মহাভারতের কাহিনি – পর্ব-৩৮
ধৃতরাষ্ট্রের অস্থিরতা এবং বেদব্যাস ও মৈত্রেয় কর্তৃক উপদেশ
প্রাককথন
কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস মহাভারত নামক মহাগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তিনি এই গ্রন্থে কুরুবংশের বিস্তার, গান্ধারীর ধর্মশীলতা, বিদুরের প্রজ্ঞা, কুন্তীর ধৈর্য, বাসুদেবের মাহাত্ম্য, পাণ্ডবগণের সত্যপরায়ণতা এবং ধৃতরাষ্ট্রপুত্রগণের দুর্বৃত্ততা বিবৃত করেছেন। নানা কাহিনি সংবলিত এই মহাভারতে সর্বমোট ষাট লক্ষ শ্লোক আছে। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস পূর্বে নিজের পুত্র শুকদেবকে এই গ্রন্থ পড়িয়ে তার পর অন্যান্য শিষ্যদের শিখিয়েছিলেন। তিনি ষাট লক্ষ শ্লোকে আর একটি মহাভারতসংহিতা রচনা করেছিলেন, তার ত্রিশ লক্ষ শ্লোক দেবলোকে, পনের লক্ষ পিতৃলোকে, চোদ্দ লক্ষ গন্ধর্বলোকে এবং এক লক্ষ মনুষ্যলোকে প্রচলিত আছে। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের শিষ্য বৈশম্পায়ন শেষোক্ত এক লক্ষ শ্লোক পাঠ করেছিলেন। অর্জুনের প্রপৌত্র রাজা জনমেজয় এবং ব্রাহ্মণগণের বহু অনুরোধের পর কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস তাঁর শিষ্য বৈশম্পায়নকে মহাভারত শোনাবার জন্য আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
সেইসব মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য, যাঁরা বিশালাকার মহাগ্রন্থ মহাভারত সম্পূর্ণ পাঠ করেছেন। অধিকাংশ মানুষই মহাভারতের কিছু কিছু গল্প পড়েছেন, শুনেছেন বা দূরদর্শনে সম্প্রসারিত ধারাবাহিক চলচ্চিত্রায়ণ দেখেছেন, যা মহাভারতের খণ্ডাংশ মাত্র এবং মূলত কৌরব ও পাণ্ডবদের বিষয়ীভূত ও শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
মহাগ্রন্থ মহাভারত রচিত হয়েছে অসংখ্য কাহিনির সমাহারে, যে কাহিনিসমূহের অধিকাংশই কৌরব ও পাণ্ডবদের কাহিনির সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কিত।
সেই সমস্ত কাহিনিসমূহের কিছু কিছু কাহিনি সহজবোধ্য ভাষায় সুহৃদ পাঠক-পাঠিকাদের কাছে ধরাবাহিকভাবে উপস্থাপনা করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আশা করি ভালো লাগবে।
অশোক ঘোষ
ধৃতরাষ্ট্রের অস্থিরতা এবং বেদব্যাস ও মৈত্রেয় কর্তৃক উপদেশ
পাশা খেলায় হেরে গিয়ে পাণ্ডবদের বনবাসের পর ধৃতরাষ্ট্র বিদুরকে বললেন, তোমার বুদ্ধি নির্মল, ধর্মের সূক্ষ্ম তত্ত্ব তুমি জানো, কুরুবংশের সবাইকে তুমি সমদৃষ্টিতে দেখ, সুতরাং যাতে কুরু ও পাণ্ডবের কল্যাণ হয় এমন উপায় বলো। বিদুর বললেন, মহারাজ অধর্ম উপায় অবলম্বন কোরে অন্যায় ভাবে শকুনি প্রভৃতি পাপাত্মারা যুধিষ্ঠিরকে পরাজিত করে পাণ্ডবদেরকে বনবাসে যেতে বাধ্য করেছে। আপনি পূর্বে যেমন পাণ্ডবদের সমস্ত সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, এখন আবার তাদের রাজ্য ফিরিয়ে দিন। পাণ্ডবদের তোষণ এবং শকুনির অবমাননা — এই আপনার উচিৎ কাজ এবং এই যদি করেন তবেই আপনার পুত্রদের রাজ্য রক্ষা পাবে। দুর্যোধন যদি সন্তুষ্ট হয়ে পাণ্ডবদের সঙ্গে একযোগে রাজ্য ভোগ করে তবে আপনার দুঃখ থাকবে না। যদি তা না হয়, তবে দুর্যোধনকে অপসারণ কোরে যুধিষ্ঠিরকে রাজ্যের অধিকার দিন, দুর্যোধন, শকুনি আর কর্ণ পাণ্ডবগণের অনুগত হোক, দুঃশাসন সভামধ্যে ভীম আর দ্রৌপদীর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুক। এ ছাড়া আর কি পরামর্শ আমি দিতে পারি ?
ধৃতরাষ্ট্র বললেন, তুমি পূর্বে পাশা খেলার সভায় যা বলেছিলে এখন আবার তাই বলছ। তোমার কথা পাণ্ডবদের জন্য হিতকর, আমার পুত্রদের জন্য অহিতকর। পাণ্ডবদের জন্য নিজের পুত্রকে কি করে ত্যাগ করবো? পাণ্ডবরাও আমার পুত্রের মতো বটে, কিন্তু দুর্যোধন আমার নিজের পুত্র। বিদুর, আমি তোমার বহু সম্মান করে থাকি, কিন্তু তুমি যা বলছ সবই পক্ষপাতদুষ্ট। তুমি চলে যাও বা থাকো, যা ইচ্ছা করো। অসতী স্ত্রীর সঙ্গে মিষ্ট ব্যবহার করলেও সে স্বামিকে ত্যাগ করে। ধৃতরাষ্ট্র এই বলে অন্তঃপুরে চলে গেলেন। বিদুর হতাশ হয়ে পাণ্ডবদের উদ্দেশে যাত্রা করলেন।
পাণ্ডবগণ পশ্চিম দিকে যাত্রা করে সরস্বতী নদীর তীরে কাম্যক বনে এলেন। সেই বনে তারা মুনিগণের সঙ্গে বাস করতে লাগলেন। বিদুর সেখানে রথে চড়ে আসছেন দেখে, যুধিষ্ঠির ভীমকে বললেন, ইনি কি আবার আমাদের পাশা খেলায় ডাকতে এসেছেন? শকুনি ও দুর্যোধন কি আমাদের অস্ত্রশস্ত্রও জয় করে নিতে চায়?
যুধিষ্ঠিরাদি আসন থেকে উঠে বিদুরের সংবর্ধনা করলেন। বিশ্রামের পর বিদুর বললেন, ধৃতরাষ্ট্র আমার কাছে হিতকর মন্ত্রণা চেয়েছিলেন, কিন্তু আমার উপদেশ তার পছন্দ হয়নি, তাই তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে আমাকে বললেন, যেখানে ইচ্ছা চলে যাও, রাজ্যশাসনের জন্য তোমার সাহায্য আর আমি চাই না। যুধিষ্ঠির, ধৃতরাষ্ট্র আমাকে ত্যাগ করেছেন, এখন আমি তোমাকে সদুপদেশ দিতে এসেছি। পূর্বে তোমাকে যা বলেছিলাম, এখনও তাই বলছি। শত্রু কর্তৃক নির্যাতিত হয়েও যে সহিষ্ণু হয়ে সুযোগের প্রতীক্ষা করে সে একাই সমস্ত পৃথিবী ভোগ করে। সাহায্যকারীদের সঙ্গে যে সমভাবে বিষয় ভোগ করে, সাহায্যকারী তার দুঃখেরও ভাগীদার হয়। পাণ্ডুপুত্র, অন্নাদি সমস্তই সমভাবে সাহায্যকারীদের সঙ্গে ভোগ করবে, অনর্থক কথা বলবে না, অহঙ্কার করবে না, এইরূপ আচরণে রাজারা সমৃদ্ধি লাভ করেন।
বিদূর চলে গেলে ধৃতরাষ্ট্রের অনুতাপ হোলো। তিনি সঞ্জয়কে বললেন, বিদুর আমার ভাই, মঙ্গলাকাংখী এবং সাক্ষাৎ ধর্ম, তাঁর বিচ্ছেদে আমার অত্যন্ত দুঃখ হোচ্ছে, তুমি শীঘ্র তাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসো। আমি পাপী তাই ক্রোধবশে তাকে দূর করে দিয়েছি, তিনি না এলে আমি প্রাণত্যাগ করব। সঞ্জয় অবিলম্বে কাম্যক বনে উপস্থিত হলেন। কুশল জিজ্ঞাসার পর সঞ্জয় বিদুরকে বললেন, রাজা ধৃতরাষ্ট্র আপনাকে স্মরণ করেছেন, পাণ্ডবদের অনুমতি নিয়ে সত্বর হস্তিনাপুরে ফিরে চলুন, রাজার প্রাণরক্ষা করুন।
বিদুর ফিরে গেলেন। ধৃতরাষ্ট্র তাকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বললেন, আমার ভাগ্যক্রমে তুমি ফিরে এসেছ, তোমার জন্য আমি অনিদ্রায় আছি, অসুস্থ বোধ করছি। যা বলেছি তার জন্য ক্ষমা করো। বিদুর বললেন, মহারাজ, আপনি আমার পরম গুরু, আপনাকে দেখবার জন্য আমি সত্বর চলে এসেছি। আপনার আর পাণ্ডুর পুত্রেরা আমার কাছে সমান, কিন্তু পাণ্ডবরা এখন দুর্দশাগ্রস্ত তাই আমার মন তাদের দিকে গেছে।
বিদুর আবার এসেছেন এবং ধৃতরাষ্ট্র তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন শুনে দুর্যোধন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হোয়ে কর্ণ, শকুনি ও দুঃশাসনকে বললেন, পাণ্ডবদের যদি ফিরে আসতে দেখি তবে আমি আত্মহত্যা করবো। শকুনি বললেন, তুমি মূর্খের ন্যায় ভাবছ কেন? পাণ্ডবরা প্রতিজ্ঞা করে গেছে, তারা সত্যনিষ্ঠ, তোমার পিতার অনুরোধে ফিরে আসবে না। কর্ণ বললেন, যদি ফিরে আসে তবে আবার পাশা খেলায় তাদের জয় করবেন। দুর্যোধন খুশী হলেন না, মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তখন কর্ণ বললেন, আমরা সশস্ত্র হোয়ে রথে চড়ে গিয়ে পাণ্ডবদের বধ করবো। সকলেই কর্ণের এই প্রস্তাবের প্রশংসা করলেন এবং পৃথক পৃথক রথে চড়ে যাত্রার উপক্রম করলেন।
বেদব্যাস দিব্যদৃষ্টিতে সমস্ত জানতে পেরে ধৃতরাষ্ট্রের কাছে এসে বললেন, পাণ্ডবগণ কপট পাশা খেলায় পরাজিত হয়ে বনে গেছে, এই ঘটনা আমার কাছে খুবই দুঃখের। তারা তেরো বছর পরে ফিরে এসে কৌরবদের উপর প্রতিশোধ নেবে। তোমার পাপাত্মা মূর্খ পুত্রকে বারণ কর, সে পাণ্ডবদের মারতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারাবে। রাজা, পাণ্ডবদের প্রতি দুর্যোধনের এই বিদ্বেষ যদি তুমি উপেক্ষা করো, তবে ঘোর বিপদ হবে। ধৃতরাষ্ট্র বললেন, পাশা খেলায় আমার এবং ভীষ্ম, দ্রোণ, বিদুর ও গান্ধারীর মত ছিল না, দৈবের দুর্বিপাকেই আমি তা হতে দিয়েছিলাম। নির্বোধ দুর্যোধনের স্বভাব জেনেও পুত্রস্নেহের বশে তাকে ত্যাগ করতে পারি না।
ব্যাসদেব বললেন, তোমার কথা সত্য, পুত্রের চেয়ে প্রিয় কিছু নেই। আমি একটি কাহিনি বলছি শোন। - পুরাকালে একদিন গোমাতা সুরভীকে কাঁদতে দেখে ইন্দ্র তার শোকের কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন। সুরভী বললেন, দেখুন আমার ওই দুর্বল ক্ষুদ্র পুত্র লাঙ্গলের ভারে কষ্ট পাচ্ছে আর কৃষক তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করছে। দুটি বলদের মধ্যে একটি বলবান, সে অধিক ভার বইছে, অন্যটি দুর্বল ও রুগ্ন, বার বার আঘাত পেয়েও সে ভার বইতে পারছে না। তার জন্যই আমি শোকার্ত হয়েছি। ইন্দ্র বললেন, তোমার তো হাজার হাজার পুত্র নিপীড়িত হয়, তবু একটির জন্য এত স্নেহ কেন? সুরভী বললেন, সমস্ত পুত্রকে আমি সমান দৃষ্টিতে দেখি, কিন্তু যে দুর্বল ও সৎ তারই উপর আমার অধিক স্নেহ। তখন ইন্দ্র প্রবল বৃষ্টিপাত কোরে কৃষককে বাধা দিলেন। ধৃতরাষ্ট্র, সুরভীর ন্যায় তুমিও সকল পুত্রকে সমান ভাবে দেখো, কিন্তু দুর্বলকে অধিক স্নেহ করো। পুত্র, তুমি, পাণ্ডু ও বিদুর সকলেই আমার কাছে সমান। তোমার একশত এক পুত্র, পাণ্ডুর কেবল পাঁচ পুত্র, তারা দুর্দশাগ্রস্ত ও দুঃখী। কি উপায়ে তারা জীবিত থাকবে এবং সমৃদ্ধি লাভ করবে এই চিন্তায় আমি কষ্ট পাচ্ছি। যদি কৌরবগণের জীবনরক্ষা করতে চাও, তবে দুর্যোধন যাতে পাণ্ডবদের সঙ্গে শান্তভাবে থাকে সেই চেষ্টা করো।
ধৃতরাষ্ট্র বললেন, আপনি যা বললেন তা সত্য। যদি আমরা আপনার অনুগ্রহের যোগ্য হই তবে আপনি নিজেই দুরাত্মা দুর্যোধনকে উপদেশ দিন। বেদব্যাস বললেন, ঋষি মৈত্রেয় পাণ্ডবদের সঙ্গে দেখা করে এখানে আসছেন, তিনিই দুর্যোধনকে উপদেশ দেবেন। এই বলে বেদব্যাস চলে গেলেন।
মহামুনি মৈত্রেয় এলে ধৃতরাষ্ট্র তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা করলেন। মৈত্রেয় বললেন, মহারাজ, আমি তীর্থ পর্যটন করতে করতে কাম্যক বনে গিয়েছিলাম, সেখানে যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমি শুনলাম আপনার পুত্রদের ষড়যন্ত্রে কপট পাশা খেলায় হেরে পাণ্ডবদের বনবাসে যেতে হয়েছে। আপনি আর ভীষ্ম জীবিত থাকতে আপনার পুত্রদের সঙ্গে পাণ্ডবদের মধ্যে বিরোধ হওয়া উচিত নয়। পাশা খেলার সভায় যা ঘটেছে তাতে আপনি তপস্বীদের কাছে আর মুখ দেখাতে পারেন না। তার পর মৈত্রেয় মিষ্টবাক্যে দুর্যোধনকে বললেন, আমি তোমার কল্যাণের জন্য বলছি শোন, পাণ্ডবদের সঙ্গে বিরোধ কোরো না। তারা সকলেই বিক্রমশালী সত্যের পথে চলে ও তেজস্বী এবং হিড়িম্ব, বক প্রভৃতি রাক্ষসগণকে হত্যা করেছে। বাঘ যেমন ক্ষুদ্র হরিণকে বধ করে সেইরূপ মহাবল ভীম কিমীর রাক্ষসকে বধ করেছেন। আরও দেখ, দিগ্বিজয়ের পূর্বে ভীম জরাসন্ধকেও যুদ্ধে হত্যা করেছেন। বাসুদেব যাঁদের আত্মীয়, ধৃষ্টদ্যুম্নাদি যাঁদের শ্যালক, তাদের সঙ্গে কে যুদ্ধ করতে পারে? রাজা দুর্যোধন, তুমি পাণ্ডবদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করো। আমার কথা শোনো, ঈর্ষার বশবর্তী হোয়ে পাণ্ডবদের সঙ্গে শত্রুতা করো না।
দুর্যোধন তার উরুতে চপেটাঘাত করলেন এবং মৃদু হেসে মুখ নিচু কোরে আঙ্গুল দিয়ে মাটিতে দাগ কাটতে লাগলেন। দুর্যোধনের এই অবজ্ঞা দেখে মৈত্রেয় ক্রোধে জলস্পর্শ করে অভিশাপ দিলেন, তুমি আমার কথা অগ্রাহ্য করছ, এই অহংকারের ফল শীঘ্রই পাবে, মহাযুদ্ধে গদাঘাতে ভীম তোমার উরু ভগ্ন কোরে তোমাকে হত্যা করবে। ধৃতরাষ্ট্র তাঁকে প্রসন্ন করবার চেষ্টা করলে মৈত্রেয় বললেন, রাজা, দুর্যোধন যদি সৎ ভাবে চলে তবে আমার শাপ ফলবে না, নতুবা ফলবে। ধৃতরাষ্ট্র জিজ্ঞাসা করলেন, কিমীরকে ভীম কি করে বধ করেছেন? মৈত্রেয় উত্তর দিলেন, আমি আর কিছু বলব না, আপনার পুত্র আমার কথা শুনতে চায় না। আমি চলে গেলে বিদুরের কাছে শুনবেন।
______________
(ক্রমশ)