ঘড়িতে রাত আড়াইটা। শহরের একদম শেষ প্রান্তে, কনস্ট্রাকশনের কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া দশ তলার একটা উঁচু বিল্ডিং কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে রাতের আকাশের নিচে। এই বিল্ডিংয়ের আশেপাশে একটাও স্ট্রিট লাইট নেই। জায়গাটা এমনিতেই ফাঁকা এবং মাঠের প্রায় এক ধারে হওয়ায় দিনের বেলাতো নয় রাতের বেলাও কেউ এখানে আসে না। তার ওপর অন্ধকার আর স্যাঁতসেঁতে বাতাসে জায়গাটা যেন ভূতের শহর। তবে এই ধরনের জায়গা সুরা প্রেমীদের কাছে সবথেকে প্রিয়। দিনের বেলায় কিংবা রাতের অন্ধকারে মাঝেমধ্যেই তারা এইখানে এসে ভিড় জমায় সুধা সেবনের জন্য। শুধু সুরা প্রেমী নয়..... এই সমস্ত জায়গা দিনের পর দিন ফাঁকা থাকার কারণে অপরাধের আঁতুর ঘর হয়ে ওঠে। এবং এই জায়গাটাও ধীরে ধীরে তাই হয়ে উঠেছে।
মার্কস বাই সিন - 1
মার্কস বাই সিন-১ঘড়িতে রাত আড়াইটা। শহরের একদম শেষ প্রান্তে, কনস্ট্রাকশনের কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া দশ তলার একটা উঁচু কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে রাতের আকাশের নিচে। এই বিল্ডিংয়ের আশেপাশে একটাও স্ট্রিট লাইট নেই। জায়গাটা এমনিতেই ফাঁকা এবং মাঠের প্রায় এক ধারে হওয়ায় দিনের বেলাতো নয় রাতের বেলাও কেউ এখানে আসে না। তার ওপর অন্ধকার আর স্যাঁতসেঁতে বাতাসে জায়গাটা যেন ভূতের শহর।তবে এই ধরনের জায়গা সুরা প্রেমীদের কাছে সবথেকে প্রিয়। দিনের বেলায় কিংবা রাতের অন্ধকারে মাঝেমধ্যেই তারা এইখান ...আরও পড়ুন
মার্কস বাই সিন - 2
মার্কস বাই সিন-২ওস্তাদ আর রবীনের কথা শেষ হওয়ার আগেই আকাশের বুক চিরে নামে তীব্র বৃষ্টি। সময়ের সাথে সাথে ঝোড়ো বেগ আরো বাড়তে থাকে। সবাই মুহুর্তে ভিজে সপসপ হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও কারোর বিশেষ পরোয়া নেই। ওরা দ্রুত বক্সগুলো ট্রাকে তুলে শেষ কাজটুকু সেরে ফেলে। এরপর একে একে বেশ কয়েকজন গাড়ির পিছনে উঠে যায়। ওস্তাদ রাজু আর রবীন চালকের আসনে গিয়ে বসে। গাড়ি চলতে শুরু করে।এখন রাত প্রায় তিনটে। বাইরে ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে আর তার সাথে হাওয়ার বেগও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। এখন রাস্তাঘাট পুরো ফাঁকা। রবীন হাইওয়ে ধরে ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে, আর মাঝে মাঝে উত্তেজক তরল ...আরও পড়ুন
মার্কস বাই সিন - 3
মার্কস বাই সিন- ৩ শহরের অভিজাত এক পানশালা—আলো-আঁধারির জঞ্জালে জমে ওঠা রাতের দুনিয়া। সেলিব্রেটি, রাজনীতিবিদ, ড্রাগ ডিলার, এমনকি কিছু ইন্সপেক্টদেরও আনাগোনা থাকে এই পানশালায়। পানশালার ঘিঞ্জি ভিড়ে কেউ কারোর দিকে তাকায় না, কিংবা বলা ভালো, কেউ কারোর দিকে তাকাতে চায় না। তারা এখানে আসে ব্যস্ত জীবন থেকে একটু মুক্তির আশায়, অত্যন্ত কিছুক্ষণের জন্য।এখন সময় ভোর সাড়ে চারটে, এখনো এখানে লোকের সংখ্যা একটুও কমেনি বরং আরও বেড়েছে। সবাই, যে যার মতো উত্তেজক তরল গলায় ঢেলে মিউজিকের সুরে কোমড় দোলাতে ব্যস্ত।এই পানশালারই এক কোণে সিলভার কালার চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছে একটা ছেলে, হাতে হুইস্কির গ্লাস, চোখে অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস। তাকে ঘিরে ...আরও পড়ুন