Featured Books
  • মহাভারতের কাহিনি – পর্ব 95

    মহাভারতের কাহিনি – পর্ব-৯৫ দুর্যোধনের অসৎ অভিপ্রায়ের কাহিনি...

  • আয় কে ধরবি

    আয় কে ধরবি? পিচপিচে রোগা শীর্নকায় একটু বেঁটে কিন্তু সে ছিল...

  • আগুনের ছোঁয়া - পর্ব 3

    ভালোবাসা তখনই সত্যি, যখন তা ছুঁয়ে যায় তোমার সমস্ত দুর্বলতা...

  • নির্বাচন

    রুদ্রনীল ছোটবেলা থেকেই ‘ভাল ছেলে’ হিসেবে বড় হয়েছে। মা-বাবার...

  • ফুলবানু - 1

    বাসন্তী নদীর পাড়ে শিমুল নামের গ্রামের শেষ প্রান্তে একটা পাক...

বিভাগ
শেয়ারড

আগুনের ছোঁয়া - পর্ব 3

ভালোবাসা তখনই সত্যি, যখন তা ছুঁয়ে যায় তোমার সমস্ত দুর্বলতা।

সেদিন দুপুরে ইশা একা বসে ছিল ছাদে।
হাতে এক কাপ কফি, আর চোখে অনন্ত দূরত্বের ভাবনা।

রুদ্র এখনো তার ফ্ল্যাটেই আছে, কিন্তু দুজনেই যেন নিজ নিজ ভিতরের সাথে লড়ছে।

ইশার মনে পড়ে গেল সেই পুরনো দিনগুলো —
যখন রুদ্র তাকে হঠাৎ রাস্তায় জড়িয়ে বলেছিল,
তোমায় আমি শুধু ছুঁতে চাই না… তোমার ভিতরে থাকতে চাই।

হঠাৎ রুদ্র এসে দাঁড়ায় তার পাশে।
তারা কিছুক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে।

রুদ্র বলে,
তুমি কি জানো, আমি ক'দিনের জন্য এসেছি?

ইশা ধীরে ধীরে তার দিকে তাকায়।
তুমি কতদিন থাকবে, সেটা আমি ঠিক করবো না।
তুমি কতদূর যাবে… সেটা বলবে তোমার আগুন।

রুদ্র মৃদু হেসে বলে,
তাহলে পুড়ি? নাকি একটু আলো নিয়ে হাঁটি

ইশা এবার রুদ্রর কাঁধে মাথা রাখে।

আগুন আর আলো একসাথে থাকলে, রাতেও পথ দেখা যায়।"

তাদের সম্পর্ক যেন এখন এক অজানা পথের দিশারি।
না জানে শেষ কোথায়, না জানে শুরু কীভাবে হয়েছিল।

কিন্তু আগুনটা জ্বলছেই… ধীরে ধীরে, গভীরভাবে


আগুন যতই গভীর হোক, তাতে যদি হাওয়া পড়ে — সব কিছু বদলে যায়।

ইশা চুপচাপ বসে ছিল তার আর্ট স্টুডিওতে।
রুদ্র ঘরে নেই। সকাল থেকে কোথায় যেন গেছে।
তার মন অস্থির, অথচ চেহারায় শান্তির মুখোশ।

হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ল কেউ।

ইশা?
সেই গলাটা শুনেই সে চমকে উঠল।

সায়ন।
তার পুরনো বন্ধু, কিংবা বলা ভালো — একসময় যার ছায়ায় ইশা অনেক কিছু হারাতে বসেছিল।

ইশা কাঁপা গলায় বলল, তুমি… এখানে?

সায়ন হেসে বলল, “তুমি হারিয়ে গেছিলে। আমি খুঁজতে খুঁজতে চলে এসেছি আগুনের শহরে।”

তার চোখে ছিল স্পষ্ট অভিমান।
সে ঘরে ঢুকে পড়ল, চারদিক দেখে বলল,

তুমি এখন রঙে মিশে গেছো, না আগুনে?

ইশা মুচকি হেসে বলে,
"দুটোই। আগুন ছাড়া রঙে আলো ওঠে না।

সায়ন এগিয়ে এসে বলে,
তবে সেই আগুনে পুড়বে কে? তুমি? না সে?"

ইশা চুপ করে যায়।
হঠাৎ দরজা খুলে যায়। রুদ্র এসে দাঁড়ায় সামনে।

দুজন পুরুষ। একজন ইশার অতীত, অন্যজন বর্তমান।

রুদ্র চোখ সরিয়ে বলে,
কে এই আগন্তুক?

সায়ন ঠোঁটে ব্যঙ্গ হাসি এনে বলে,
আমি আগন্তুক না, ওর পুরনো চিত্র। খুবই গাঢ় রঙ ছিলাম।

ঘরের বাতাস এক লহমায় ভারী হয়ে যায়।
ইশার বুকের মধ্যে আবার সেই পুরনো লড়াই শুরু হয়।
যেখানে অতীত আর বর্তমান মুখোমুখি দাঁড়ায়, সেখানে আগুন শুধু আলো দেয় না, ছাইও করে দেয়।

রুদ্র চুপচাপ তাকিয়ে ছিল সায়নের দিকে।
কোনো শব্দ নেই, কিন্তু চোখে চ্যালেঞ্জ।

ইশা দুইজনকে সামলানোর চেষ্টা করছিল।
সায়ন, তুমি আসবে বলোনি—আর রুদ্র, প্লিজ…

রুদ্র গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
তুমি কি ওকে ডেকেছো, ইশা?

ইশা চমকে ওঠে।
না রুদ্র, হঠাৎ চলে এসেছে। ও আমার অতীত…

রুদ্র হেসে ফেলে।
তুমি তো বলেছিলে, অতীত পুড়ে গেছে আগুনে। আজকে দেখি সেই ছাই আবার বাতাসে উড়ছে।”

সায়ন এবার সামনে এসে দাঁড়ায়।
আমি ফিরে এসেছি কারণ… আমি এখনো জানি, ইশার চোখে আমার রঙ আছে।

রুদ্র আর সহ্য করতে পারে না।
সে ইশার দিকে তাকিয়ে বলে,
তুমি কি এখনো নিজের রঙ খুঁজছো, ইশা? নাকি আগুনই পছন্দ?

ইশা এবার রেগে যায়।
দুজনেই চুপ করো! আমি কোনো খেলার মাঠ না।
যে পুরনো হয়ে গেছো, তুমি অতীত থেকো।
আর তুমি, রুদ্র… যদি বিশ্বাস না থাকে, তাহলে এই আগুনে এসে পুড়বে না।

ঘরে নিঃশব্দতা।

রুদ্র আর সায়নের চোখে আগুন।
ইশার চোখে জল।

এই সম্পর্ক এখন শুধুই ভালোবাসা নয় —
এটা একটা যুদ্ধ।
একজন নারীর নিজের অনুভূতি বাঁচানোর লড়াই। আপনারা বলুন এরপর গল্পে কি মোর আসতে চলেছে প্লিজ আমাকে জানান আপনার মতে, রুদ্র না সায়ন – কে ইশার সত্যিকারের ভালোবাসা?👇 কেমন লাগল, জানাতে ভুলবেন না!
Follow করুন, প্রতি রাতে আসছে এক নতুন আগুনে পর্ব! ❤️‍🔥রুদ্র আর ইশার আগুনমাখা সম্পর্কের মাঝে হঠাৎ ফিরে এলো সায়ন…
তিনজন, এক ভালোবাসা, এক অদৃশ্য আগুনের 👇 কেমন লাগল, জানাতে ভুলবেন না!
Follow করুন, প্রতি রাতে আসছে এক নতুন আগুনে পর্ব! ❤️‍🔥







👇 কেমন লাগল, জানাতে ভুলবেন না!