Read Storey of Mahabharat Part-11 Storey of Birth of Bhisma by Ashoke Ghosh in Bengali আধ্যাত্মিক গল্প | মাতরুবার্তি

Featured Books
বিভাগ
শেয়ারড

মহাভারতের কাহিনি – পর্ব 11

মহাভারতের কাহিনি – পর্ব-১০

ভীষ্মের জন্ম বৃত্তান্ত

 

প্রাককথন

কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস মহাভারত নামক মহাগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তিনি এই গ্রন্থে কুরুবংশের বিস্তার, গান্ধারীর ধর্মশীলতা, বিদুরের প্রজ্ঞা, কুন্তীর ধৈর্য, বাসুদেবের মাহাত্ম্য, পাণ্ডবগণের সত্যপরায়ণতা এবং ধৃতরাষ্ট্রপুত্রগণের দুর্বৃত্ততা বিবৃত করেছেন। নানা কাহিনি সংবলিত এই মহাভারতে সর্বমোট ষাট লক্ষ শ্লোক আছে। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস পূর্বে নিজের পুত্র শুকদেবকে এই গ্রন্থ পড়িয়ে তার পর অন্যান্য শিষ্যদের শিখিয়েছিলেন। তিনি ষাট লক্ষ শ্লোকে আর একটি মহাভারতসংহিতা রচনা করেছিলেন, তার ত্রিশ লক্ষ শ্লোক দেবলোকে, পনের লক্ষ পিতৃলোকে, চোদ্দ লক্ষ গন্ধর্বলোকে এবং এক লক্ষ মনুষ্যলোকে প্রচলিত আছে। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের শিষ্য বৈশম্পায়ন শেষোক্ত এক লক্ষ শ্লোক পাঠ করেছিলেন। অর্জুনের প্রপৌত্র রাজা জনমেজয় এবং ব্রাহ্মণগণের বহু অনুরোধের পর কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস তাঁর শিষ্য বৈশম্পায়নকে মহাভারত শোনাবার জন্য আজ্ঞা দিয়েছিলেন।

সেইসব মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য, যাঁরা বিশালাকার মহাগ্রন্থ মহাভারত সম্পূর্ণ পাঠ করেছেন। অধিকাংশ মানুষই মহাভারতের কিছু কিছু গল্প পড়েছেন, শুনেছেন বা দূরদর্শনে সম্প্রসারিত ধারাবাহিক চলচ্চিত্রায়ণ দেখেছেন, যা মহাভারতের খণ্ডাংশ মাত্র এবং মূলত কৌরব ও পাণ্ডবদের বিষয়ীভূত ও শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে নির্মিত।

মহাগ্রন্থ মহাভারত রচিত হয়েছে অসংখ্য কাহিনির সমাহারে, যে কাহিনিসমূহের অধিকাংশই কৌরব ও পাণ্ডবদের কাহিনির সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কিত।

সেই সমস্ত কাহিনিসমূহের কিছু কিছু কাহিনি সহজবোধ্য ভাষায় সুহৃদ পাঠক-পাঠিকাদের কাছে ধরাবাহিকভাবে উপস্থাপনা করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আশা করি ভালো লাগবে।

অশোক ঘোষ

 

ভীষ্মের জন্ম বৃত্তান্ত

 

রাজা জনমেজয় মহামতি ভীষ্মের জন্ম বৃত্তান্ত বর্ণনা করার অনুরোধ করলে, বৈশম্পায়ন ভীষ্মের জন্ম বৃত্তান্ত বলতে শুরু করলেন।

মহাভিষ নামে ইক্ষাকুবংশে এক রাজা ছিলেন, তিনি বহু যজ্ঞ করে স্বর্গে যান। একদিন তিনি দেবগণের সঙ্গে ব্রহ্মার কাছে গিয়েছিলেন, সেই সময়ে নদীশ্রেষ্ঠা গঙ্গা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ জোরে হাওয়া বইতে থাকায় গঙ্গার শরীর থেকে বস্ত্র উড়ে গেলো। দেবগণ মুখ নত কোরে রইলেন, কিন্তু মহাবিষ গঙ্গাকে অসংকোচে দেখতে লাগলেন। তাই দেখে ব্রহ্মা গঙ্গাকে শাপ দিলেন, তুমি মর্ত্যলোকে জন্মগ্রহণ করবে এবং পরে আবার স্বর্গে ফিরে আসতে পারবে। গঙ্গার প্রতি ব্রহ্মার সেই শাপ শুনে মহাভিষ স্থির করলেন তিনি কুরুবংশীয় মহাতেজস্বী রাজা প্রতীপের পুত্র হোয়ে জন্মগ্রহণ করবেন।

গঙ্গা মনে মনে মহাভিষকে ভাবতে ভাবতে মর্তে ফিরে আসবার সময় দেখলেন রাস্তার মাঝে বসু নামক দেবগণ মূৰ্ছিত হয়ে পড়ে আছেন। গঙ্গার প্রশ্নের উত্তরে তারা বললেন, বশিষ্ঠ আমাদের শাপ দিয়েছেন — তোমরা মানুষ রূপে জন্মগ্রহণ করো। কিন্তু আমরা মানুষীর গর্ভে জন্ম নিতে চাই না, তাই আপনিই আমাদের পুত্ররূপে প্রসব করুন এবং প্রতীপের পুত্র শান্তনু আমাদের পিতা হবেন। জন্মের পরেই আপনি আমাদের জলে ফেলে দেবেন, যাতে আমরা মুক্তি পাই। গঙ্গা বললেন, তাই করবো, কিন্তু যেন একটি পুত্র অন্তত জীবিত থাকে, নতুবা শান্তনুর সঙ্গে আমার মিলন ব্যর্থ হবে। বসুগণ বললেন, আমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের অষ্টমাংশ দেব, তার ফলে একটি পুত্র জীবিত থাকবে। এই পুত্র বলবান হবে কিন্তু তার কোনো সন্তান হবে না।

একদিন রাজা প্রতীপ গঙ্গাতীরে বসে জপ করছিলেন, এমন সময় মনোহর নারীরূপ ধারণ করে গঙ্গা জল থেকে উঠে প্রতীপের ডান ঊরুতে বসলেন। রাজা বললেন কল্যাণী, কি চাও? গঙ্গা বললেন, কুরুশ্রেষ্ঠ, আমি তোমাকে পতিরূপে চাই। রাজা বললেন, তুমি অসবর্ণা এবং আমার অযোগ্যা। গঙ্গা বললেন, আমি দেবকন্যা এবং অযোগ্যা নই। রাজা বললেন, তুমি আমার বাম উরুতে না বসে ডান ঊরুতে বসেছো, যেখানে পুত্র, কন্যা আর পুত্রবধূর স্থান। তুমি আমার পুত্রবধূ হয়ো। গঙ্গা বললেন, তাই তা হবো, কিন্তু আমার কোনও কার্যে আপনার পুত্র আপত্তি করতে পারবেন না। প্রতীপ তাতে সম্মত হলেন।

তারপর গঙ্গা চলে গেলে প্রতীপ ও তার পত্নী পুত্রলাভের জন্য তপস্যা করতে লাগলেন। রাজা মহাভিষ তাদের পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করলেন এবং তার নাম হল শান্তনু। শান্তনু যৌবন লাভ করলে প্রতীপ তাকে বললেন, তোমার পত্নী হওয়ার জন্য এক রূপবতী কন্যা পূর্বে আমার কাছে এসেছিল। সে যদি পুত্র কামনায় তোমার কাছে উপস্থিত হয়, তবে তার ইচ্ছা পূর্ণ ক’রো, কিন্তু তার পরিচয় জানতে চেয়ো না, তার কার্যেও বাধা দিও না। তার পর প্রতীপ তার পুত্র শান্তনুকে রাজ্যে অভিষিক্ত করে বনে চলে গেলেন।

একদিন শান্তনু গঙ্গার তীরে এক দিব্যালঙ্কারভূষিতা পরমা সুন্দরী নারীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে বললেন, তুমি দেবী, দানবী, অপ্সরা না মানুষী? তুমি আমার ভার্যা হও। গঙ্গা উত্তর দিলেন, রাজা, আমি তোমার মহিষী হব, কিন্তু আমি শুভ বা অশুভ যাই করি তুমি যদি বারণ বা ভৎর্সনা করো, তবে তোমাকে নিশ্চয় ত্যাগ করবো। শান্তনু তাতেই রাজী হলেন।

এরপর সেই রমণীকে বিবাহ কোরে তার স্বভাবচরিত্র রূপগুণ ও সেবায় পরিতৃপ্ত হয়ে শান্তনু সুখে কালযাপন করতে লাগলেন। তার আটটি দেবকুমার তুল্য পুত্র হয়েছিল। পর পর সাতটি পুত্রের জন্মের পরেই গঙ্গা তাদেরকে জলে নিক্ষেপ করে বলতেন, এই তোমার প্রিয়কার্য করলাম। শান্তনু অসন্তুষ্ট হলেও কিছু বলতেন না, পাছে গঙ্গা তাকে ছেড়ে চলে যান। অষ্টম পুত্র প্রসবের পর গঙ্গা হাসছেন দেখে শান্তনু বললেন, একে মেরো না, পুত্রঘাতিনী, তুমি কে, কেন এই মহাপাপ করছ? গঙ্গা বললেন, তুমি পুত্র চাও, অতএব এই পুত্রকে বধ করব না, কিন্তু তোমার কাছে থাকাও আমার শেষ হল। গঙ্গা তখন নিজের পরিচয় দিলেন এবং বসুগণের বৃত্তান্ত বললেন –

একদিন পৃথু ও তার বন্ধুগণ নিজ নিজ পত্নীসহ সুমেরু পর্বতের পাশে বশিষ্ঠের তপোবনে বেড়াতে এসেছিলেন। বশিষ্ঠের কামধেনু নন্দিনীকে দেখে “দ্যু” নামক বসুর পত্নী তার স্বামীকে বললেন, আমার সখী রাজকন্যা জিতবতীকে এই ধেনু উপহার দিতে চাই। পত্নীর অনুরোধে দ্যু-বসু নন্দিনীকে হরণ করলেন। বশিষ্ঠ আশ্রমে এসে দেখলেন নন্দিনী নেই। তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে শাপ দিলেন, যারা আমার ধেনু নিয়েছে তারা মানুষ হয়ে জন্মাবে। বসুগণের অনুনয়ে প্রসন্ন হয়ে বশিষ্ঠ বললেন, তোমরা সকলে এক বৎসর পরে শাপমুক্ত হবে, কিন্তু দ্যু-বসু নিজ কর্মের ফলে দীর্ঘকাল মনুষ্যলোকে বাস করবেন। তিনি ধার্মিক, সর্বশাস্ত্রবিশারদ, পিতার প্রিয়কারী এবং স্ত্রীসম্ভোগত্যাগী হবেন।

তার পর গঙ্গা বললেন, মহারাজ, অভিশপ্ত বসুগণের অনুরোধে আমি তাদের প্রসব করে জলে নিক্ষেপ করেছি, কেবল দ্যু-বসু-যিনি এই অষ্টম পুত্র, দীর্ঘজীবী হয়ে বহুকাল মনুষ্যলোকে বাস করবেন এবং পুনর্বার স্বর্গলোকে যাবেন। এই বলে গঙ্গা নবজাত পুত্রকে নিয়ে চলে গেলেন।

শান্তনু দুঃখিত মনে তার রাজধানী হস্তিনাপুরে গেলেন। তিনি সর্বপ্রকার রাজগুণে মণ্ডিত ছিলেন এবং কামরাগ বর্জন কোরে ধর্মানুসারে রাজ্যশাসন করতেন। তারপর তিনি ছত্রিশ বছর স্ত্রীসঙ্গ ত্যাগ করে বনবাসী হয়েছিলেন।

একদিন তিনি হরিণের অনুসরণে গঙ্গাতীরে এসে দেখলেন, দেবকুমারতুল্য সুদর্শন দীর্ঘকায় এক বালক শরবর্ষণ করে গঙ্গা আচ্ছন্ন করছে। শান্তনুকে কথায় মোহিত করে সেই বালক অদৃশ্য হোয়ে গেলো। তাকে নিজের পুত্র অনুমান করে শান্তনু বললেন গঙ্গা, আমার পুত্রকে দেখাও। তখন শুভ্রবসনা সালংকারা গঙ্গা পুত্রের হাত ধরে আবির্ভূত হয়ে বললেন, মহারাজ, এই আমার অষ্টমগর্ভজাত পুত্র, একে আমি পালন করে বড় করেছি। এ বশিষ্ঠের কাছে বেদ অধ্যয়ন করেছে। শুক্র ও বৃহস্পতি যত শাস্ত্র জানেন, জামদগ্ন্য যত অস্ত্র জানেন, সে সমস্তই এ জানে। এই মহাধনুর্ধর রাজধর্মজ্ঞ পুত্রকে তুমি গৃহে নিয়ে যাও।

দেবব্রত নামক এই পুত্রকে শান্তনু রাজভবনে নিয়ে গেলেন এবং তাকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করলেন। রাজ্যের সকলেই এই গুণবান রাজকুমারের অনুরক্ত হলেন। চার বছর পরে শান্তনু একদিন যমুনা নদীর তীরে বনে বেড়াতে বেড়াতে অবর্ণনীয় সুগন্ধ অনুভব করলেন এবং তার অনুসরণ করে দেবকন্যার ন্যায় রূপবতী একটি কন্যার কাছে উপস্থিত হলেন। রাজার প্রশ্নের উত্তরে সেই কন্যা বললেন, আমি দাস রাজের কন্যা, পিতার আজ্ঞায় নৌকাচালনা করি। শান্তনু দাসরাজের কাছে গিয়ে সেই কন্যাকে চাইলেন। দাসরাজ বললেন, আপনি যদি একে ধর্মপত্নী করেন এবং এই প্রতিশ্রুতি দেন যে এর গর্ভজাত পুত্রই আপনার পরে রাজা হবে, তবে কন্যাদান করতে পারি।

শান্তনু এমন প্রতিশ্রুতি দিতে পারলেন না, তিনি সেই রূপবতী কন্যাকে ভাবতে ভাবতে রাজধানীতে ফিরে গেলেন। পিতাকে চিন্তান্বিত দেখে দেবব্রত বললেন, মহারাজ, রাজ্যের সর্বত্র কুশল, তথাপি আপনি চিন্তাকুল হয়ে আছেন কেন? আপনি আর ঘোড়ায় চড়ে বেড়াতে যান না, আপনার শরীর দুর্বল হয়েছে, আপনার কি অসুখ হয়েছে বলুন। শান্তনু বললেন, বৎস, আমার মহান বংশে তুমিই একমাত্র সন্তান, তুমি সর্বদা অস্ত্রচর্চা করে থাক, কিন্তু তোমার বিপদ ঘটলে আমার বংশলোপ হবে। তুমি শত পুত্রেরও অধিক সেজন্য আমি বংশবৃদ্ধির নিমিত্ত বৃথা পুনর্বার বিবাহ করতে ইচ্ছা করি না, তোমার মঙ্গল হক এই কামনাই করি। কিন্তু বেদজ্ঞগণ বলেন, পুত্র না থাকা আর একটিমাত্র পুত্র দুই সমান। তোমার অবর্তমানে আমার বংশের কি হবে এই চিন্তাই আমার দুঃখের কারণ।

বুদ্ধিমান দেবব্রত বৃদ্ধ অমাত্যের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, পিতার শোকের কারণ কি? অমাত্য জানালেন, রাজা দাসকন্যাকে বিবাহ করতে চান। দেবব্রত বৃদ্ধ ক্ষত্রিয়দের সঙ্গে নিয়ে দাসরাজের কাছে গেলেন এবং পিতার জন্য কন্যা প্রার্থনা করলেন। দাসরাজ সসম্মানে তাকে সংবর্ধনা করে বললেন, এরূপ আনন্দজনক বিবাহের সম্বন্ধ কে না চায়? যিনি আমার কন্যা সত্যবতীর জন্মদাতা, সেই রাজা উপরিচর বহুবার আমাকে বলেছেন যে শান্তনুই তার উপযুক্ত পতি। কিন্তু এই বিবাহে একটি দোষ আছে, বৈমাত্র ভ্রাতারূপে তুমি যার প্রতিদ্বন্দ্বী হবে, সে কখনও সুখে থাকতে পারবে না।

গাঙ্গেয় দেবব্রত বললেন, আমি প্রতিজ্ঞা করছি শুনুন, এরূপ প্রতিজ্ঞা অন্য কেউ করতে পারে না — আপনার কন্যার গর্ভে যে পুত্র হবে সেই রাজত্ব পাবে। দাসরাজ বললেন, সৌম্য, তুমি রাজা শান্তনুর একমাত্র অবলম্বন, এখন আমার কন্যারও রক্ষক হলে, তাই তুমিই একে দান করতে পার। তথাপি কন্যাকর্তার অধিকার অনুসারে আমি আরও কিছু বলছি শোন। হে সত্যবাদী মহাবাহু, তোমার প্রতিজ্ঞা কদাচ মিথ্যা হবে না, কিন্তু তোমার যে পুত্র হবে তাকেই আমার ভয়। দেবব্রত বললেন, আমি পূর্বেই সমগ্র রাজ্য ত্যাগ করেছি, এখন প্রতিজ্ঞা করছি আমার পুত্রও হবে না। আজ থেকে আমি ব্রহ্মচর্য অবলম্বন করব, আমার পুত্র না হলেও অক্ষয় স্বর্গ লাভ হবে।

দেবব্রতের প্রতিজ্ঞা শুনে দাসরাজ আনন্দিত হোয়ে বললেন, আমি সত্যবতীকে দান করব। তখন আকাশ থেকে অপ্সরা দেবগণ ও পিতৃগণ পুষ্পবৃষ্টি করে বললেন, এঁর নাম ভীষ্ম হোলো। সত্যবতীকে ভীষ্ম বললেন, মাতা, রথে উঠুন, আমরা স্বগৃহে। যাব। হস্তিনাপুরে এসে ভীষ্ম পিতাকে সমস্ত বৃত্তান্ত জানালেন। সকলেই তার দুষ্কর কার্যের প্রশংসা করে বললেন, ইনি ভীষ্মই বটেন। শান্তনু পুত্রকে বর দিলেন, হে নিস্পাপ, তুমি যতদিন বাঁচতে ইচ্ছা করবে তত দিন তোমার মৃত্যু হবে না, তোমারই ইচ্ছানুসারে তোমার মৃত্যু হবে।

______________

(ক্রমশ)