Featured Books
বিভাগ
শেয়ারড

মহাভারতের কাহিনি – পর্ব 20

মহাভারতের কাহিনি – পর্ব-২০

বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, শক্তি, ও কল্মষপাদের কাহিনি

প্রাককথন

কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস মহাভারত নামক মহাগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তিনি এই গ্রন্থে কুরুবংশের বিস্তার, গান্ধারীর ধর্মশীলতা, বিদুরের প্রজ্ঞা, কুন্তীর ধৈর্য, বাসুদেবের মাহাত্ম্য, পাণ্ডবগণের সত্যপরায়ণতা এবং ধৃতরাষ্ট্রপুত্রগণের দুর্বৃত্ততা বিবৃত করেছেন। নানা কাহিনি সংবলিত এই মহাভারতে সর্বমোট ষাট লক্ষ শ্লোক আছে। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস পূর্বে নিজের পুত্র শুকদেবকে এই গ্রন্থ পড়িয়ে তার পর অন্যান্য শিষ্যদের শিখিয়েছিলেন। তিনি ষাট লক্ষ শ্লোকে আর একটি মহাভারতসংহিতা রচনা করেছিলেন, তার ত্রিশ লক্ষ শ্লোক দেবলোকে, পনের লক্ষ পিতৃলোকে, চোদ্দ লক্ষ গন্ধর্বলোকে এবং এক লক্ষ মনুষ্যলোকে প্রচলিত আছে। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের শিষ্য বৈশম্পায়ন শেষোক্ত এক লক্ষ শ্লোক পাঠ করেছিলেন। অর্জুনের প্রপৌত্র রাজা জনমেজয় এবং ব্রাহ্মণগণের বহু অনুরোধের পর কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস তাঁর শিষ্য বৈশম্পায়নকে মহাভারত শোনাবার জন্য আজ্ঞা দিয়েছিলেন।

সেইসব মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য, যাঁরা বিশালাকার মহাগ্রন্থ মহাভারত সম্পূর্ণ পাঠ করেছেন। অধিকাংশ মানুষই মহাভারতের কিছু কিছু গল্প পড়েছেন, শুনেছেন বা দূরদর্শনে সম্প্রসারিত ধারাবাহিক চলচ্চিত্রায়ণ দেখেছেন, যা মহাভারতের খণ্ডাংশ মাত্র এবং মূলত কৌরব ও পাণ্ডবদের বিষয়ীভূত ও শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে নির্মিত।

মহাগ্রন্থ মহাভারত রচিত হয়েছে অসংখ্য কাহিনির সমাহারে, যে কাহিনিসমূহের অধিকাংশই কৌরব ও পাণ্ডবদের কাহিনির সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কিত।

সেই সমস্ত কাহিনিসমূহের কিছু কিছু কাহিনি সহজবোধ্য ভাষায় সুহৃদ পাঠক-পাঠিকাদের কাছে ধরাবাহিকভাবে উপস্থাপনা করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আশা করি ভালো লাগবে।

অশোক ঘোষ

 

বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, শক্তি, ও কল্মষপাদের কাহিনি

অর্জুন গন্ধর্বের প্রার্থনা অনুসারে চাক্ষুষী বিদ্যা ও অশ্ব নিলেন এবং আগ্নেয়াস্ত্র দান করে গন্ধর্বরাজ চিত্ররথের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলেন। তারপর অর্জুন গন্ধর্বরাজ চিত্ররথের কাছে বশিষ্ঠের ইতিহাস জানতে চাইলে গন্ধর্বরাজ বললেন “বশিষ্ঠ ব্রহ্মার মানস পুত্র, অরুন্ধতির পতি এবং ইক্ষাকু কুলের পুরোহিত”। কান্যকুব্জরাজ কুশিকের পুত্র গাধি এবং গাধির পুত্র বিশ্বামিত্র।

একদিন বিশ্বামিত্র সসৈন্যে মৃগয়ায় গিয়ে তৃষ্ণার্ত হয়ে বশিষ্ঠের আশ্রমে এলেন। বশিষ্ঠ তার কামধেনু নন্দিনীকে বললেন, রাজার সৎকারের নিমিত্ত আমার যা প্রয়োজন তা দাও। নন্দিনী  প্রচুর পরিমাণে অন্ন, ডাল, দই, ঘী, মিষ্টান্ন, মদ প্রভৃতি খাদ্য ও পানীয় এবং নানা রকম রত্ন ও বস্ত্র উৎপন্ন করলে, বশিষ্ঠ তা দিয়ে বিশ্বামিত্রের সৎকার করলেন। নন্দিনীর মনোহর আকৃতি দেখে বিস্মিত হয়ে বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠকে বললেন, আপনি দশ কোটি গাভী বা আমার রাজ্য নিয়ে আপনার কামধেনু আমাকে দান করুন। বশিষ্ঠ সম্মত হলেন না, তখন বিশ্বামিত্র জোর কোরে নন্দিনীকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলেন। নন্দিনী বশিষ্ঠকে বলল, প্রভু, বিশ্বামিত্র আমাকে জোর কোরে নিয়ে যাচ্ছে, আপনি তা দেখেও উপেক্ষা করছেন কেন? বশিষ্ঠ বললেন, ক্ষত্রিয়ের শক্তি তেজ, ব্রাহ্মণের শক্তি ক্ষমা। কল্যাণী, আমি তোমাকে ত্যাগ করিনি, যদি তোমার শক্তি থাকে তবে তুমি আমার কাছেই থাকো।

তখন সেই কামধেনু ভয়ংকর রূপ ধারণ করে হাম্বা রবে সৈন্যদের আক্রমণ করল। তার অঙ্গ থেকে অসংখ্য সৈন্য উৎপন্ন হয়ে বিশ্বামিত্রের সৈন্যদলকে পরাজিত করলো। বিশ্বামিত্র ক্রদ্ধ হয়ে বশিষ্ঠের প্রতি বিবিধ শর বর্ষণ করলেন, কিন্তু বশিষ্ঠ একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে সমস্ত নিরস্ত করলেন। বিশ্বামিত্র নানাপ্রকার দিব্যাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করলেন কিন্তু বশিষ্ঠের ব্রহ্মশক্তিযুক্ত লাঠিতে সমস্ত ব্যর্থ হোলো। বশিষ্ঠের ব্রহ্মশক্তি দেখে বিশ্বামিত্রের উপলব্ধি হোলো যে, ক্ষত্রিয়ের বল অপেক্ষা ব্রহ্মতেজ অধিক বলবান এবং আমি নিশ্চিত যে, তপস্যাই পরম শক্তি। তার পর বিশ্বামিত্র রাজ্য ত্যাগ করে তপস্যায় নিরত হলেন।

কল্মষপদ নামে এক ইক্ষাকুবংশীয় রাজা ছিলেন। একদিন তিনি মৃগয়ায় গিয়ে শ্রান্ত, তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে এক সংকীর্ণ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই পথে বশিষ্ঠের জ্যেষ্ঠ পুত্র শক্তিকে আসতে দেখে রাজা বললেন, আমার পথ থেকে সরে যাও। শক্তি বললেন, ব্রাহ্মণকে পথ ছেড়ে দেওয়াই রাজার ধর্ম। শক্তি কিছুতেই সরে গেলেন না দেখে রাজা তাকে কশাঘাত করলেন। শক্তি ক্রুদ্ধ হয়ে রাজাকে শাপ দিলেন, তুমি নরমাংসভোজী রাক্ষস হও। কল্মষপাদকে যজমান রূপে পাবার জন্য বশিষ্ঠ আর বিশ্বামিত্রের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল। অভিশপ্ত কল্মষপাদ যখন শক্তিকে প্রসন্ন করবার চেষ্টা করছিলেন সেই সময়ে বিশ্বামিত্রের আদেশে কিংকর নামে এক রাক্ষস রাজার শরীরে প্রবেশ করলো।

এক ক্ষুধার্ত ব্রাহ্মণ বনমধ্যে রাজা কল্মষপাদকে দেখে তার কাছে মাংস ও অন্ন খেতে চাইলেন। রাজা তাকে অপেক্ষা করতে বলে নিজের ভবনে গেলেন এবং মধ্যরাতে তার প্রতিশ্রুতি মনে পড়ায় পাচককে মাংস ও অন্ন নিয়ে সেই ব্রাহ্মণের কাছে যেতে আজ্ঞা দিলেন। পাচক জানালো যে মাংস নেই। রাজা বললেন, তবে নরমাংস নিয়ে যাও। পাচক বধ্যভূমিতে গিয়ে নরমাংস নিলো এবং রান্না কোরে অন্নের সাথে ব্রাহ্মণকে নিবেদন করলে। দিব্যদৃষ্টিশালী ব্রাহ্মণ ক্রুদ্ধ হয়ে বললেন, যে নরাধম এই কুখাদ্য পাঠিয়েছে সে নরমাংসভোজী হবে।

শক্তি এবং অরণ্যচারী ব্রাহ্মণ এই দুজনের শাপের ফলে কল্মষপাদ কর্তব্যজ্ঞানশূন্য বিকৃত রুচিসম্পন্ন হোলেন। একদিন তিনি শক্তিকে দেখে বললেন, তুমি যে শাপ দিয়েছ তার জন্য প্রথমেই তোমাকে খাবো। এই বলে তিনি শক্তিকে বধ কোরে ভক্ষণ করলেন। বিশ্বামিত্রের প্ররোচনায় কল্মষপাদ বশিষ্ঠের শতপুত্রের সকলকেই খেয়ে ফেললেন। পুত্রশোকাতুর বশিষ্ঠ নানা ভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন কিন্তু তাঁর মৃত্যু হল না। তিনি নানা দেশ ভ্রমণ করে আশ্রমে ফিরে আসছিলেন এমন সময় পিছন থেকে বেদপাঠের ধ্বনি শুনতে পেলেন। বশিষ্ঠ বললেন, কে আমার অনুসরণ করছে? এক নারী উত্তর দিলেন, আমি অদৃশ্যন্তী, শক্তির বিধবা পত্নী। আমার গর্ভে যে পুত্র আছে তার বার বৎসর বয়স হয়েছে, সেই বেদপাঠ করছে। তার বংশের সন্তান জীবিত আছে জেনে বশিষ্ঠ আনন্দিত হয়ে পুত্রবধূকে নিয়ে আশ্রমের দিকে চললেন।

চলার পথে কল্মষপাদ বশিষ্ঠকে দেখে ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে খেতে গেলেন। বশিষ্ঠ তাঁর ভীতা পুত্রবধূকে বললেন, ভয় নেই, ইনি কল্মষপাদ রাজা। এই বলে তিনি হুংকার করে কল্মষপাদকে থামিয়ে তার গায়ে মন্ত্রপূত জল ছিটিয়ে তাকে শাপমুক্ত করলেন এবং বললেন, রাজা, তুমি ফিরে গিয়ে রাজ্যশাসন করো, কিন্তু আর কখনও ব্রাহ্মণের অপমান করো না। কল্মষপাদ বললেন, আমি আপনার আজ্ঞাধীন হয়ে ব্রাহ্মণদের পূজা করবো। এখন যাতে পিতৃ-ঋণ থেকে মুক্ত হতে পারি তার উপায় করুন, আমাকে একটি পুত্র দিন। বশিষ্ঠ বললেন, তাই দেবো। তার পর তারা অযোধ্যাপুরীতে ফিরে এলেন। বশিষ্ঠের সহিত মিলনের ফলে কল্মষপাদের স্ত্রী গর্ভবতী হোলেন এবং বশিষ্ঠ তার আশ্রমে ফিরে গেলেন। বারো বৎসরেও সন্তান ভূমিষ্ঠ হল না দেখে কল্মষপাদের স্ত্রী একটি পাথরের টুকরো দিয়ে তার উদর বিদীর্ণ করে পুত্র প্রসব করলেন। এই পুত্রের নাম অশ্মক, ইনি পৌদন্য নগর স্থাপন করেছিলেন।

বশিষ্ঠের পুত্রবধূও একটি পুত্র প্রসব করলেন, তার নাম পরাশর। একদিন পরাশর বশিষ্ঠকে পিতা বলে সম্বোধন করলে অদৃশ্যন্তী বললেন, পিতামহকে পিতা বলে ডেকো না, তোমার পিতাকে রাক্ষসে খেয়ে ফেলেছে। পরাশর ক্রুদ্ধ হয়ে সর্বলোক বিনাশের সংকল্প করলেন। তখন পৌত্রকে নিরস্ত করবার জন্য বশিষ্ঠ এই কাহিনি বললেন -

“পুরাকালে কৃতবীর্য নামে এক রাজা ছিলেন, তিনি তাঁর পুরোহিত ভৃগুবংশীয় ব্রাহ্মণগণকে প্রচুর ধন দান করতেন। তার মৃত্যুর পর তার বংশধর ক্ষত্রিয়দের অর্থাভাব হোলে, তারা ভার্গবদের কাছে প্রার্থী হয়ে এলেন। ভার্গবদের কেউ ভূগর্ভে ধন লুকিয়ে রাখলেন, কেউ ব্রাহ্মণদের দান করলেন, কেউ ক্ষত্রিয়গণকে দিলেন। একজন ক্ষত্রিয় ভার্গবদের গৃহ খনন করে ধন দেখতে পেলেন, তাতে সকলে ক্রুদ্ধ হয়ে ভার্গবদেরকে মেরে ফেললেন। ভার্গব নারীগণ ভয়ে হিমালয়ে আশ্রয় নিলেন, তাঁদের মধ্যে এক ব্রাহ্মণী তাঁর ঊরুদেশে গর্ভের সন্তান গোপন করে রাখলেন। ক্ষত্রিয়রা জানতে পেরে সেই গর্ভ নষ্ট করতে এলেন। তখন সেই ব্রাহ্মণীর উরু ভেদ করে এক দীপ্তিমান পুত্রের জন্ম হোলো। তার তেজে ক্ষত্রিয়গণ অন্ধ হয়ে গেলেন। তারা অনুগ্রহ ভিক্ষা করলে, ব্রাহ্মণী বললেন, তোমরা আমার ঊরুজাত পুত্র ঔর্বকে প্রসন্ন কর। ক্ষত্রিয়গণের প্রার্থনায় ঔর্ব তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। তার পর পিতৃগণের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবার জন্য তিনি ঘোর তপস্যা করতে লাগলেন। ঔর্বকে সর্বলোক বিনাশে উদ্যত দেখে পিতৃগণ এসে বললেন, বৎস, ক্রোধ সংবরণ কর। আমরা স্বর্গে যাওয়ার জন্য উৎসুক ছিলাম, কিন্তু আত্মহত্যায় স্বর্গলাভ হয় না, তাই স্বেচ্ছায় ক্ষত্রিয়দের হাতে মরেছি। আমরা ইচ্ছা করলে ক্ষত্রিয়দেরকে বধ করতে পারতাম। তার পর পিতৃগণের অনুরোধে ঔর্ব তার ক্রোধ সংবরণ করলেন।”

বশিষ্ঠের কাছে এই কাহিনি শুনে পরাশর তাঁর ক্রোধ সংবরণ করলেন, কিন্তু তিনি রাক্ষসসত্র যজ্ঞ আরম্ভ করলেন, তাতে সকল রাক্ষস দগ্ধ হোতে লাগলো। তাই দেখে অত্রি, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু ও মহাক্রতু রাক্ষসদের প্রাণরক্ষার জন্য সেখানে উপস্থিত হলেন। পুলস্ত্য বললেন, যারা তোমার পিতার মৃত্যুর বিষয় কিছুই জানে না সেই নির্দোষ রাক্ষসদের মেরে তোমার কি আনন্দ হচ্ছে? শক্তি শাপ দিয়েই নিজের মৃত্যু ডেকে এনেছিলেন। এখন তিনি তাঁর ভ্রাতাদের সঙ্গে দেবলোকে সুখে আছেন। পুলস্ত্যের কথায় পরাশর তার যজ্ঞ শেষ করলেন।

অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন, কল্মষপাদ কি কারণে তার স্ত্রীকে বশিষ্ঠের নিকট পুত্রলাভের জন্য পাঠিয়েছিলেন? গন্ধর্বরাজ বললেন, রাজা কল্মষপাদ যখন রাক্ষসরূপে বনে বিচরণ করছিলেন তখন এক ব্রাহ্মণ ও তার পত্নীকে দেখতে পান। রাজা সেই ব্রাহ্মণকে খেয়ে ফেলেন, তাতে ব্রাহ্মণী শাপ দেন, স্ত্রীমিলন করলেই তোমার মৃত্যু হবে। যাঁকে তুমি পুত্রহীন করেছো, সেই বশিষ্ঠই তোমার পত্নীতে সন্তান উৎপাদন করবেন। এই কারণেই কল্মষপাদ তার মহিষীকে বশিষ্ঠের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

অর্জুন বললেন, গন্ধর্ব, তোমার সবই জানা আছে, এখন আমাদের উপযুক্ত পুরোহিত কে হবেন, তা বল। গন্ধর্বরাজ বললেন, দেবলের কনিষ্ঠ ভ্রাতা ধৌম্য উৎকোচক তীর্থে তপস্যা করছেন, তাকেই পুরোহিত নিয়ুক্ত করতে পারো। অর্জুন খুশি হোয়ে গন্ধর্বরাজকে আগ্নেয় অস্ত্র দান করে বললেন, ঘোড়াগুলি এখন তোমার কাছে থাকুক, আমরা প্রয়োজন হলেই নেবো। তার পর তারা পরস্পরকে সম্মান দেখিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে প্রস্থান করলেন। পাণ্ডবগণ ধৌম্যের আশ্রমে গিয়ে তাকে পুরোহিত নিয়ুক্ত করলেন এবং তারপর পাঞ্চালীর স্বয়ংবরে যাওয়ার জন্য যাত্রা করলেন।

______________

(ক্রমশ)