মহাভারতের কাহিনি – পর্ব-৫
মৃত্যুর উৎপতি
প্রাককথন
সেইসব মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য, যাঁরা বিশালাকার মহাগ্রন্থ মহাভারত সম্পূর্ণ পাঠ করেছেন। অধিকাংশ মানুষই মহাভারতের কিছু কিছু গল্প পড়েছেন, শুনেছেন বা দূরদর্শনে সম্প্রসারিত ধারাবাহিক চলচ্চিত্রায়ণ দেখেছেন, যা মহাভারতের খণ্ডাংশ মাত্র এবং মূলত কৌরব ও পাণ্ডবদের বিষয়ীভূত ও শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
মহাগ্রন্থ মহাভারত রচিত হয়েছে অসংখ্য কাহিনির সমাহারে, যে কাহিনিসমূহের অধিকাংশই কৌরব ও পাণ্ডবদের কাহিনির সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কিত।
সেই সমস্ত কাহিনিসমূহের কিছু কিছু কাহিনি সহজবোধ্য ভাষায় সুহৃদ পাঠক-পাঠিকাদের কাছে ধরাবাহিকভাবে উপস্থাপনা করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আশা করি ভালো লাগবে।
অশোক ঘোষ
মৃত্যুর উৎপতি
যুধিষ্ঠির বললেন, “পিতামহ! অযুত হস্তীর তুল্য বলশালী মহা পরাক্রমী রাজারা নিজেদের সমান পরাক্রমী ও বলবান বীরদের দ্বারা নিহত হোয়ে রণক্ষেত্রে ভূমিশয্যায় শায়িত। এই সমস্ত বলশালী মহা পরাক্রমী রাজাদেরকে কি কারণে মৃত বলিয়া নির্ধারণ করা যায়, সেই বিষয়ে আমার মনে নিতান্ত সংশয় উপস্থিত হয়েছে। অতএব মৃত্যু কে, কোন পুরুষের থেকে উৎপন্ন হয়েছে, আর কি কারণে জীবের প্রাণ হরণ করে, সেই বৃত্তান্ত অনুগ্রহ কোরে বর্ণনা কোরে আমার সংশয় দূর করুন।”
ভীষ্ম কহিলেন, “বৎস! সত্যযুগে অনুকম্পন নামে এক রাজা যুদ্ধে বাহনহীন হোয়ে শত্রুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তাঁর হরি নামে এক নারায়ণতুল্য বলশালী পুত্র ছিল। ঐ পুত্র সসৈন্যে যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়। মহারাজ অনুকম্পন পুত্রের নিধন ও শত্রুর আক্রমণে নিতান্ত কাতর হোয়ে অবশেষে শান্তিপরায়ণ হোলেন। তিনি একদিন দেবর্ষি নারদের দর্শন পেয়ে তাঁর কাছে যুদ্ধে যেভাবে পুত্রের মৃত্যু ও নিজে শত্রুর কাছে পরাজিত হয়েছেন, তা বিশদভাবে বর্ণনা করলেন।”
“দেবর্ষি নারদ রাজার কথা শোনার পরে দয়ালু হয়ে তাঁর কাছে পুত্রশোক নিবারণ করতে সক্ষম, এমন এক কাহিনি বর্ণনা করতে মনস্থ করে বললেন, মহারাজ! পুর্ব্বে আমি যে কাহিনি শুনেছি, আমি তোমাকে সেই কাহিনি বলছি, মন দিয়ে শোনো।”
“পূৰ্ব্বকালে পিতামহ ভগবান ব্রহ্মা প্রজার সংখ্যা, ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে দেখে অতিশয় চিন্তিত হোয়ে পড়লেন। ঐ সময় ত্রিভুবনে অসংখ্য জীবে ভরে গিয়ে অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এই অবস্থা দেখে সৃষ্টিকর্ত্তা ব্রহ্মা কিরূপে জীবের সংহার করবেন, সেই বিষয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। কিন্তু, তিনি জীব সংহারের কোন উপায় দেখতে পেলেন না। এইভাবে ভাবতে ভাবতে তাঁহার ইন্দ্রিয়ের চ্ছিদ্র থেকে ক্রোধে আগুন নির্গত হোতে থাকল। পিতামহ ব্রহ্মা সেই ক্রোধানল দ্বারা দশদিক দহন করতে লাগলেন।”
“এইরূপে ব্রহ্মার ক্রোধের আগুনে স্থাবর জঙ্গমে পরিপূর্ণ সমুদয় পৃথিবী, স্বর্গ ও আকাশমণ্ডল জ্বলতে থাকলে দেবাদিদেব মহাদেব জীবকুলের হিতাকাঙ্ক্ষী হোয়ে ব্রহ্মার শরণাপন্ন হলেন। ভগবান ব্রহ্মা তাঁকে আসতে দেখে বললেন, “মহেশ্বর! তুমি যে অভিপ্রায়ে আমার কাছে আগমন করেছো, তা প্রকাশ কর, আমি অবিলম্বে তোমার কামনা পূর্ণ করবো।”
“রুদ্র কহিলেন, “ব্রহ্মন্! আপনি প্রজাসৃষ্টি করুন, এই আমার প্রার্থনা। এই সমস্ত প্রজা আপনিই সৃষ্টি করিয়াছেন; অতএব ইহাদিগের উপর কোপ প্রকাশ করা আপনার কর্ত্তব্য নহে। হে দেব! আপনার তেজঃপ্রভাবে প্রজাগণ দগ্ধ হইতেছে; তদ্দর্শনে আমার অন্তঃকরণে অত্যন্ত করুণাসঞ্চার হইয়াছে; অতএব এক্ষণে আপনি ইহাদিগের প্রতি ক্রোধ সংবরণ করুন।
“প্রজাপতি কহিলেন, ম‘হেশ্বর! আমি প্রজাবর্গের উপর ক্রোধাবিষ্ট হই নাই। প্রজাসকল উৎসন্ন হউক, আমার এরূপ অভিলাষও নহে। আমি কেবল বসুমতীর ভার-লাঘবের নিমিত্ত প্রজাগণের বিনাশসাধনে প্রবৃত্ত হইয়াছি। এই বসুন্ধরা লোকভয়ে আক্রান্ত ও রসাতলে নিমগ্নপ্রায় হইয়া প্রজাসংহারের নিমিত্ত আমাকে অনুরোধ করাতে আমি কিরূপে প্রবীণ প্রজাগণকে সংহার করিব, ইহা চিন্তা করিতেছিলাম। যখন আমি ঐ বিষয় চিন্তা করিয়া বুদ্ধিবলে অবধারণ করিতে পারিলাম না, তখন আমার অন্তরে ক্রোধসঞ্চার হইল।”
“মহাদেব বললেন, হে পরমপিতা ব্রহ্মা! আপনি প্রসন্ন হন; এই স্থাবর জঙ্গমাদি জীবকুলের বিনাশ করবেন না। দেখুন, সমস্ত জগতে হাহাকার শব্দ উঠেছে। অতএব, আমি আপনার নিকট বিনীত প্রার্থনা করছি, আপনি প্রসন্ন হন। এই সমস্ত জীবকুলের বিনাশ হোলে আর ফিরে আসবে না। এখন আপনি আপনার তেজ নিবারণ করুন। যাতে এই সকল জীবকুল আর বিনষ্ট না হয়, আপনি তার বিধান করুন। আপনি আমাকে অধিদেবত্বে নিযুক্ত করেছেন যাতে জীবকুল সমূলে বিনষ্ট না হয়। অতএব, জীবকুল যাতে বারংবার মৃত্যুবরণ করেও পুনরায় জন্মগ্রহণ করে, এরূপ উপায় করা আপনার কর্ত্তব্য।”
“দেবাদিদেব মহাদেব এই কথা বললে ভগবান ব্রহ্মা কৃপাপরবশ হোয়ে তেজ নিবারণ করে জীবকুলের জন্ম ও মৃত্যুর নিয়ম বিধান করলেন। তিনি যখন তেজ নিবারণ করেন, সেই সময় তাঁর ইন্দ্রিয়সমুদয় থেকে পিঙ্গলবসনা, কৃষ্ণনয়না, দিব্যকুণ্ডলধারিণী ও দিব্য আভরণভূষিতা এক নারী আবির্ভুতা হোয়ে দক্ষিণদিকে অবস্থান করলেন। ব্রহ্মা ও মহাদেব সেই কন্যাকে নিরীক্ষণ করতে লাগলেন। তারপর ভগবান ব্রহ্মা সেই কন্যাকে মৃত্যু নামে ডেকে বললেন, ‘মৃত্যু! তুমি এই জীবকুলকে পৰ্য্যায়ক্রমে বিনাশ কর। আমি রাগের বশে জীবকুলের বিনাশ করবার জন্য তোমাকে স্মরণ করেছি। অতএব, তোমাকে আমার নির্দ্দেশানুসারে কি পণ্ডিত, কি মূর্খ, সকলকেই বিনাশ করতে হবে। পদ্মফুলের মালা পরিহিতা মৃত্যু এই কথা শোনা মাত্র নিতান্তই দুঃখিত হোয়ে অনবরত ক্রন্দন করতে থাকলেন ও হাতের তালুতে চোখের জল ধারণ করতে লাগলেন।”
‘‘তারপর আয়তলোচনা মৃত্যু কিছুটা দুঃখ সংবরণ কোরে জীবকুলের কল্যাণার্থে হাতজোড় কোরে বিনীতভাবে ব্রহ্মাকে বললেন, ‘ভগবান! আমার মতো অবলা কিভাবে সমুদয় জীবের বিনাশের মতো কাজ করতে পারবো? আমি অধৰ্ম্মে একান্ত ভীত। অতএব, আপনি অনুগ্রহ কোরে আমাকে ধৰ্ম্মকার্য্যে অনুমতি দিন। বালক, বৃদ্ধ ও যুবাগণ কি অপরাধ করেছে যে, আমি তাদেরকে বিনাশ করবো? কারো প্রিয় পুত্র, প্রিয় বয়স্য, পিতা, মাতা ও ভ্রাতৃবিনাশ করতে আমি কখনই সমর্থ হব না। লোকে আমার দ্বারা মৃত্যু হওয়াতে যারপরনাই কাতর হোয়ে আমাকে নিশ্চয়ই অভিশাপ দেবে এবং তাদের অভিশাপে আমাকে অনন্তকাল দগ্ধ হোতে হবে। এই জন্য আমি একান্ত ভীত হোয়ে আপনার শরণাগত হয়েছি। আমি বিনাশ করলে পাপাত্মারা নরকগামী হবে। সুতরাং, আমাকেই লোকের নরকবাসের কারণ হোতে হবে। সেইজন্য আমার এই প্রার্থনা যে, আপনি আমার প্রতি প্রসন্ন হোয়ে আমাকে লোকবিনাশ কাৰ্য্য থেকে অব্যাহতি দিন। আমি এখন আপনার সন্তোষ বিধানে তপস্যা করতে প্রস্তুত হয়েছি।”
“ব্রহ্মা বললেন, সুন্দরি! আমি জীবকুলের বিনাশের জন্য তোমার সৃষ্টি করেছি। অতএব, তুমি অবিলম্বে জীবকুলের বিনাশের কাজে ব্যাপৃত হও। আমি যা বলেছি, তা কদাচ অন্যথা হওয়ার নয়। তোমাকে অবশ্যই আমার নির্দেশ পালন করতে হবে।’ পিতামহ ব্রহ্মা এই কথা বললে মৃত্যু কোনো উত্তর না দিয়ে ব্রহ্মার মুখাপেক্ষী হোয়ে বিনীতভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং ব্রহ্মা বারংবার তাঁকে জীবকুলের বিনাশের জন্য অনুরোধ করাতে তিনি ম্লানমুখে মৌনভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেন। পিতামহ ব্রহ্মা মৃত্যুকে এই রকম অবস্থায় দেখে ক্রোধ পরিত্যাগ কোরে প্রসন্ন হয়ে হাসিমুখে জীবকুলের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে লাগলেন।”
“এইরূপে ব্রহ্মার ক্রোধ শান্ত হোলে, মৃত্যু জীবকুলের বিনাশের বিষয়ে অঙ্গীকার না কোরে তাঁর কাছ থেকে প্রস্থান কোরে সত্বর গোতীর্থে উপস্থিত হলেন এবং সেখানে একপায়ে দাঁড়িয়ে বহু কোটি বছর অতি কঠোর তপস্যা করলেন। তারপর কমলযোনি ব্রহ্মা পুনরায় তাঁকে বললেন, সুন্দরি! তুমি আমার নির্দেশ পালন করো। তখন মৃত্যু ব্রহ্মার বাক্য শুনে পুনরায় একপায়ে দাঁড়িয়ে বহু কোটি বছর দাঁড়িয়ে থাকলেন। তারপর তিনি আরও অনেক বছর হরিণদের সাথে বনমধ্যে বিচরণ করলেন এবং বিশ হাজার বছর পর্য্যন্ত বায়ু ভক্ষণ করে ও আট হাজার বছর মৌনী হোয়ে জলে অবস্থান করেন। তারপর তিনি কৌশিকী নদীতে গমন কোরে সেখানে জল ও বায়ু ভক্ষণপূৰ্ব্বক তপস্যা করতে লাগলেন। তারপর জীবকুলের কল্যাণের জন্য পৰ্য্যায়ক্রমে ভাগীরথী তীরে ও সুমেরু পৰ্ব্বতে গিয়ে পাথরের মতো নিশ্চল হোয়ে থাকলেন। এরপর দেবগণ হিমালয়ের যে প্রদেশে অবস্থান করেন, সেই স্থানে গিয়ে ব্রহ্মার সন্তোষ বিধানে দশ হাজার কোটি বছর আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন।”
“তখন ব্রহ্মা তাঁর নিকট এসে বললেন, ‘বৎসে! কেন আর তপস্যা করছো? আমি যা বলেছি তা পালন করো।’ তখন মৃত্যু পুনরায় তাঁকে বললেন, ‘ভগবান! আমি জীবকুলের বিনাশ করতে সমর্থ হবো না। আমি পুনরায় আপনাকে প্রসন্ন করবার জন্য তপস্যা করবো।’ মৃত্যু এই কথা বলায়, পিতামহ ব্রহ্মা তাঁকে অধৰ্ম্মভয়ে ভীত দেখে বললেন, ‘ভদ্রে! জীবকুলের বিনাশে তোমার কিছুমাত্র অধৰ্ম্ম হবে না। তুমি নির্ভয়ে জীবকুলের বিনাশ করো। আমি যা বলেছি, তার কোনক্রমেই অন্যথা হবে না। তুমি জীবকুলের বিনাশ কোরে সনাতন ধর্ম্ম লাভে সমর্থ হবে। আমি এবং অন্যান্য দেবগণ আমরা সকলেই সৰ্ব্বদা তোমার কল্যাণকাজে নিযুক্ত থাকবো। আমি তোমাকে বরদান করছি যে, জীবকুল ব্যাধিপীড়িত হোয়ে প্রাণত্যাগ করবে, তারা কখনই তোমাকে দোষী করবে না। আর তুমি পুরুষ হোয়ে পুরুষগণকে, স্ত্রী হোয়ে স্ত্রীদিগকে ও ক্লীব হোয়ে ক্লীবদেরকে আক্রমণ করবে।”
“পিতামহ ব্রহ্মা এই কথা বললে, মৃত্যু করজোড়ে পুনরায় তাঁকে বললেন, ‘ভগবান! আমি কখনই জীবকুলের বিনাশ করতে সমর্থ হবো না।’ তখন পিতামহ পুনরায় তাঁকে বললেন, ‘ভদ্রে! তুমি নিঃশঙ্কচিত্তে জীবকুলের বিনাশ করো। যাতে তোমার অধৰ্ম্ম না হয়, আমি তার উপায় বিধান করবো। তুমি তোমার যে অশ্রুবিন্দু হাতের তালুতে ধারণ কোরে আছ, সেই অশ্রুবিন্দু সকল ঘোরতর ব্যাধিরূপে পরিণত হোয়ে যথাসময়ে জীবকুলকে বিনাশ করবে। তুমি জীবগণের বিনাশের সময়ে তাদের নিকটে কাম ও ক্রোধকে পাঠিয়ে দিও, তাহলে তারাই জীবকুলের বিনাশের কারণ হবে। তুমি রাগদ্বেষশূন্য, সুতরাং তোমাকে অধৰ্ম্মভাগী হোতে হবে না; প্রবরং তোমার ধর্ম্মলাভই হবে। অতএব তুমি এইভাবে ধৰ্ম্ম প্রতিপালনে যত্নবান হও, নিজেকে অধৰ্ম্মে পতিত কোরো না।”
“তখন মৃত্যু ব্রহ্মার অভিশাপের ভয়ে ভীত হোয়ে অগত্যা জীবকুলের বিনাশের অঙ্গীকার করলেন। সেই অবধি তিনি কামক্রোধকে পাঠিয়ে জীবগণকে মুগ্ধ কোরে তাদের প্রাণসংহার কোরে আসছেন। মৃত্যুর চোখের জল ব্যাধিস্বরূপ। ঐ ব্যাধির প্রভাবে মানুষের শরীর রুগ্ন হোয়ে থাকে। অতএব প্রাণীগণের প্রাণনাশে শোক করা কর্ত্তব্য নয়। জীবগণের ইন্দ্রিয়-সমুদয় যেমন নিদ্রাকালে বিরত এবং নিদ্রাভঙ্গ হোলে প্রবৃত্ত হয়, তেমন মনুষ্যগণও একবার পরলোকগমন করলে সেখান থেকে পুনরায় আগমন কোরে থাকে। মহাতেজস্বী বায়ু সমুদয় জীবের জীবনস্বরূপ হোয়ে প্রাণীদের দেহে অবস্থান করছে। এই জন্য বায়ুকেই ইন্দ্রিয়গণের অধীশ্বর বলিয়া বর্ণনা করা হয়। আপনার পুত্র স্বর্গগমন করে সুখে বিহার করছেন, অতএব আপনি তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করবেন না।”
“হে ধৰ্ম্মরাজ! মৃত্যু এইরূপে ভগবান কমলযোনি ব্রহ্মা কর্ত্তৃক সৃষ্ট হোয়ে নিজের অশ্রুদ্বারা সৃষ্ট ব্যাধিসমুদয়ের সাহায্যে যথাকালে জীবগণকে সংহার কোরে থাকেন।”
______________
(ক্রমশ)