকবো রে ওঠ ওঠ স্কুলে কি আমি যাবো রোজ রোজ এক ঝামেলা। দেখুন শুরু হলো দিন। আপনাদেরও একই ভাবে শুরু হয় আমি জানি। কিগো শুনছো উঠে পড়ো চা দিয়ে গেছি ১০ মিনিট হয়ে গেলো। আমি আর গরম করতে পারবোনা বলে দিলাম। এই নিয়ে দু দুবার ডেকে গেলাম।

কিরে ব্রাশ হয়েছে যা যা স্নান a ঢোক গিসের চালানো আছে। ১ ঘন্টা ধরে আজ যদি বাথরুম এ কাটাস না সুপর্ণা মিস কে বলে দেবো সারাদিন কান ধরে বেঞ্চে দাঁড় করিয়ে রাখবে দেখিস । দেখেছেন কত জ্বালা ক্লাস ৫ এর ছেলের এত ঝক্কি এখনো তো বড় হতে অনেক বাকি।

এই চলে আয় চটপট ব্রেড বাটর ডিম রেডি খেয়ে নে তাড়াতাড়ি করে। বাস এলো বলে। এখুনি টুকাই ডাকতে আসবে। কিগো তোমার হলো আর কতক্ষন কাগজ পড়বে। ৮টা বাজতে যায় আজ তাহলে রান্নার ছুটি নাকি।

এই সময় গল্প লেখা তো দূর নিঃস্বাস নেওয়ার সময় নেই। আপনারাও ভুক্তভুগি জানি।

ওরে বাবা ৮টা ১৫ হয়ে গেলো আরে এই টুবলু কি হলো রে বাস কাকু ২ বার কল করেছে আর কত দেরি করবি। তোর জন্য আজ ঠিক গার্ডিয়ান কল হবে। আর তোর বাবার আর কি। উনি তো অফিস করেই খালাস। যত অশান্তি হয়েছে আমার। আর হ্যাগো তুমি কি যাবে না বাজারে।

মা টুকাই তো এখনো আসেনি। ওর জ্বর হয়েছে রানু দি ফোন করেছিল এখুনি আজ যাবে না তুই চল জলদি। শোনো আমি টুকলু কে বাসে তুলে দিয়ে আসছি তুমি সদর দরজাটা টেনে দিয়ে যাবে বাজারে। আগেরদিন কুকুরটা ঢুকে নোংরা করে গেছে।

উফফ সকাল সকাল বিধবা বুড়িদের মতো খিটখিটে করো কেন। আমার মার আমল হলে না চা নিয়ে কর্তারা ২ ঘন্টা আড্ডা দিতো।

হ্যা সেতো দেবেই। তাঁদের তো আর তোমার মতো মেট্রোর লাইন এ দাঁড়াতে হতো না। আর তুমি চুপ করোতো ওতো মায়ের আমল দেখিও না। তোমার মা কে কি ল্যাপটপ এ বসে ছেলের ডিজিটাল ড্রয়িং করতে হতো না গার্ডিয়ান মিটিং এ ফটোর ফটোর ইংলিশ এ ছেলের সাফাই গাইতে হতো। তাও তো ভালো তোমায় দু ঘা মেরে উনি নিজের মনের রাগ মেটাতে পারতেন। এখন তো সে উপায় ও নেই। নিজের পেটের ছেলেকে মারবো শিক্ষা দেবো সেটা নাকি চাইল্ড আবুজ আর ট্রেন এ বাচ্ছারা ভিক্ষে করবে সেটা দেশের সংস্কৃতি। যাও তো যাও দেরি করো না।

কি পাচ্ছেন মিল নিজের সকালটার সঙ্গে ? এই সময় নিজেকে অর্জুন মনে হয় না? ২তো না ১০ হাত চলছে। নাহ গল্প লিখতে বসার নো চান্স এখন।

যাক স্কুল পর্ব শেষ টুবলুর বাবা বাজারো এনে দিয়েছে। না না না না না ভাববেন না আমি ফ্রি এবার তো যুদ্ধের মধ্য পর্ব শুরু। তিষ্ট পাঠক তিষ্ট। কিগো রানু দি কাল মাছ টা এত জ্বলজ্বল করলে কেন। এতদিন কাজ করছো জানো না আমরা কিরম খাই। আশ্চর্য বাবা। শোনো আজ আর বেশি কিছু করতে হবে না। ডাল মোচার ঘন্ট করো আর মাছ। ও কটা আলু কেটে দিও টুবলু আলুভাজা ছাড়া খাবে না ওটা পরে আমি করে নেবো। আর টিফিন এ পরোটা আলুরদম করো। রাত এ রুটি হবে আর ডিম কষা। টুবলুর বাবার অফিস পার্টি আছে খাবেনা শুধু আমার মতো করো।

শেষ হলো বাঙালির সব চেয়ে বড় যুদ্ধ রান্না পর্ব।কিগো শুনছো খাবার বেড়ে দিয়েছি তো এসো তাড়াতাড়ি। আর তোমার শার্ট প্যান্ট টা বাইরে রেখেছি। কোট তাও লন্ড্রি থেকে কাল এনে রেখেছি। বাকি রুমাল মোজা ঘড়ি সব ড্রেসিং টেবিলেই আছে। পেয়েছো না যাবো।

এটা কি গল্প লেখার মাহেন্দ্রখন?

যাক টুবলুর বাবা বেরিয়ে গেছে টিফিন ও দিয়ে দিয়েছি। এবার মাসির রান্নাটা শেষ হলেই ব্যাস আমি ফ্রি। স্নান খাওয়া সব পরে হবে আগে গল্প লিখবো। এইরে সর্বনাশ কাল থেকে ওয়াশিং মেশিন এ জামা কাপড় গুলো পড়ে আছে ভুলেই গেছি। দাঁড়ান দাঁড়ান সুকোতে দিয়ে আসি। এবার দেখুন হোম মেড P. T. Usha ছুট।

এবার টিফিন খাই টিভি টা চালাই একটু নিউস টা দেখা হয়নি কাল। টিভি তে কি দেখবেন খুললেই তো যত রাজ্যের বাজে খবর খুন রেপ নাহলে পলিটিকাল কাঁচরা দূর দূর। যাই একবার দেখে আসি মাসির কদ্দুর হলো।

কাজের মাঝেও ভেবে যাচ্ছি কিন্তু কি গল্প লিখবো। নিরাশ হবেন না।

রান্না শেষ কাজের মাসিও চলে এসেছে। এই যা দেখেছেন টুবলুর বাবাকে তো সকালে প্রেসার এর ওষুধ তাই দিতে ভুলে গেছি। হজমের ওষুধ তাও নিলো কিনা কে জানে। আর যা কুঁড়ে লোক বৌ দিলো না তো উনিও আর হাত নেড়ে নেবেন না। গেল মাস এ এতদিন ভুগলো তাও শিক্ষা নেই। দাঁড়ান দাঁড়ান একটা ফোন কোরে আসি। মনে না করালে কিনেও খাবে না।

গল্পের টপিক টা একটু একটু আসছে মাথায়। বিরক্ত হবেন না প্লিজ। একটু ধৈর্য ধরুন।

কাজের মাসি রান্না মাসি সবাই চলে গেছে আবার আমার রাজ প্রাসাদে আমি একা সেই বিকেল অব্দি। আপনারা আবার ভেবে বসবেন না আমি কোনো অট্টালিকায় থাকি। সব বিবাহিত মেয়েদের কাছেই স্বামীর বাড়িতে তার রাজমহল তাইনা। যত্নে আদরে গড়ে তোলা অট্টালিকা। যার মূল্য অংকের সংখ্যায় হয়না।

মনটা খুঁতখুঁতে করছে জানেন। টুকাই তার এত জ্বর একবার দেখতে যাবো না। আমার ছেলের বেস্ট ফ্রেন্ড। রানু দি নিজের বোনের মতো ভালোবাসে আমায়। সন্ধে বেলা তো সময়ই পাইনা। আজ আবার টুবলুর বাবার রাত হবে ফিরতে। যাই ছেলেটাকে একবার দেখে আসি।

আরে রেগে যাবেন না পাঠক বন্ধুরা। দেখুন না আজ শুরু করবোই লেখা।

ছেলেটার খুব জ্বর আহারে টুবলুরি বায়সী। মুখ টা শুকিয়ে আমসি হয় গেছে। আর ওর চেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে রানু দি। বলে তো এলাম এত চিন্তা করো না আজকের দিনটা দেখো। ডাক্তার তো বলেছে ভাইরাল ফিভার সময় লাগবে। সেরম হলে কাল অন্য ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাবো। আমরা আছি তো নাকি তুমি নিজে ভেবে ভেবে অসুস্থ হলে ওকে দেখবে কে। আসলে ছেলেটার তো বাবা নেই মায়া লাগে। রানু দি যে কি করে সব একা একা সামলায় সত্যি প্রণাম। টুবলুর বাবা ছাড়া আমি তো দুচোখে অন্ধকার দেখি।

উফফ একটু শান্তিতে বসার উপায় নেই। কে আবার ফোন করলো। নিশ্চই মা। কতবার বলেছি ল্যান্ডলাইন এ ফোন না করে মোবাইল এ করবে। কে শোনে কার কথা সেই ডাইরি খুলে বসবে আর ল্যান্ডলাইন এ কল করবে। যাই ছুটি ওপরে নাহলে কেটে যাবে।

মা কে আজ বলবো বুজলেন একটা গল্প লিখবো ভেবেছি।

দেখেছেন কান্ড ঠিক জানি পাক্কা ১ ঘন্টা বকবে। কত দেরি করে দিলো দেখুন স্নান খাওয়া সব বাকি। কখন কি করি আবার একটু পরেই কাজের মাসি দুপুরের বাসন মাজতে আসবে। যাই যাই সেরে নিয়ে বসি একেবারে। পাঠক গণ এতক্ষন কষ্ট করে ধৈর্য ধরলেন আরেকটু প্লিজ।

এতক্ষনে শান্তি। পেট পুজো শেষ। মাসির কাজও শেষ। এখন আর ৪টে অব্দি কোনো কাজ নেই। একটু কি ১০ মিনিট গড়িয়া নেবো? কি বলেন আপনারা। সারাদিন ছুটছুট পারা যায়না। জাস্ট ১০ মিনিট। ডেকে দেবেন কিন্তু আপনারা নাহলে আবার বলবেন সারাদিন বোর করে কিছুই করলো না।

টিংটং টিংটং টিংটং....... উফফ আসছি রে বাবা আসছি কার মরণ টারা পড়লো কে জানে। একি এত বেলা হয় গেলো কি করে জাস্ট ১০ মিনিট টো শুলাম। যাহঃ। দেখলেন ডাকলেন নাতো কখন লিখবো আবার?

আরে বৌদি কি করছিলে কি সেই কখন থেকে বেল বাজাচ্ছি। টুবলুকে বাস থেকে আনতে যাওনি কেন। দেখো নিজে নিজে চলে এসেছে এতটা রাস্তা। বেল এ হাত পাচ্ছে না। ভাগ্গিস আমি রেশন তুলতে এলাম নাহলে কতক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতো বলতো ছেলেটা। ঘুমিয়ে পড়েছিলে নাকি? শরীর ঠিক আছে তো ?

সত্যি ছি ছি একটু শুতে গিয়ে এমন চোখ টা লেগে গেছে কখন ৪টে বেজে গেছে বুঝিনি। এসোনা ভেতরে একটু চা খেয়ে যাও।

না না পরে আসবো একদিন বৌদি। তোমার দাদার আজ নাইট ডিউটি রান্নাটা তাড়াতাড়ি সারতে হবে। আজ চলি। তুমিও এসো একদিন সবাইকে নিয়ে।

দেখুন কান্ড গল্প ভাবতে গিয়ে নিজেই টো গল্প হয় যাচ্ছিলাম আরেকটু হলে। এই টুবলু জামা ছাড় দুধ টা গরম করছি খেয়ে তবে খেলতে যাবি। হাত মুখ এ সাবান দে। কিরে। শুনছিস? আর পারি না এই বদমাস ছেলেটাকে নিয়ে।

টুবলু বেরোলো খেলতে এলে পড়তে বসাবো। আমি যাই একটু চা করি আর রাতের খাবার টা গরম করে নি। টুবলুর বাবা যেখানে যাই খাবে আমাদের জন্য ঠিক আনবে জানেন। মানুষটার দুনিয়াটাই আমরা দুজন। ঠিক যেমন আমাদেরো তাই। আমাদের না দিয়ে খেতে পারেনা। আজ আর বাইরের কিছু দেবো না খেতে কাল ছুটি কাল খাবে ছেলে।

এবার নিজেরই বিরক্ত লাগছে কখন যে একটু লিখতে বসবো। আবার বেল। টুবলুটা ফিরলো বোধহয়। ৬টা টো প্রায় বাজে।

টুবলু কে পড়াতে বসালেই নিজের ছোটবেলাটা মনে পরে। কি আপনাদের পরে না? আমরাও এরম সকাল সন্ধে পড়তে বসতাম আর সত্যি মায়েদের কি ডেডিকেশন ছিল বলুন টো তখন। বুঝুক না বুঝুক রান্না করতে করতে ঠিক খেয়াল রাখতো কিরে জোরে জোরে পর। চুপ কেন রে পড়ায় মন নেই না শুধু খেলবো সারাদিন। এই অঙ্ক গুলো তাড়াতাড়ি শেষ কর নাহলে কিন্তু রুটি বেলতে হবে আমার সাথে।

সত্যি হাটস অফ এই মেয়েদের মায়েদের গল্প গুলো কবে লেখা হবে বলুনতো ?

টুবলুর শিক্ষা অভিযান এখনো চলছে। আজ মিস আসবেনা আমিও যদি না দেখি পওয়া ১২। এই ছেলের জ্বালায় একটু টিভি দেখার উপায় নেই। যেই পাশের ঘর এ টিভি টা খুলবো ব্যাস পড়া বন্ধ হয় মোবাইল এ কুটকুট নাহলে পাশে এসে বসে পড়বে। আবার কিছু বললে বলে তুমি কেন দেখছো তাহলে। তুমি যখন পড়তে দিদা কি মোবাইল এ গেম খেলতো?

শুনুন কথা পাকা ছেলের। আজকালকার বাচ্ছারা না আমাদের এক হাট এ কিনে আরেক হাট এ বেচে দেবে বুজলেন। যাকগে পড়ানো টা শেষ করি কাল ছুটি একটু আরাম। যাহঃ গল্প করতে করতে টো আমার গল্প তাই ভুলে গেলাম।

টুবলু তাড়াতাড়ি শেষ করে ম্যাথস টা এরপর হিস্ট্রি কোশ্চেন লিখতে হবে বাংলা হাতের লেখাও বাকি। কবিতা দুটো মুখস্ত করেছিস? আমি এক কাপ চা করে আনি এসেই কিন্তু ধরবো। তার আগে যা পড়ার পড়ে নে। আর শোন্ আমি চোট করে রানু দি কে খাবার তাও দিয়ে আসি। তুই আজ আর যাসনা ছেলেটার আরো মন খারাপ লাগবে। সারাদিন শুয়ে আছে বেচারা। জলদি শেষ করে।

সংসারের কঠিন বাস্তবতার চাপ এ মনের অলীক গল্প টো শেষ হতে চললো। কি যে করি।

মা একটা ডিমের ওমলেট খাবো কিনতু আজ। ইউ প্রমিসড। এই কবে করলাম রে প্রমিস। না আমি খাবো আজ টো পেট ঠিক আছে দাও না মা প্লিজ। ওকে ওকে করছি পরে যদি বলেছিস পেট এ ব্যাথা করছে দু ঘা দেবো দেখ।

ব্যাস হয় গেলো যেই একটু বসতে যাবো এখন ছেলের ডিম ভাজা খাওয়ার ফর্মাস। হয় গেলো গল্প লেখা।

টুবলুর বাবা এই ফিরলো একটু চা করে দিয়ে এলাম। মানুষটা এত চা বিলাসী যখনি ফিরুক যত রাত এ হোক চা চাই। টুবলু খেতে আয় এই ডিম হয় গেছে তাড়াতাড়ি আয়।

আবার ১ ঘন্টা ধরে ছেলের খাওয়া পর্ব আর তার সাথে বাবা কে সারাদিনের রিপোর্ট চলবে। আর বাবাও পারে ছেলের সাথে তাল মেলাতে। দেখি সবাই শুলে লেখাটা শুরু করবো।

টুবলু আবার মোবাইল নিয়ে বসলি। কতবার বলেছি না রাত এ গেম খেলবি না চোখ টা যাবে। কথা সুনিসনা কেন। হ্যাগো তুমি একটু বকতে পারো না ছেলেটাকে। আমার হয়েছে যত জ্বালা।

আরে খেলুক খেলুক এটা ডিজিটাল যুগ গিন্নি। আমরা প্রাক্তন। কোনদিন দেখবে তোমার কাজের মাসি টাইম মেশিন চেপে ঘুরছে আর মোবাইল থেকে বেরিয়ে আসছে। তোমায় আর কষ্ট কোরে দরজা খুলতে হবেনা।

শুনলেন কথাটা শুনলেন একবার। যেমন বাপ্ তার তেমন বেটা।

জানেন আজকাল একটা ট্রেন্ড হয়েছে ছেলে মেয়েকে তুমি আর বর বৌ কে তুই বলা। আমার আর মডার্ন হওয়া এ জন্মে হলো না। এখন সবই উল্টো পুরান শুধু লেখার জন্য কোনো বাল্মীকি মুনির জন্ম হচ্ছে না।

টুবলু ঘুমিয়ে কাদা ওর বাবাও শুয়ে পড়েছে আজ ফিরতে দেরি হয়েছে তো খুব ক্লান্ত। আমারো ঘুম যে পাচ্ছেনা টা নয় সারাদিনের টেনশন শরীরটা ছেড়ে দিয়েছে। আপনাদের খুব নিরাশ করলাম তাইনা। এতক্ষন সঙ্গে থাকলেন। কি করবো বলুন আজও লেখা হলোনা। শরীর আর দিচ্ছে না যে।

দিন শেষ আরো একদিন বয়েস বাড়লো আর জীবন থেকে কমে গেলো আরেকটা দিন না শুধু দিন না কর্মব্যাস্ত দিন। এভাবেই চলতে থাকবে সময় সংসারের চাকা। আপসেট লাগছে তাইনা যে কি কি বকে গেলো গল্প লেখার নাম করে।

একটু চোখ বন্ধ করে বসুন আর ভাবা শুরু করুন। আচ্ছা এটাই কি আমাদের গল্প নয়। এইযে রোজকার দৈনন্দিন জীবন প্রবাহ এর চেয়ে সত্যি এর চেয়ে বাস্তব কোনো গল্প হয় কি। আমার টো জানা নেই। আপনাদের কি মনে হয় লিখে জানান। হ্যা মানছি হয়তো কোনো বিশিষ্ট এপস এ ডিজিটাল আপলোড হবে না কোনো বুকর্স অ্যাওয়ার্ড পাবে না বা কোনো সনাম খ্যাত লেখক বা লেখিকাদের দারা প্রশংসিত হবেনা আয় গল্প। কিন্তু আপনি আমি আপামর গৃহবধূ আপামর মেয়েরা টো জানি এই গল্প কতটা আপন কতটা সত্যি।

আমাদের প্রাণের শিকড় দিয়ে লেখা প্রতিদিনের এই গল্প আর মনের সব টুকু উজাড় করে আঁকড়ে ধরা এই গল্প। এই গল্প ছাড়া আমাদের অস্তিত্ব আছে কি। তাই এই গল্পের কোনো চরিত্রই কাল্পনিক না আর এটা গল্প হলেও সত্যি।

ধন্যবাদান্তে
মন্দিরা 🙏