Eros Phyche books and stories free download online pdf in Bengali

গ্রিক প্রেমের গল্প 6 - Eros Phyche

Eros & Phyche

Matrubharti




© COPYRIGHTS

This book is copyrighted content of the concerned author as well as Matrubharti.

Matrubharti has exclusive digital publishing rights of this book.

Any illegal copies in physical or digital format are strictly prohibited.

Matrubharti can challenge such illegal distribution / copies / usage in court.


Eros & Phyche

টি কন্যা সন্তান ছিল। তাঁরা সবাই ছিল খুব সুন্দরী কিন্তু সবচেয়ে ছোট মেয়ে সাইকি রূপে অন্য বোনদের ছাপিয়ে গেল। শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে নয় স্বর্গের দেবীর সঙ্গে তার তুলনা করা হত। তার এই সৌন্দর্যের কথা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল़ আর শীঘ্রই অনেকে দেবীর আসনে বসাল তাকে।

সৌন্দর্যের দেবী ভেনাসের মন্দির অবহেলিত ভাবে পরে রইল़ তাঁর পছন্দের শহর ধ্বংস হয়ে গেল আর এতদিন যারা ভেনাসকে পছন্দ করত़ এবার থেকে তাঁরা সাইকি কে পছন্দ করতে শুরু করল। ভেনাস সাইকির প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ল আর সাহায্যের জন্য পুত্র কিউপিডের শরণাপন্ন হল। সে কিউপিডকে পৃথিবীতে গিয়ে সাইকি কে প্রেম বাণে বিদ্ধ করার নির্দেশ দিল যাতে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণ্য জীব তাঁর প্রেমে পরে।

কিউপিড হয়ত ঠিক তাই করত যদি না সে সাইকি কে দেখত। সাইকি কে দেখার পর़ তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়ে সে নিজের প্রেমবানে নিজেকেই বিদ্ধ করল।

ভেনাসের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে কিউপিড তাঁর নির্দেশ অমান্য করবে না। এরপর কি ঘটবে সে বিষয়ে ভেনাসের কোন ধারণা ছিল না। সাইকি কোন ভয়ানক জীবের প্রেমে পড়ল না এবং আরও অদ্ভুত ব্যাপার হল সাইকি কারুর প্রেমেই পড়ল না।

সমস্ত মানুষ তাঁর ভক্ত ছিল ও তাঁর প্রশংসা করত কিন্তু কেউ তাকে সত্যিকারের ভালবাসত না। একে একে সাইকির দুই বোনেরই রাজার সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল। কিন্তু সবার সেরা রূপ নিয়েও সাইকি একাকি নির্জনে থাকত़ সে শুধুই প্রশংসা পেল ভালবাসা নয়।

তাঁর বাবা পরামর্শের জন্য দৈবজ্ঞানী অ্যাপোলোর কাছে গেল। সেই ভবিষ্যৎবক্তা বলল যে़ কিউপিড নিজে তাকে বলেছে़ তীব্র মনকষ্টে আবৃত সাইকিকে পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে রেখে আসতে़ দেবতাদের থেকে শক্তিশালী এক ডানাওয়ালা সর্প তাঁর স্ত্রী বানাবার জন্য তাকে নিয়ে যাবে।

মিজারে তাঁর পরিবারকে দুঃখজনক খবরটা জানাতে এল। তাঁরা এমনভাবে সাইকি কে সাঁজাল যেন সে নিজের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় যোগ দিতে যাচ্ছে এবং তাকে নিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় চলে গেল। যদিও তাঁর বাবা মা ভীষণ কান্নাকাটি করছিল কিন্তু সে তাদের স্বান্তনা দিয়ে বলল যে़ অবশেষে এই দিনটি এল বলে ও ভীষণ খুশি।

বাবা মা কে গভীর শোকে ভাসিয়ে़ অসহায় অবস্থায় ফেলে পাহাড়ের শিখরে চলে গেল। তাঁর বাবা মা নিজেদের মহলে ফিরে এল এবং তাঁর দুঃখে দিন কাটাতে লাগল।

পাহাড়ের চূড়ায় বসে মনের দুঃখে ফিচের দু’চোখের জলের ধারায় সব আবছা হয়ে যাচ্ছিল। সে জানে না কি হতে চলেছে। হটাৎ উষ্ণ হাওয়া তাঁর গলা জড়িয়ে ধরল এবং তাঁর মনে হল কেউ তাকে কোলে তুলে নিয়ে হাওয়ায় ভেসে গেল আর তারপর ফুলের সুগন্ধে ভরা কোমল তৃণভুমিতে এনে নামিয়ে দিল।

তাঁর সব ভয়़ সব আশঙ্কা দূর হয়ে গেল আর আবেশে নিদ্রায় তলিয়ে গেল। জেগে উঠে দেখল উজ্জ্বল স্রোতস্বিনী একটি নদীর ধারে সে শুয়ে আছে আর সামনেই রয়েছে দেবতাদের বাসস্থানের মত সুরম্য এক অট্টালিকা।

সে হতচকিতভাবে বিশাল প্রবেশ দ্বারের সামনে দাড়িয়ে রইল़ ভেতরে ঢুকতে সঙ্কোচ করছিল। সে শুনতে পেল কেউ তাকে বলছে যে़ এই মহল তোমারি জন্য़ তুমি স্নান করে নাও তাতে তোমার সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। সেখানে একটি টেবিলে থরে থরে বিভিন্ন স্বাদের খাবার রাখা ছিল এবং দাস দাসীরা তাঁর সেবায় প্রস্তুত।

স্নান করে তাঁর সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেল। নানারকম সুস্বাদু খাবার খেতে খেতে সুমিষ্ট সঙ্গীতের সুর তাঁর কানে এল কিন্তু যে গাইছে তাকে দেখতে পেল না। এইভাবে সারা দিন কাটল এবং সে বুঝতে পারল খুব তারাতারিই তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর দেখা হবে।

রাত হবার পর তাঁর স্বামীর মিষ্টি কন্ঠস্বর তাঁর কানে এল़ সে ফিসফিসিয়ে তাঁর কানে কানে কিছু বলছে। সে বুঝতে পারল তাঁর স্বামী কোন দৈত্য বা দানব নয়़ বরং এতদিন ধরে সে যা চেয়ে আসছে তাঁর স্বামী ঠিক সেই রকম। সাইকি মনে প্রানে তাকে স্বামী বলে গ্রহণ করল।

এভাবেই চলছিল। একদিন সাইকি ভাবল़ বহুদিন হল তাঁর বোনদের সঙ্গে দেখা হয় নি তাই ও তাঁর স্বামীকে অনুরোধ করर्ল সে তাঁর বোনেদের এই মহলে আসার আমন্ত্রণ জানাতে চায়। বোনেরা তাঁর কাছে এসে কিছুদিন থাকবে। তাঁর স্বামী বলर्ল এই ঘটনাটি ঘটলে তাঁর জীবনে দুর্ভাগ্য নেমে আসতে পারে কিন্তু সে কেঁদেই চলল এবং জেদ আঁকড়ে রইল নিজের কথা মানাবার জন্য। শেষ পর্যন্ত স্বামী তাঁর কথা মেনে নিল।

তাঁর বোনরা আনন্দাশ্রু নিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরল। ছোট বোনের ঐশ্বর্য দেখে তাঁরা হিংসায় জ্বলে পুড়ে গেল কারন তাঁরা বুঝতে পারল যে ছোট বোনের সুখ সমৃদ্ধির সামনে তাদের সমৃদ্ধির কোন তুলনাই হয় না। এবার তাঁরা ছোট বোনের সুখ শান্তি নষ্ট করার ছক কষতে থাকল।

এক রাতে সাইকির স্বামী তাকে আবার সাবধান করে দিল। ইতিমধ্যেই সাইকির কথাবার্তায় তাঁর বোনরা টের পেয়ে গেছে যে সাইকি কখনও তাঁর স্বামীর চেহারা দেখেনি। তাঁরা সাইকি কে উস্কাতে শুরু করল এবং তাঁর মধ্যে সন্দেহের বীজ বপন করতে শুরু করল। তাঁরা তাকে এই বোলে ভয় দেখাল যে দৈবজ্ঞানীর কথা অনুসারে তাঁর স্বামী সত্যিই এক বিষধর সাপ এবং কোন এক রাতে তাকে গিলে ফেলবে।

এসব কথা শুনে সাইকির হৃদয়ে ভালবাসা নয় ভয় বাসা বাঁধল। সে ঠিক করল़ রাতে একটি ধারাল ছুরি নিয়ে শোবে আর নিজের বিছানার পাশেই লুকিয়ে রাখবে একটি প্রদীপ আর যেই তাঁর স্বামী ঘুমিয়ে পড়বে সেই সুযোগে তাঁর বিছানার পাশে গিয়ে তাঁর বুকের মধ্যে ছুরিটি বিঁধিয়ে দেবে কারন সে ধরেই নিয়েছিল যে নৃশংস কদাকার এক দৈত্যের চেহারা দেখতে পাবে।

তাঁর মনের মধ্যে তোলপাড় চলছিল। একবার মনে হচ্ছিল এটা তাঁর প্রিয় স্বামী़ তাঁর ভালবাসার মানুষ़ কোন দৈত্য নয়। আবার পরমুহুর্তে সন্দেহটা মনে উঠে আসছিল। শেষ পর্যন্ত স্থির করল़ আজ রাতে স্বামীর মুখ দেখতেই হবে। সেই রাতে অনেক সাহস সঞ্চয় করে़ আলো জ্বালিয়ে পা টিপে টিপে স্বামীর বিছানার পাশে এল।

রাত যখন গভীর হল তখন আলো জ্বালিয়ে চুপি চুপি বিছানার পাশে এসে স্বামীর মুখের ওপর আলো ফেলে অবাক হয়ে দেখল़ কি অপরূপ তাঁর স্বামী। কোন দৈত্য নয় বরং তাঁর দেখা সবচেয়ে সুন্দর পুরুষ। স্বামীকে সন্দেহ করার অপরাধে লজ্জায় সাইকি নিজের বুকেই ছুরি বিঁধিয়ে দিত যদি না ছুরিটা তাঁর হাত থেকে পরে না যেত।

যে হাত তাকে ছলনা করা থেকে রক্ষা করল সেই হাত কেঁপে জ্বলন্ত প্রদীপ থেকে একফোঁটা গরম তেল তাঁর স্বামীর কাঁধে পড়ল আর সে চমকে জেগে উঠল। এই বিশ্বাসঘাতকতা দেখে সে কোন কথা না বলে মুহুর্তের মধ্যে সেখান থেকে উড়ে চলে গেল।

সাইকি সেই রাতে স্বামীর সন্ধানে দিশাহারা হয়ে তাকে খুঁজতে বেরিয়ে গেল। সে দূরে़ কাছে সব জায়গায় তাকে খুঁজে বেরালো। ইতিমধ্যে তাঁর স্বামী নিজের ক্ষতের চিকিৎসার জন্য ভেনাসের মন্দিরে গেল কিন্তু এই ঘটনাটি শোনার পর তাঁর ক্ষতের চিকিৎসা না করেই তাকে যন্ত্রণার মধ্যে রেখে গেল কারন ভেনাস আগের থেকে আরও বেশি ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ল।

সে শপথ নিল দেবীকে হীন প্রতিপন্ন করায় দেবীর ক্রোধের কি পরিণাম হতে পারে। সাইকি কোথাও তাঁর স্বামীকে খুজে পেল না। স্বামীকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়ে সে নিজে ভেনাসের মন্দিরে গিয়ে পৌছাল। সুযোগ বুঝে ভেনাস তাঁর মনের ঝাল ঝাড়ল। বলল যদি একরাতের মধ্যে অসংখ্য বীজের মধ্যে থেকে একটা একটা করে দানা বেছে আলাদা করতে পারে তবেই ভেনাস তাঁর ইচ্ছে পূরণ করবে।

সে একা বসে দানা বাছতে বাছতে বুঝতে পারল এই কাজটা সম্পূর্ণ করা অসম্ভব। কেউ সাইকির প্রার্থনা শুনল না কারন সাইকিকে সাহায্য করে ভিনাসের সঙ্গে শত্রুতা করার সাহস কারুর নেই़ কিন্তু ছোট্ট একটি পিঁপড়ের সাইকির প্রতি মায়া হল। ঐ পিঁপড়ে বীজ আলাদা করার কাজে সাইকিকে সাহায্য করল। রাতের মধ্যেই পিঁপড়েরা স্তূপ থেকে দানাগুলিকে বেছে আলাদা আলাদা করে সাজিয়ে রাখলো।

ভেনাস এসে দেখল़ সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ। ভেনাস বলল़ “তোমার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে”। সে সাইকিকে পোড়া রুটি ছুঁড়ে দিল খাবার জন্য আর শক্ত মাটিতে শুতে দিল। নরম সুগন্ধি বিছানা ছেড়ে শক্ত পাথরের মত মাটিতে শুতে দেওয়া হল। পরদিন সকালে ভেনাস সাইকিকে আবার একটি কাজের হুকুম দিল। এবারের কাজটা আরও কঠিন।

কাজটা হল़ নদীর ধারে যে সোনালি লোমের ভেড়ার পাল ঘুরে বেড়ায় সেই ভেড়ার পালের গা থেকে সোনালি লোম সংগ্রহ করে ভেনাসকে দিতে হবে। নদীর ধারে পৌঁছে़ সাইকির ইচ্ছে হল জলে ঝাঁপ দিয়ে সমস্ত যন্ত্রণার অবসান করে দেয়़ কিন্তু শূন্য থেকে আওয়াজ ভেসে এল আত্মহত্যা না করার জন্য। ঐ আওয়াজটা তাকে ভেড়াদের আসার অপেক্ষায় থাকতে নির্দেশ দিল। তাকে সাবধান করে সন্ধ্যে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলল কারন ঐ ভেড়ারা খুবই হিংস্র। ভেড়ার পাল ঘরে ফেরা না পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে নির্দেশ দিল।

তাকে যা করতে বলা হল़ সে তাই করল। ভেড়ারা চলে যাবার পর কাঁটাঝোপে আটকে থাকা ভেড়ার সোনালি লোম সংগ্রহ করে তা নিষ্ঠুর কর্ত্রীর হাতে তুলে দিল।

ভেনাস শয়তানের হাসি হেসে লোমগুলো নিল। ভেনাস বুঝতে পারল সাইকির একার পক্ষ্যে এই কাজ করা সম্ভব নয়। এবার সে তাঁর জন্য এর পরের কাজটি দিল সেটা হল़ স্টিক্স নদী থেকে এক পাত্র জল নিয়ে আসতে হবে।

যেই না সে জলের ধারে এল़ ওমনি সে বুঝল কেবলমাত্র ডানাযুক্ত জীবই সেখানে পৌঁছাতে পারবে। এই বার একটি ঈগল তাঁর ত্রানকর্তা হয়ে এগিয়ে এল। বিরাট ডানাযুক্ত এই ঈগল তার ঠোঁট দিয়ে সাইকির কাছ থেকে জলের পাত্রটি তুলে নিয়ে উড়ে গেল। তারপর একপাত্র জল ভর্তি করে পাত্রটি সাইকির হাতে তুলে দিল।

কিন্তু এত করেও ভেনাসের মন পেল না। এবার ভেনাস তাকে আর একটি কাজ দিল। এবার একটি বাক্স তার হাতে দিয়ে বলল़ এই বাক্সটি নিয়ে পাতালে যেতে হবে़ সেখানে গিয়ে পাতালপুরির রানী পারসেফোনির কাছ থেকে এক বাক্স সৌন্দর্য নিয়ে আসতে বলল। সাইকি পথে তাঁর পথপ্রদর্শককে দেখতে পেল। পারসেফোনির মহলে কি করে পৌঁছাতে হবে সে তাকে তা বলে দিল।

তাঁর পথপ্রদর্শক তাকে যেভাবে বলেছিল সেইভাবে দীর্ঘ পথ পার হয়ে সে অবশেষে পারসেফোনির মহলে এসে পৌছাল। সেখানে তাঁর সব কথা শুনে পারসেফোনি़ ভেনাসকে সাহায্য করতে সম্মত হলেন আর তাকে দিয়ে দিলেন তাঁর রুপের একটি ফোঁটা। সাইকি উৎসাহের সঙ্গে বাক্স বন্দী রূপের ফোঁটা নিয়ে চলল।

বাক্সটি নিয়ে ফেরার পথে সাইকির খুব কৌতূহল হল। সে বাক্সে বন্দী সৌন্দর্য দেখার জন্য এবং রূপের এক কনা ব্যাবহার করে আরও রূপসী হয়ে উঠতে চাইছিল কারন তাঁর স্বামী़ তাঁর প্রেমের দেবতার সঙ্গে দেখা হবার আগে নিজেকে আরও রূপসী করে তোলার খুব ইচ্ছে হল। সে ধীরে ধীরে বাক্সটা খুলল কিন্তু ভেতরে কিছুই দেখতে পেল না। হটাৎ ভয়ানক অবসন্নতা তাকে আচ্ছন্ন করল আর কাল ঘুমে ঢুলে পড়ল সাইকি।

এবার কিউপিড এগিয়ে এল। এতদিনে কিউপিডের ক্ষত শুকিয়ে সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছে। এতদিন ভেনাস তাকে তাঁর মন্দিরে আটকে রেখেছিল। এবার সুস্থ হয়ে কিউপিড জানলা দিয়ে উড়ে তাঁর মহল থেকে বাইরে বেরিয়ে গেল।

কিউপিড़ সাইকিকে তুলে নিল আর তাঁর চোখ থেকে কালঘুম মুছে দিয়ে সেটা বাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল। কিউপিড তাকে বলল এই বাক্সটা এবার তাঁর মা কে ফিরিয়ে দিতে তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

কিউপিড অলিম্পাস পর্বতে উড়ে গেল এবং জুপিটারের সঙ্গে কথা বলল। যদিও এর আগে কিউপিড জুপিটারকে ষাঁড় এবং হাঁস বানিয়ে তাঁর ক্ষতি করতে চেয়েছিল তবুও জুপিটার তাকে সাহায্য করতে রাজি হল।

জুপিটার़ ভেনাস সহ সকল দেবতাদের আমন্ত্রণ জানালেন এবং কিউপিড ও সাইকির শুভ পরিণয়ের ঘোষণা করলেন। মারকিউরি সাইকিকে দেবতাদের মহলে নিয়ে এলেন। জুপিটার স্বয়ং তাকে অমৃত পান করিয়ে অমর করে তুললেন।

এতদিনে ভেনাসের মন টলল। সাইকির স্বর্গে ফিরে আসায় সে সন্তুষ্ট ছিলেন। পৃথিবীর মানুষের প্রতি তাঁর কোন মনোযোগ ছিল না।

এইভাবেই সবাই সুখে বাস করতে লাগল। ভালবাসা ও আত্মা ह्य्সাইকি কে আত্মা বলে মনে করা হতथ् অনেক কষ্ট ভোগের পর একে অপরের কাছে এল। এভাবেই তাদের পুনর্মিলন হল। এদের ভালবাসার বন্ধন হল চিরন্তন।

লেখকঃ এডিথ হ্যামিল্টন।

শেয়ারড

NEW REALESED