Featured Books
বিভাগ
শেয়ারড

মিষ্টি নামের তিক্ত রোগ - 11

১০




গাট মাইক্রোবায়োম – সুগার রিভার্সের অদৃশ্য যোদ্ধা 

আমরা সবাই জানি, মানুষের শরীর প্রায় ৬৩–৭০ ট্রিলিয়ন কোষ দিয়ে গঠিত। শুনতে বিশাল মনে হচ্ছে, তাই না ?
কিন্তু আশ্চর্যের কথা হলো—আমাদের শরীরের ভেতরে যে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ও অন্যান্য মাইক্রোবের রাজ্য রয়েছে, সেই গাট মাইক্রোবায়োমের সংখ্যা ১০০ ট্রিলিয়নেরও বেশি।
অর্থাৎ, আমাদের শরীরের কোষের সংখ্যার থেকেও অনেক বেশি হলো এই অদৃশ্য বাসিন্দাদের সংখ্যা।

একে তুলনা করা যায় মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সাথে।
আমাদের গ্যালাক্সিতে যত তারা আছে, তার থেকেও বেশি “তারার মতো” মাইক্রোব বাস করে আমাদের গাটে।
তারা নীরবে কাজ করে চলেছে—প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ, প্রতিটি শ্বাসে।


গাট – শরীরের সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট

ভাবুন, আমাদের শরীরটা যেন একটা বিশাল দেশ।
এই দেশের সব অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ, হরমোন, কোষ হলো বিভিন্ন স্টেট গভর্নমেন্ট।
কিন্তু সবকিছুর উপরে রয়েছে একটি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট—যেটি গাট।
সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট শক্তিশালী থাকলে পুরো দেশ ভালো চলে।
কিন্তু সেটি দুর্বল হলে পুরো দেশে অরাজকতা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, ডিপ্রেশন—
এসব রোগের মূল সূত্রপাতই হয় এই সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট দুর্বল হয়ে পড়লে।


মাইক্রোবায়োমদের খাবার সবার আগে:

আমাদের শরীরের এই অদৃশ্য ব্যাকটেরিয়া বন্ধুরাই আসল সৈনিক।
তাদেরকে যদি প্রতিদিন খুশি রাখা যায়, তবে তারা—
 ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়,
প্রদাহ (Inflammation) দূর করে,
ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে,
এমনকি হরমোন ও মস্তিষ্কের কেমিস্ট্রিও ঠিক রাখে।

তাহলে কীভাবে খুশি রাখা যায় তাদের ?
খুব সহজ—
প্রতিদিন খাবারের শুরুতেই এই “বন্ধুদের” জন্য খাবার দিতে হবে।

ফারমেন্টেড খাবার – যেমন ঘরে বানানো আচার, বিট কানজি, কিমচি, সাওয়ারক্রাউট, ধন্বন্তরী চা।
আঁশযুক্ত খাবার – শাকসবজি, ডাল, অঙ্কুরিত শস্য, বাদাম, বীজ।
প্রোবায়োটিক – এক কাপ টক দই (দেশি গরুর দুধ থেকে বানানো হলে ভালো),
প্রিবায়োটিক – পেঁয়াজ, রসুন, কলার ফুল, কাঁচা কলা, ওলকপি।

মনে রাখবেন—
“আমরা যা খাই, তার এক বড় অংশ আমরা খাই না—খায় আমাদের মাইক্রোবায়োম।
তাদের খাওয়ালেই তারা আমাদের খাওয়াবে স্বাস্থ্য ও শক্তি।”



ডায়াবেটিস শুধু ইনসুলিনের সমস্যা নয়,
এটি হলো গাটেরও ডিসঅর্ডার।
গাট সুস্থ না হলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কখনো ভাঙবে না।

তাই বলা হয়—
যদি গাট ঠিক থাকে, পুরো শরীর ঠিক থাকবে।
সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট শক্তিশালী হলে স্টেট গভর্নমেন্টগুলোও সুন্দরভাবে চলবে।



আপনার সুগার রিভার্সের পথে সবচেয়ে বড় মাইলফলক হলো গাট হেলথ।
গাটের বন্ধু সেনারা (মাইক্রোবায়োম) যদি খুশি থাকে, তবে তারা
রাত–দিন আপনাকে রক্ষা করবে—
ডায়াবেটিস তো বটেই, হৃদরোগ, ক্যানসার, মানসিক অস্থিরতা—সবকিছু থেকে।

তাই প্রতিদিনের প্রথম খাবার দিন আপনার গাটকে।
কারণ গাটই হলো আপনার আসল অভিভাবক।




১১



লিভারের যত্ন ও ডিটক্সিফিকেশন


আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের ভেতরে জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে ইনসুলিন। কিন্তু সেই ইনসুলিন যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তখনই দেখা দেয় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং জন্ম নেয় ডায়াবেটিস।
কিন্তু জানেন কি—এই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরিতে লিভারের ভূমিকা সবচেয়ে বড় ?

লিভার হলো শরীরের সবচেয়ে বড় রাসায়নিক কারখানা। প্রতিদিন অসংখ্য জটিল কাজ করে এই অঙ্গ আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।
খাবারের কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে রূপান্তর করা,
শরীরের জন্য শক্তি মজুত রাখা,
হরমোন ব্যালান্স করা,
টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ ভেঙে ফেলা,
সবই লিভারের কাজ।

কিন্তু আমরা কী করি ?
বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত ভাত, রুটি, মিষ্টি, ফাস্টফুড, বাজারী তেল—এসব খেয়ে খেয়ে আমাদের লিভারকে বোঝাই করে তুলি। ফলাফল—ফ্যাটি লিভার।
এই ফ্যাটি লিভারই হচ্ছে সুগারের আড়ালে লুকিয়ে থাকা আসল কারখানা।

ফ্যাটি লিভার কেন ভয়ঙ্কর ?

যখন লিভারে চর্বি জমে যায়, তখন লিভার আর তার কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। ইনসুলিনের সংকেত ঠিকভাবে পৌঁছায় না, রক্তে সুগার আটকে থাকে, ফলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স আরও বাড়তে থাকে।
অর্থাৎ, ফ্যাটি লিভার থাকলে আপনি যতই ওষুধ খান, সুগার কখনোই পুরোপুরি ভালো হবে না।

তাহলে করণীয় কী ?

লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে হবে, মানে লিভারের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ও বিষাক্ত পদার্থগুলোকে সরাতে হবে।
এর জন্য প্রয়োজন কিছু সহজ পরিবর্তন—

১. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম জলে লেবুর রস ও সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে খাওয়া।

২. সপ্তাহে অন্তত ২–৩ দিন শাকসবজি ভিত্তিক লাইট মিল খাওয়া।

৩. বিট, গাজর, ব্রকলি, পেঁপে, লেবুজাতীয় ফল বেশি খাওয়া—এগুলো প্রাকৃতিক লিভার ক্লিনার। চাইলে এসবের জুস তৈরি করেও খেতে পারেন।

৪. অ্যালকোহল, কোল্ড ড্রিঙ্কস ও ভাজা–ভুজি একেবারে বাদ।

৫. পর্যাপ্ত ঘুম ও রেগুলার হাঁটাচলা।

মনে রাখবেন—
সুগারের আসল চিকিৎসা শুধু রক্তে গ্লুকোজ কমানো নয়,
আসল চিকিৎসা হলো লিভারকে হালকা করা, পরিষ্কার করা।

আপনার লিভার যদি সুস্থ হয়, তবে ইনসুলিনও আবার তার কাজ শুরু করবে।
আর ইনসুলিন যখন কাজ করবে, তখন সুগারও আপনাআপনি নিয়ন্ত্রণে আসবে।




১২



অভ্যাস পরিবর্তন


অভ্যাস পরিবর্তন, সামাজিক মানসিকতা এবং টেকসই লাইফস্টাইলের জন্য দরকার অভ্যাস পরিবর্তনের মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা।

মানুষ আসলে তার অভ্যাসের দাস। অভ্যাস বদলানো মানে শুধু খাওয়া-দাওয়া বদলানো নয়, বরং পুরো জীবনযাত্রার ধারা পরিবর্তন করা।
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন—একটি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে ২১ দিন লাগে, আর সেই অভ্যাসকে গভীরভাবে পাকাপোক্ত করতে লাগে প্রায় ৯০ দিন।

তাহলে ডায়াবেটিস রিভার্স করতে গেলে আমাদের ছোট ছোট পরিবর্তনগুলোকে প্রথমে ২১ দিন ধরে নিয়মিত করতে হবে।
যেমন—

সকালে জল খাওয়া দিয়ে দিন শুরু,

রাত ৮টার আগে ডিনার শেষ,

প্রতিদিন হাঁটা,

প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম।


এই নিয়মগুলো প্রথমে হয়তো কষ্টকর মনে হবে। কিন্তু তিন সপ্তাহ পার করলে দেখবেন এগুলো ছাড়া চলাই যায় না। এভাবেই নতুন অভ্যাস জন্ম নেয়।



সামাজিক মানসিকতা

আমরা অনেকেই বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে অতিথিদের সামনে পাতে দিই ভাজা-পোড়া, প্রসেসড তেল আর মিষ্টিজাতীয় খাবার।
কারণ আমাদের মনে আছে—“ভালো খাওয়ানো মানে ভারী খাওয়ানো।”
কিন্তু সময় এসেছে এই মানসিকতা বদলানোর।

অতিথিকে খুশি করার মানে শুধু পেট ভরানো নয়, বরং তাকে সুস্থ কিছু খাওয়ানো।
যদি আমরা বাড়ির অনুষ্ঠানে লো জিআই চালের ভাত, প্রচুর শাকসবজি, সালাদ, হার্বাল ড্রিঙ্কস, ফলের সালাদ পরিবেশন করি, তাহলে প্রথমে মানুষ অবাক হবে, কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই এটাই গ্রহণ করবে।

মনে রাখবেন—আজ আপনি আপনার বাড়ির রান্নাঘরে যে পরিবর্তন আনবেন, কাল সেটা আপনার পাড়া, সমাজ এবং পরবর্তী প্রজন্মের অভ্যাসে ঢুকে যাবে।



টেকসই লাইফস্টাইল

এক সপ্তাহ বা এক মাস লাইফস্টাইল মেনে চলা যথেষ্ট নয়।
সারা জীবন এই অভ্যাস বজায় রাখতে হবে।

সেজন্য কিছু সহজ মন্ত্র—

১. ফ্রেশ খাবার খাওয়া: ফ্রিজে রেখে দেওয়া তিনদিন আগের রান্না নয়, বরং টাটকা রান্না।


২. প্রেসার কুকার এড়িয়ে চলা: কম আঁচে, ধীরে রান্না করা খাবারের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।


৩. বাইরের খাবার এড়ানো: হোটেল-রেস্টুরেন্ট, সুইগি-জোমাটো আসলে অসুখের ফ্যাক্টরি।


৪. ধূমপান-অ্যালকোহল চিরতরে বাদ।


৫. সামাজিক সমর্থন: পরিবারকে, বন্ধুদের বোঝাতে হবে। একসাথে পরিবর্তন করলে পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী হয়।




ডায়াবেটিস রিভার্স মানে শুধু একটি রোগ থেকে মুক্তি নয়, বরং এক নতুন জীবনযাত্রার জন্ম।
অভ্যাসই আমাদের তৈরি করেছে অসুস্থ, অভ্যাসই আবার আমাদের ফিরিয়ে দেবে সুস্থ জীবনে।

আজ থেকেই প্রতিজ্ঞা করুন—
“আমি শুধু নিজের জন্য নয়, আমার পরিবার, আমার বন্ধু, আমার সমাজের জন্যও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলব।”

কারণ আপনি সুস্থ হলে, আপনার চারপাশও সুস্থ হবে।
এভাবেই আমরা একদিন সুগারের অভিশাপ থেকে মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারব।




১৩



টক্সিন, পলিউশন ও খাদ্যাভ্যাস — সুগার রিভার্সালের এক অপরিহার্য দিক

আমরা ভেবেছিলাম শুধু মিষ্টি খাবারেই সুগারের সমস্যা। কিন্তু আসল সত্য হলো— প্রতিদিনের খাবার–দাবার, রান্নার পদ্ধতি, আমাদের পরিবেশের টক্সিন আর পলিউশন—সব মিলেই আমাদের শরীরকে নীরবে অসুস্থ করে তুলছে। সুগার রিভার্স করতে চাইলে এই জায়গাগুলোতেও নজর দিতে হবে।


১. প্রসেসড ফুড: ধীরে ধীরে বিষ খাওয়া 

প্যাকেটজাত খাবার, সফট ড্রিঙ্কস, ফাস্ট ফুড, ট্রান্সফ্যাট—এসবের মধ্যে কৃত্রিম কেমিক্যাল ভরা থাকে। এগুলো শুধু রক্তের সুগার বাড়ায় না, বরং শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সকে আরও খারাপ করে তোলে।

২. কীটনাশক ও রাসায়নিক সার

আজকাল গ্রামেও বেশি ফলনের আশায় রাসায়নিক সার–কীটনাশক ব্যবহার হচ্ছে। ফলে শাকসবজি দেখতে সতেজ হলেও ভেতরে ভেতরে বিষ জমে থাকে। বছরের পর বছর ধরে এই বিষ জমে লিভার–কিডনির উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে।

৩. প্লাস্টিক ও ভারী ধাতু

প্লাস্টিক বোতলের জল, প্লাস্টিক কন্টেইনারে রাখা গরম খাবার থেকে বিপজ্জনক কেমিক্যাল শরীরে ঢুকে হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট করে। পানির ভেতর আর্সেনিক, সিসা, পারদও আমাদের রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

৪. বায়ুদূষণ

শহর–গ্রাম সবখানেই এখন বাইকের ধোঁয়া, ইন্ডাস্ট্রির বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে। এগুলো ফুসফুসে ঢুকে রক্তে প্রদাহ বাড়ায়—যার সঙ্গে ডায়াবেটিসের সরাসরি সম্পর্ক আছে।

৫. টাটকা খাবার বনাম ফ্রিজের খাবার

খাবার যতটা সম্ভব টাটকা খাওয়া দরকার। একদিন রান্না করে ফ্রিজে রেখে রেখে তিনদিন খাওয়ার রেওয়াজ বন্ধ করতে হবে। ফ্রিজে রাখা খাবারে শুধু স্বাদই হারায় না, বরং জীবন্ত এনজাইম, ভিটামিন–মিনারেলের বড় অংশ নষ্ট হয়ে যায়। শরীরের দরকারি পুষ্টিগুণ তখন আর মেলে না।

৬. প্রেসার কুকারের সমস্যা

প্রেসার কুকার খাবারকে দ্রুত সেদ্ধ করলেও উচ্চচাপ–উচ্চতাপে রান্নার কারণে অনেক ভিটামিন ও এনজাইম ধ্বংস হয়ে যায়। পুষ্টি বলতে যা বোঝায়, তার অনেকটাই আর শরীরে পৌঁছায় না। এজন্য যতটা সম্ভব কম আঁচে, ধীরে রান্না করাই উত্তম।


তাহলে করণীয় কী ?

১. অর্গানিক ও টাটকা খাবার – যতটা সম্ভব টাটকা, দেশি, রাসায়নিকমুক্ত শাকসবজি ও খাবার খেতে হবে।

২. ফিল্টারড জল পান – নিরাপদ, টক্সিনমুক্ত জল ছাড়া অন্য কিছু নয়।

৩. প্লাস্টিক এড়িয়ে চলুন – গরম খাবার বা জল কখনোই প্লাস্টিক কন্টেইনারে রাখবেন না।

৪. ডিটক্সিফাইং খাবার খান – ধনেপাতা, পার্সলে, বিট, গাজর, লেবু, গ্রিন টি শরীরের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।

৫. কম আঁচে রান্না করুন – ধীরে রান্না করা খাবারে পুষ্টি বজায় থাকে।

৬. প্রকৃতির কাছে ফিরুন – গাছের ছায়ায় হাঁটা, খোলা বাতাসে গভীর শ্বাস নেওয়া—শরীর ও মন দুটোকেই টক্সিনমুক্ত করে।


খাদ্য শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, শরীরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। আমরা যদি টাটকা, প্রাকৃতিক, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন খাবার খেতে পারি, পলিউশন থেকে যতটা সম্ভব বাঁচতে পারি, তাহলে শুধু সুগার নয়, শরীরের অসংখ্য রোগের হাত থেকেও মুক্তি পাব।